আমাদের অনেকের মনে প্রচলিত একটি ধারনা হলো-থানায় গিয়ে জিডি বা অভিযোগ করতে বিরাট ঝক্কি ঝামেলা হয় ।
অনেক ক্ষেত্রে পয়সা লাগে কিংবা তদবির লাগে।জীবন চলার পথে আমাদের অনেক দূর্ঘটনাই ঘটতে পারে। ছোট বড় থেকে শুরু করে অনেক বড় ধরনের দূর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় অনেকের।
একটি কথা সবার মনে রাখা দরকার যে সাংবিধানিকভাবে আমাদের সবার যেমন আইনগত অধিকার আছে তেমনি আমাদের জীবনে ঘটে যাওয়া দূর্ঘটনা ,খারাপ কিছুর ভবিষ্যত সমাধান এবং প্রতিকার এর জন্য থানায় যাওয়া উচিত।
ধরা যাক আপনার একটি প্রিয়-দামী মোবাইল হারানো গেছে।হতে পারে সেটি চুরি।
আপনি থানায় জিডি করলেন না।কোন এক সময় আপনার সেই মোবাইল দিয়ে অন্য কেউ খারাপ কিছু ঘটাতে পারে।বাংলাদেশ পুলিশ এখন প্রযুক্তিগতভাবে অনেক এগিয়েছে।
আপনার হারানো/চোরাই মোবাইল যখন অন্য একটি সীম কার্ড দিয়ে ব্যবহার হবে হোক সেটা ছয় মাস, এক বছর পর -অবশ্যই সেটি বের করা সম্ভব।
পুলিশ সেটি খুজে বের করতে পারবে।বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের সকল থানায় অন লাইনে জিডি হয় ।
কোন জিনিস পত্র,মানুষ হারিয়ে গেলে জিডি করার পর বাংলাদেশের যে কোন স্থানে পাওয়া গেলে সেটি অনলাইনের মাধ্যমে জানা যায়।পূর্বে যেটি সম্ভব ছিলোনা।
এবার জানা যাক কি কি বিষয় আমরা জিডি করতে পারি।সধারনত যে বিষয় মামলা হয় সে বিষয় জিডি হয় না।আমরা অনেকেই জানিনা।
এতা আমাদের অজ্ঞতা নয়, জানার ভুল।সাধারনত কোন কাগজপত্র যেমন আইডি কার্ড,ড্রাইভিং লাইসেন্স,দলিল,গুরুত্বপূর্ন ডকুমেন্ট ইত্যাদি যে কোন কাগজপত্র হারালে আপনি জিডি করতে পারেন।
কোন মানুষ নিখুজ হলে,নিজের কোন পোষা প্রানী,গাড়ি হারালে জিডি করা যায়।কিন্তু প্রানী বা গাড়ি চুরি হলে সেটি কখনোই জিডি হবেনা।
আপনাকে কেউ হুমকী দিয়েছে,কোন ক্ষতিসাধন হয়েছে,মারপিটের ঘটনায় ও থানায় জিডি করা যাবে।
ফোজদারী কাঃবি; আইনে বলা আছে যে ধর্তব্য যে কোন বিষয়ে অফিসার ইন চার্জ মামলা গ্রহন করবেন এবং অধর্তব্য বিষয়ে জিডি হবে।
ছোটখাট কোন বিষয়ে জিডি করা যাবে।কোন কারনে আগুনে ক্ষতিগ্রস্থ হলে,কোন প্রতিষ্ঠানে ভেঙ্গে ক্ষতিগ্রস্থ হলে ক্ষেত্র বিশেষে জিডি করা যায়।
এবার আসা যাক অনলাইনে কিভাবে জিডি করবেন-
আপনার হারানো ও প্রাপ্তি সংক্রান্ত জানমালের বিষয়সহ যে কোন বিষয়ে পুলিশের নিকট অভিযোগ করতে online gd এই ওয়েব সাইট ব্যবহার করুন।
অভিযোগের বিষয়টি যদি জিডির যোগ্য হয় তাহলে সেটি জিডি নং এবং তদন্তকারী অফিসারের বিবরণীসহ আপনাকে ডিজিটাল জিডির কপি প্রেরন করা হবে।
রেজিষ্ট্রেশনে ক্লিক করুন>আপনার জাতীয়পরিচয়পত্র নম্বর লিখুন>আপনার বর্তমান ঠিকানাটি লিখুন>আপনার লাইভ ছবি তুলুন>আপনার সচল মোবাইল(পরবর্তীতে আপনার ইউজার নেম) ও ইমেল (যদি থাকে) এবং পাসওয়ার্ড প্রদান করুন।
আপানর পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য এসএমএস এর মাধ্যমে একটি কোড (ওটিপি) আপনার দেওয়া মোবাইল নম্বরে পাঠানো হবে।
কোডটি (ওটিপি) যথাস্থানে সঠিকভাবে লিখুন।
অভিযোগ সম্পর্কিত কোন ডকুমেন্ট থাকলে সেগুলো যুক্ত করুন। “সাবমিট” বাটনে ক্লিক করে জমা দিন অথবা এডিট বাটনে ক্লিক করে ফর্ম পূরনে কোন সমস্যা হলে তা সমাধান করুন।
আবেদন সম্পন্ন হলে পরবর্তীতে লগইন করে আপনি আপনার জিডিএর সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারবেন।
Pleass viwe my post
You must be logged in to post a comment.