ঈদের আনন্দে আত্তহারা সবাই, ঈদের খুশিতে নানা রংবেরং এর সাজে সজ্জিত সবাই, রং বেরং এর পোশাকে নিজেকে সাজ্জিত হওয়ার সাথে সাথে নিজের হাত দুখানা মেহেদি রাঙ্গীয়ে লালটুক করে সবাই।
কিন্ত একটু সর্তকথা অবলম্বন না করলে ঘনিয়ে আসতে পারে মহাবিপদ নিজের পায়ে নিজে কুরাল মারার মত। বর্তমান ডিজিটাল যুগের মানুষ সবসময় নিজের স্বার্থ নিয়ে চলে।
কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের ছলনায় নকল পন্যে বাজার সয়লাভ , তাই সাবধানতা অবনম্বন করে সঠিক পন্য নিয়ে নিজে ও পরিবারের সদস্যদের ব্যবহার করা আমাদের কর্তব্য ।
মেহেদি কি?
মেহেদি একটি ছোট সুপুস্পক উদ্ভিদ যেটার পাতা সবুজ কিন্তু বেটে হাতে লাগালে রং তৈরি হয়। আদিকাল থেকে মানুষ চুল ও হাত রাঙ্গাতে এটি ব্যবহার করে আসছে।
সবুজ পাতা বেটে হাতে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করলে অটোমেটিক রং ট্রান্সফর হয়ে হাতে বসে ।লোকজনের ধর্য্য কম হওয়ার অপেক্ষা করতে চায় না সব কিছু তারাতারি করতে চায় এই ধর্যহীনতাই ডেকে আনছে মহাবিপদ।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে কৃত্তিম মেহেদি আবিস্কার হওয়ার লোকজন এটার উপর ঝুকেছে। তারাতারি রং লেগে যাওয়ায় কারনে লোকজন এটার উপর আকৃষ্ট।
তারাতারি রং লাগে কেন ,এটাই বুঝতে হবে , মানবদেহের উপর এটি মারাত্মক ঝুকি নিয়ে আসে , যার কারনে এটি তাৎক্ষানিক চর্মরোগ সহ বিভিন্ন এলার্জী সৃষ্টি করে ।
প্রাকৃতিক মেহেদি:
সাধারনত মেহেদিগাছ হতে পাতা সংগ্রহ করে তা বেটে পেস্ট করে হাতে ব্যবহার করা হলে তাতে কোন রকম ক্ষতি ছাড়াই রং পাওয়া যায় ।
এই মেহেদি ত্বক এবং চুলের উপকার করে ,চুলে ব্যবহার করলে চুল উঠে যাওয়া বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে চুল রঙ্গীন হয় ।
কৃত্তিম মেহেদি :
কৃত্তিম মেহেদি হল: গবেষকদের দ্বারা ল্যাবে বিভিন্ন রকম রাসায়নিক পদার্থ একত্রে মিশ্রিতকরে বৈজ্ঞানিক উপায়ে প্রস্তুত করা এক ধরনের পেস্ট ।
যেটা ব্যবহারে মানুষের ত্বকে তারাতারি রং বসে যায় , এবং বিভিন্ন ডিজাইনে হাতে নক্সা আকা যায়।
কৃত্তিম মেহেদিতে যে সকল বজ্র উপাদান :
১. রেড -অক্সাইড যেটা কাঠের তৈরি ফার্নিচারে রং করতে ব্যবহার করা হয় ।
২. পিপিডি (para-phenylene-diamine)
এটা কালির রং , সকল প্রকার মেহেদির উপাদানে এটির উপস্থিতি রয়েছে ।
৩. কার্বলিক এসিড : এটা মানুষের ত্বকের কোষ নস্ট করে এবং রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমায় ফলে মেহেদির রং তারাতারি হাতে বসে।
৪. তার্পিন, কেরোসিন ,গেসোলিন, কর্পুর ইত্যাদি ক্ষতিকর পদার্থ কৃত্তিম মেহেদির উপাদান থাকে, যা মেহিদির রন্জক পদার্থ লাসোনের ঘনত্ব বাড়ায় ফলে মেহেদির রং গাঢ় হয় ।
৫. মেহেদির রং গাঢ় ও উজ্জল করার জন্য কাল ও লাল রংয়ের ডাই ব্যবহুত হয়।
ভেজাল মেহেদির ক্ষতি:
১. এতে ব্যবহুত কর্পুরের ঘ্রান শ্বসন তন্ত্রের ক্ষতি করে দেহের রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কমায় ।
২. কূত্তিম মেহেদির মধ্যে ফেনলের উপস্থিতি শরীরের তক্বের ক্ষতিসাধন করে ।
৩. তার্পিনতেল কেরোসিন এবং কার্বলিক এসিড শরীর ঝলসে দিতে পারে ।
৪. এর কেমিক্যাল ডাই শরীরে ক্যানসার তৈরি করে
৫. এগুলো কেমিক্যাল শরীরের সংস্পর্শে আসলে শরীর দিয়ে শুষিত হয়ে ভিতরে প্রবেশ করে লিভার কিডনিসহ অনান্য অঙ্গ-প্রতাঙ্গের ব্যাপক ক্ষতি করে ।
মেহেদি ব্যবহারের আগে করনীয় :
ভাল কোন কোম্পানীর দামি ব্যান্ডের মেহেদি ব্যবহার করবেন , প্রথমে অল্প একটু মেহেদি আপনার স্কিনে লাগিয়ে দেখতে পারেন কোন স্কিন ইফেক্ট হয় কিনা,যদি কোন সমস্যা না হয় তাহলে সেটি ব্যবহার করতে হবে অনথ্যায় সেটি বর্জন করতে হবে।
শেষকথা : সামান্য অল্পকয়েকটি টাকার ব্যবধানে ব্যান্ডিং কোম্পানীর মেহেদি ব্যবহার নাকরে ননব্যান্ডিং কোম্পানীর আ্যড দেখে মনভুলানো কথা শুনে ভেজাল মেহেদির ব্যবহার করলে এমন বিপদ হবেই।
তাই একটু সচেতনতাই আপনাকে এ রকমের মহাবিপদ থেকে মুক্তি দিতে পারব । তাই সাবধানতা অবলম্বন করে কূত্তিম মেহেদির ব্যবহার না করে , প্রাকৃতিক মেহেদি ব্যবহার করতে হবে।
এতে কোন রকম বিপদের রিক্স ছাড়াই চিন্তা মুক্ত থাকা যাবে । প্রাকৃতিক মেহেদির ব্যবহারে বিভিন্ন রকম উপকার হবে।
You must be logged in to post a comment.