আমি মোমবাতির মত গলে যেতাম তাই আমি অনেক কষ্ট পেতাম যাই হোক । তার পর এমন ভাবে চলে গেল ২মাস তার পর বিদেশ থেকে আসলো বিদেশি ডেলিকেটার ভাইয়েরা ইন্টার ভিউ নেওয়ার জন্য।
ভাইয়েরা যখন আসলো তখন এতো মানুষ আসলো ইন্টার ভিউ দেওয়ার জন্য যেমন কারবালার মাঠে যুদ্ধ করতে আসছে।
তার পর শুরু হলো ইন্টার ভিউ সিরিয়াল ভাই সিরিয়াল যেত লাগলো ও দিতে থাকলো ইন্টার ভিউ। তার পর আসলো আমার সিরিয়াল ইন্টার ভিউর তখন আমি গেলাম এন্টার ভিউ দেওয়ার জন্য তখন দেখলাম ইন্টার ভিউ কারে কয় ও হাসরের মাঠ কারে কয় সেই দিন আমি অনুভব করতে পারলাম। যখন ইন্টার ভিউ শুরু হলো আমার।
তখন আমি তাকিয়ে দেখি সবাই ইন্টার ভিউ দিচ্ছে তখন আমি তাকিয়ে দেখলাম সবাই এমন ভাবে সবার কাজ নিয়ে ব্যস্ত কেউ কারো সাথে কথা বলে না এবং কেউ কাউকে হেল্প করে না এমন কি যে মাস্টার আমাদের কে কাজ শিখিয়েছে সেই মাস্টার কে ডাকলে মাস্টার ও কোনো কথা বলে না কোনো হেল্প করতে আসেনা এমন কি কেউ কাউকে হেল্প করে না ।
যেমন হাসরের ময়দানে মা সন্তান কে চিনবেন না সন্তান ও মা'কে চিনবেন না সবাই হাসরের আজাবের ভয়ে নাফসি নাফসি করতে থাকবেন তেমনি দুনিয়ার সারত পর মানুষ দুনিয়ার লোভের জন্য কে কাউকে হেল্প করতে আসবেন না এমন কি হেল্প করতে চাইলে ও করতে পারবেন না ।
তার পর আমি শুরু করলাম ইন্টার ভিউ তখন আমি এমন ভাবে আল্লাহ কে ডাকতে থাকি আর ভয়ে ভয়ে করতে থাকি কাজ ।
তাঁর পর আমার ইন্টার ভিউ শেষ তখন আমি একজন কে জিজ্ঞেস করলাম ভাই আমি কি পাস করেছি ইন্টার ভিউ ছেলেটি আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে হেসে বলল আপনি পাস করেছেন ইন্টার ভিউ তখন আমি আমার ভিতরের আটকে থাকা শাস ছেড়ে আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি আর বলছি আল্লাহ কে তুমি আমার প্রতি রাজি আছো আমি বিদেশে যাওয়ার জন্য এবং আমি মনে করবো তুমি ঐ আমাকে হুকুম করেছো।
তার পর ইন্টার ভিউ শেষ হলে আমি বাহিরে চলে আসলাম আর এদিকে আমরার দালাল বাহিরে অপেক্ষা করতে ছিল আমরার ইন্টার ভিউর রেজাল্টের খবর শুনার জন্য তখন আমি বাহিরে চলে আসলাম আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করল শাবানা তুমি কি ইন্টার ভিউ পাস করেছে তখন আমি বললাম হ্যাঁ আমি পাস করেছি তখন দালাল অনেক খুশি আমার উপর।
আর এদিকে আমরা একসাথে ৫ জন বিদেশে যাওয়ার জন্য কাজ শিখতে এসে ছিলাম ওরা ৪ জন ইন্টার ভিউ দিতে গিয়ে ফিল করেছেন আর আমি পাস করেছি।
তখন দালাল খুশি হয়ে আমাকে তাঁরা তাড়ি করে নিয়ে গেলেন মেডিকেল করার জন্য তার পর আসলাম মেসে।
এসে দেখি আমার সাথের মেয়েরা সবাই আফসোস করতে লাগলেন ও আমাকে বলতে লাগলেন তোমার ঐ কপাল ভাল আর আমরা এসে ছিলাম শুধু টাকা নষ্ট করতে ।
এরপর ইন্টার ভিউ দিয়ে ও মেডিকেল করে চলে আসলাম বাড়ীতে এসে অপেক্ষা করতে থাকি ভিসা কবে আসবে আর কবে নিজের জন্ম ভূমি ছেরে চলে যাব অনেক অনেক দূরে অচিনা এক দেশে ।
