বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের একটি দেশ। সাংবিধানিক কাঠামোতে চলা এই দেশে সরকারি চাকরি পাওয়া যেনো সোনার হরিণের মতো।
অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হওয়ার জন্য প্রয়োজন বিশাল জনগোষ্ঠীকে আত্মনির্ভরশীল হওয়া,দারিদ্র্য প্রকৌশল এর অভাবে অধীকাংশ জনগন আত্মনির্ভরশীল হতে পারে না।যথেষ্ট কর্মদক্ষতার অভাবে ২০২৩ সাল বা পরবর্তী তে দুর্ভিক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমাদের উচিত কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করা নিজেকে সাবলম্বী করা।অর্থনৈতিক এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় নিজেকে এগিয়ে রাখা।
খুব একটা মুলধন প্রয়োজন পড়ে না এখন সাবলম্বী হতে প্রয়োজন পড়ে দক্ষতার। আপনার দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ইনভেস্ট করুন নিজের ওপর।
ওয়ার্ড প্রসেসিং, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিকস ডিজিটাল, এসসিইও, কার্টুন মেইকিং, ব্লগিং, কন্টেন্ট ক্রিয়েশন, এফলিকেট মার্কেটিং, ডিজিটাল মার্কেটিং,এড ক্রিয়েশন সহ বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে যার উপর বিনিয়োগ করে নিজেকে উন্নত করতে পারবেন।
এছাড়া ও উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আপনাকে বেশি কিছুর প্রয়োজন পড়বে না। দক্ষতার ওপর নির্ভর করে নিজেকে উন্নত করতে লেগে পড়ুন কাজে।সময়কে গুরুত্বপূর্ণ করুন আপনাকে মানুষ সম্মান দিতে ভুলবে না। উদ্যোক্তো হওয়ার জন্য আপনাকে অনলাইন বা অফলাইনে প্রচার করতে হবে আপনার কাজকে।
এগিয়ে রাখতে হবে নিজস্বতা। আপনি সবার থেকে সেরা কেনো,কাস্টমার আপনার থেকে কেনো পন্য কিনবে, আপনার ব্রান্ডিংকে জোরদার করতে হবে। বিষয় ভিত্তিক কাজে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হওয়ার ও নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর কাছে আপনার পন্য বা ভাবনাকে তুলে ধরতে পারলে আপনি এগিয়ে জাবেন অনেকটা পরব্তীতে আপনাকে ইনভেস্ট এর পরিমান বাড়াতে হবে,
সাথে জনবল নিয়োগ দিতে হবে যারা আপনার তত্বাবধানে কাজ করবে। আপনার কথার মাধ্যমে কিভাবে কাজকে এগিয়ে নিবেন এটা আেনার ব্যাক্তিগত দক্ষতার ওপর নির্ভর করে।
বহিঃবিশ্ব কাজ করার জন্য আপনাকে দক্ষতাও পাশাপাশি সময়কে বিনিয়োগ করতে হবে।উন্নত দেশগুলো তাদের সময় নষ্ট না করে সঠিকভাবে বিনিয়োগ করে তাদের সহজ কাজগুলো বা দৈনন্দিন কাজগুলো করানোর জন্য এসিস্ট্যান্ট নিয়োগ করেন।
এছাড়া কর্মী নিয়োগ করেন কম বিনিয়োগ করে কেননা মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য অনেক। তাইস্বল্প বিনিয়োগ করে কর্মী নিয়োগ করাটাই প্রফিট করার অন্যতম উপায়। তাই অনলাইন নির্ভর কাজকরেই আপনি উন্নতি করতে পারবেন দ্রুত।
জাপান এ একটি কম্পানি পুরো কাজ করে দিতো আমেরিকার এক ব্যাক্তির বেতন এর অর্ধেক টাকায় এবং ওই ব্যাক্তি আরাম আয়েস করেই সময় কাটিয়ে দিতেন। কাজকে স্মাটভাবে করতে শিখুন সময়ের অপচয় তো রোধ হবেই সাথে দৈনন্দিন জীবন উন্নত করতে পারবেন। আপনার মনে রাখতে হবে আপনার একটি পরিবার আছে যার দায়িত্ব ভার আপনাকেই নিতে হবে।
You must be logged in to post a comment.