উন্নয়ন

স্বাধীন রাষ্ট। দেশের মানুষ ছিলো খুবই সরল সোজা কারণ দেশের ৭০% আয় কৃষি থেকে আর ওই সব কৃষক ছিলো অশিক্ষিত। তাই সাধারণ গুজবের কারণেও দেশের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতো।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

মানুষ গুলো এতোই সরল সোজা, একজন নেতা এসে ওয়াদা করতো আমি রাস্তা পাকা করে দিবো তোমাদের স্কুল তৈরি করে দিবো পানি বের হওয়ার জন্য খাল খনন করে দিবো তারা কোনো প্রশ্ন না করে খুশি হয়ে মেনে নিত।

এবং তাকে তারা জয়যুক্ত করতো। কিন্তু নেতারাও বড় আজব জীব এতো ওয়াদা করলো কিন্তু কোনো একটা কাজ করার ইচ্ছেও মনে করে না। পুরো ৫ বছর চলে শাসন। পরের বার আবার হয়তো সেই নেতা আর না হয় অন্য কেউ নতুন করে ওয়াদা করে সব সমস্যার সমাধান করে দিবো।

এই রকমই চলতে থাকে সাধারণ মানুষের জীবন নতুন নতুন নেতা আসে নতুন নতুন কথা বলে নতুন ওয়াদা ও দেয় কিন্তু মানুষের উন্নয়ন আর হয় না।

দেশের কিছু ব্যাবসায়ীদের কথা বলা যাক তারা ও বড় আজব। মালেশিয়া,কাতার,কুয়েত এরা এই রাষ্ট থেকে অনেক বড় উন্নত দেশ তবুও একটা কথা সেখানে রোজা এলে ব্যাবসাহীরা সব দ্রব্যর মূল্য কম করে রোজার মাস কিছু আল্লাহর রাস্তায় দান করে।

কিন্তু এই দেশে লোক মনে করে ঈদ পূজা কুরবানী এসব তাদের কামাই করার সময়। তারা দ্রব্যের দাম দ্বিগুণ বৃদ্ধি করে দেয়। আর যেই সময় দ্রব্যর দাম সরকার থেকে বৃদ্ধি পারলে তখন তো দেশে নতুন ঘটনার সূত্র পাত হয়।

মানুষ খবর সোনা মাত্র পকেটে বাড়িতে যা নগদ অর্থ আছে তা দিয়ে সেই সব পন্য কিনতে থাকে যার কারণে পন্য গুলোর চাহিদা আরো দ্বিগুণ হয় এবং দাম সরকার থেকে ২ টাকা নির্ধারণ করলে দাম হয় ৫ টাকা।

আর বেচারা যারা দিন আনে দিন দিন খায় তাদের অবস্থা তো খাহিল হয়ে যায় এসবের সম্পন্ন প্রভাব তাদের উপর গিয়ে পড়ে। এসব পুলিশ চাইলেও কন্টল করতে পারে না দেশের অবস্থাই এমন হয়ে যায়।

দেশের মানুষ ফসল উৎপাদন করে এবং সেগুলো বৃক্রি করে জীবিকা নির্বাহ  করে। দেশের ফসল বৃক্রির সময় যা দাম আর সেই ফসলই দেশের মজুদ শেষ হলে অন্য রাষ্ট থেকে আমদানি করে বৃক্রি করলে তার দ্বিগুন দাম।

কৃষকের ফসল উঠলেই দাম মাটিতে আর যখন ফসল থাকে না তখন দাম আকাশে। দেশে আস্তে আস্তে পরিবর্তন আসে কিন্তু এটা ভালো পরিবর্তন নাকি জানি না। আগে যাও বা মানুষ তার মৌলিক আধিকার পেত কিন্তু এখন তো তাও পায়।আগে ভোটের জন্য নেতাদের মানুষের দারে দারে যেতে হতো।

কিন্তু এখন তো মানুষ নয় পুলিশের কাছে বড় বড় নেতার কাছে যেতে হয় আপনি যোগ্য কি না সেটা বড় কথা না দল আপনাকে কি পতীক দিলো সেটা বড় কথা আপনি কতো কোটি দিতে পারবেন সেটা বড় কথা। এই হচ্ছে নতুন পরিবর্তন।

