আমরা লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি কিংবা শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের শিল্পকর্ম অথবা স্বয়ংক্রিয় রোবট নির্মাতার প্রশংসায় তিন মুখ চার মুখ নয় বরং পঞ্চমুখ থাকি কিন্তু একবার কি নিজের গঠনের দিকে তাকিয়ে,
এই দেহের শিল্পীর সাথে পরিচিত হওয়ার বা তাকে জানার চেষ্টা করেছি যদিও তিনি তাকে জানার জন্য নিজেই নাজিল করেছেন মহাগ্রন্থ আল কুরআন। আসুন একটু জেনে নেই।
মহান আল্লাহ নিজেই পবিত্র কালামের বিভিন্ন স্থানে এ সম্পর্কে আয়াত নাজিল করেছেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, 'নিঃসন্দেহে আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্রিত শুক্রবিন্দু থেকে। আমি তাকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করেছি। এরপর আমি তাকে বানিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তি সম্পন্ন। (সুরা ইনসান)
আল্লাহ অন্য পৃষ্ঠায় আবার বলেন, 'আমি তো সব মানুষকে সৃষ্টি করেছি সু-গঠন ও অতি সুন্দরতম আকৃতিতে (সুরা ত্বীন : আয়াত
৪) আল্লাহ তাআলার এ ঘোষণার কোথাও বর্ণ বৈষম্যের কথা নেই। বরং মানুষকে সমমর্যাদার অধিকারী করে সৃষ্টি করে পৃথিবীতে প্রেরণ কথাই ওঠে এসেছে
সুবহান আল্লাহ।
আসুন আমাদের জন্মপ্রক্রিয়ায় আমাদের শরীরের একটি প্রধান বিষয় সম্পর্কে জানা যাক। আর সেটি আমরা পুরুষের অন্ডকোষ বা টেস্টিস।
অন্ডকোষ বা টেস্টিস, পুরুষদের গোপন অংশে থাকা এক রকমের থলি। গোল বা উপবৃত্তাকার দুটি অন্ডকোষ পুরুষদের এই থলির মধ্যে থাকে।
এই অন্ডকোষ লক্ষ লক্ষ শুক্রাণু বা স্পার্ম তৈরী করে ও সেগুলিকে সুরক্ষিত রাখে। এ ছাড়া, তারা টেস্টোস্টেরোন হরমোনও তৈরি করে, যা এমন একটি হরমোন যার থেকে পুরুষরাশুক্রাণু উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।
টেস্টিস হচ্ছে পুরুষ প্রজনন অঙ্গ। এখানে স্পার্ম বা শুক্রাণু তৈরি হয় এবং এই স্পার্ম বা শুক্রাণুর সঙ্গে মেয়েদের ডিম্বাণুর মিলনের ফলে সন্তানের জন্ম হয়। এই টেস্টিসের বা অন্ডকোষের সংখ্যা দুটি।
এর জন্ম পেটের ভিতর। টেস্টিসদ্বয় শিশুর মায়ের পেটে বেড়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে নিচের দিকে নামতে থাকে এবং সন্তান ভূমিষ্ঠ হওয়ার পূর্বেই অন্ডকোষ (স্ক্রটাম) থলিতে অবস্থান নেয়, যে থলিটা দেহের বাইরে ঝুলে থাকে।
এই টেস্টিসের কার্যক্রমের অসংখ্য ধাপ বা পর্যায় রয়েছে যা আমরা জানতে চাইলে জেনে নিতে পারি।এই টেস্টিসের ভিতরের অসংখ্য অংশের মধ্যে একটা অংশ হচ্ছে tunica vaginalis যাকে পর্দা বলে,
আর বাচ্ছা মায়ের পেটে আসার পরে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করালে এই পর্দাটা সহজেই তাতে ধরা পড়ে বলে বাচ্ছা ছেলে না মেয়ে তা নির্ণয় করা যায়। সুবহান আল্লাহ।
এই পর্দার নিচে থাকে cavity of tunica vaginalis আর এটার কাজ হলো তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে শুক্রকীটকে নিরাপদ ও সতেজ রাখা। সুবহান আল্লাহ।
তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রন করে বিভিন্ন দ্রব্যাদি ভাল রাখতে মানুষ এভাবেই বিভিন্ন জিনিস আবিস্কার করেছে, যেমন ফ্লাক্স।
আমাদের ভিতরেই আমরা আর এই ক্রিয়াকলাপের কারিগর এমনভাবে আমাদের এই বিষয়গুলো বানিয়েছেন যে, জন্ম হতে প্রতিটা বিষয় সেই ম্যানুয়েল মোতাবেক কাজ করে চলে অথচ সেই কারিগরকে আমরা অস্বীকার করি কিভাবে? আমার মগজে আসে না।
আসুন আমরা আগে স্রষ্টাকে চিনি, জানি এবং তাকে ভালবাসি।
ওমা তাওফিক্বু ইল্লা বিল্লাহ।
You must be logged in to post a comment.