তার পর বাড়িতে এসে আমার যত বিক্রির জন্য থান কাপড় ও কামিজ ছেলোয়ারের কাপড় এনে ছিলাম সব কাপড় আধা রেইটে বিক্রি করে দিলাম এমন কি আমার ২ টাই মিসিং ছিল তাই ও বিক্রি করে দিলাম যাই হোক।
আর এই দিকে আমার বোনেরা আমার ছেলে কে জিজ্ঞেস করে বায়েজিদ এখন তোমার আম্মু বিদেশে চলে গেলে তুমি কিভাবে থাকবা এবং কাকে তুমি আম্মু বলে ডাকবা তখন আমার ছেলে জবাব দিল আমার আম্মু বিদেশে যাইয়া অনেক টাকা আনবে আমার জন্য সেই টাকা দিয়ে অনেক জমি রাকবো আরও বললেন আমার আম্মু বিদেশে গেলে কি হবে আমার আম্মু তো আমার ঐ থাকবে তখন সবাই হেসে উঠল ।
কেন এই কথা বললেন আমার বোনেরা আমার ছেলে কে এবং কেন আমার ছেলে জবাব দিলেন ও বললেন এই রকম কথা তা হলে শুনোন আমাকে ২ বার বিয়ে দেওয়ার পরও আবার বিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই পাগল হয়ে যায় ।
মা বাবা তো চাই তার ছেলে মেয়ে সুখে থাকুক সান্তিতে থাকুক আরও চিন্তা করে আমরা মরে গেলে কে দেখবে আমার মেয়ে কে এ জন্য আমার মা বাবা আবার বিয়ে দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে যায় তাঁর পড় আবার ছেলে দেখতে আসে আমাকে তখন আমার ছেলেকে লোকায়ে রাখতো কারণ যেন আমার ছেলে টের না পায় তার পর ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা আমার ছেলের কাছে বলে দিত বায়েজিদ তোর মাকে দেখতে এসেছে এবং তোর মাকে বিয়ে দিয়ে দেবেন তখন আমার ছেলে কোনো সময় কবর স্থানে গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতো অনেক রুদ্রের মধ্যে আবার কোনো সময় ঘড়রের চালের মধ্যে উঠে থাকতো ।
তার পর যখন দেখা শেষ হত তখন আমার মা আমার ছেলেকে খুঁজতে থাকে । তার পর ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা এসে আমার মাকে বলতে থাকে বায়েজিদ কে দেখছি গোরস্থানে দাড়িয়ে কাঁদতে আছে তখন আমার মা ডাকতে থাকে তবুও আসছে না আমার ছেলে কাঁদে তার পর আমার মা একটা ছেলে কে বলল বায়েজিদ কে ধরে নিয়ে আসার জন্য তার পর নিয়ে আসলো ছেলেটি বায়েজিদ কে ।
তার পর আমার মা বায়েজিদ কে গোসল করিয়ে খাবার দিল খাইতে তখন আমার ছেলে খাইনা বলে যাও তোমরা আমাকে আদর কয়রনা তোমরা আমার মাকে বিয়া দেও আর আমাকে আদর কর তোমরা আমার দুসমন এই কথা বলতে থাকে আর কাঁদতে থাকে ।
তখন আমি এইসব দেখে আমি বলতে থাকি আমার বিয়ের কোনো দরকার নেই আমি আর বিয়ে বসবনা প্রথম বার বিয়েতে সুখ না হলে হাজার টা বিয়ে হলে ও সান্তি হবে না এই কথা বলে আমি মানা করি আর আমার ছেলে তো বিয়ের কথা শুনলে ঐ হয়েছে কাঁদতে থাকে ।
তখন আমার ছেলের বয়স ৭ থেকে ৮ বছর হবে যাই হোক এরপর ভিসা আসার অপেক্ষা থাকি। এরপর ভিসা আসলো যাওয়ার সময় হয়ে আসলো এরপর চললাম অজানা অচেনা এক দেশে ঘর থেকে বেরিয়ে আসার সময় আমার ছেলে যেভাবে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল আর যেভাবে দাঁড়িয়ে ছিল আজ আমি ভুলতে পারিনি আমার ছোট্ট বেলার ?
আমার আর্টিকেল এপ্রুভ করেন
You must be logged in to post a comment.