এখন উন্নয় হয় তবে সেটা ১০ বছেরের মেয়াদ থাকলে ১ বছের মাথায়ই নষ্ট হয়ে যায় এবং বাকী ৯ বছর সেই আগের জীবন কাটাতে হয় জনগণের। নীতি ঠিকই আছে শুধু পদ্ধতি পরিবর্তন হয়েছে।

দেশের একটা পার্টি থাকলে তার বিরোধী পার্টি থাকার দরকার আছে কারণ আপনি কি করছেন সেটা জনগণের চাইতে তারাই ভালো খবর রাখবে এবং একটা ভুল কাজ করলে সেটা নিয়ে ইলাহি কান্ড, টিভি নিউজ, কর্ণফারেন্জ করবে।

এবং সরকারকে বাধ্য হয়ে দূর্ণীতি থেকে সরে আসতে হবে। এমন একটা সময় এলো যখন শুধু দেশে নয় পুরু বিশ্ব ছিলো একটা পরিক্ষার সামনে সেই সময় এই রাষ্টে ও বড় বড় আজব ঘটনা ঘটেছে। থাক আজ আর সেটা সম্পর্কে না বলি।

এই পরিক্ষা শেষ এ দেশ নতুন অগ্রযাত্রা শুরু করে শুধু উন্নয়ন আর উন্নয়ন কিন্তু এই দিকে যে জনতার কি অবস্থা হচ্ছে তার তো কারো খবর নেই। উন্নয়ন হচ্ছে জনগণের টেক্সট থেকে আর যত উন্নয়ন ততো টেক্সট।

এভাই চলতে থাকে উন্নয়ন। দেশ অর্ধউন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেটা সিক্রিতি দেয় জাতিসংঘ। বহি বিশ্বে শুরু হয় ছোট খাটো রাজনৈতি,শুরু হয় ছোট খাটো যুদ্ধ সেই সম্পন্ন প্রভাব এসে পড়ে বিশ্বের সব রাষ্ট্রের উপর হিস সিম খেতে থাকে উন্নত রাষ্ট গুলো। আর ছোট ছোট রাষ্ট তো দাড়িতে থাকাই কষ্ট হয়ে যায়।

এটার প্রভাব ও পরে আমার আলোচনা বিষয় দেশটিতে। দেশের দ্রব্যর দাম এমনেই বেশি তার পরে যখন আরো বেশি করা হয় সরকার থেকে তখন তো দেশের লোক মেনে নিতে রাজি নয়, এতোটাই দাম বাড়ে যে কিছু শ্রেণির লোক তো বিশ্বাসই করে না এই রকম দাম হয়ে পারে।

কিন্তু একটা সময় সব ঠিক হয় যায়।  আমি দাম স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলছি না বলছি মানুষের কথা তারা একটা মেনে নেয়। তাদের সহ্য হয়ে যায় তারা আর এখন ভয় পায় না জানে ন্যায্য দাম পাবে না ফসলের,তার পরেও ফসল উৎপাদন করবে কারণ তারা আর কিই বা করবে,কারাণ তারা  তো কিছু করতে জানে না।

দেশে শিক্ষার হার বেড়ে যায় আর বেকারত্বের হার ও যায় বেড়ে। একটা যোগ্য লোককে চাকরি করতে হয়ে গুনতে হচ্ছে লক্ষধিক টাকা।

তাও কি পাওয়া যায় সোনার হরিণকে। যোগ্যতা টাকা নিতে দাঁড়িয়ে আছে চাকরির ভিক্ষার জন্য তাও পাচ্ছে না। বর্তমান চলতে এমন এই দেশের অবস্থা। এটা কোনো সিনেমার কাহিনি, নাটক,উপন্যাস,হলে হয়তো আমি এর জন্য একটা নায়কের এন্টি করে দিয়ে লেখা শেষ এ সবার সুখের রচনা করতে পারতাম।

কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্য এটা একটা সত্যি কাহিনি যেটা একটা স্বাধীন গণতান্ত্রিক দেশ নিয়ে লেখা। চাইলেই ইতিহাস বদলাতে পারি না। এখন সম্পন্ন উপর ওয়ালার ইচ্ছে এই দেশের ভবিষ্যৎ তারই হাতে। দেখা যায় কি হয় দেশের পরবর্তী ইতিহাস। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