কেয়ারটেকার -০৩ মোহাম্মদ শামীওম বাছির
কামরুল চাচা খুব সযত্নে আহসান সামীকে দ্বীন শিক্ষা দিচ্ছেন। আহসান সামী ও আরবী হরফ শিখে এখন দেখে দেখে আরবী রিডিং পড়তে পারে।কিছু সূরা মুখস্থ করেছে নামাজ পড়ার জন্য।
এখন নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করছে। বিষয়টা আহসান সামীর বাবার নজরে এলো। তার বাবা প্রচন্ড ইসলাম বিদ্বেষী লোক।
ইসলামের কোন শব্দ এ শুনতে পারে না।আহসান সামীকে বকাঝকা করে।এইসব কুসংস্কার। সৃষ্টিকর্তা বলতে কোন কিছু নাই। তোমাকে বিপদগামী করতেছে।কামরুল সাহেব হয়তো জঙ্গিবাদের সাথে জড়িত।
আহসান সামীর বাবা সোলায়মান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটে অভিযোগ দায়ের করে।পরের দিন পুলিশের একটা টিম এসে কামরুল চাচাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।আহসান সামীর বুজতে বাকি নাই।
তার বাবা এই কাজ করেছে। আহসান সামী অস্থির হয়ে পড়ে।সে বিষয়টি আব্দুল্লাহ ভাই, তামিম ভাইকে জানান। খুব তারাহুরো করে সামীর বাসায় আসেন।তার বাবার সাক্ষাৎ কামনা করেন।
আহসান সামীর মায়ের রিকুয়েষ্টে সাক্ষাৎ এ রাজি হয়।আব্দুল্লাহ ভাই সালাম দিয়ে মুসাফাহ করেন।সোলায়মান সাহেবের নিকট থেকে বিস্তারিত শুনেন।
সোলায়মান সাহেব আল্লাহ বলতে কোন কিছু বিশ্বাস করে না।এখন তামিম ভাই বললেন যদি আমরা প্রমান করতে পারি আল্লাহ একজন আছেন আপনি কি কামরুল চাচার বিরুদ্ধে করা অভিযোগ তুলে নিবেন?.হ্যা অবশ্যই তুলে নিবো।
এর মধ্যে সামির মা চা পরিবেশ করলেন।
আব্দুল্লাহঃ আচ্ছা চাচা এই যে চায়ের কাপটা কি এমনি এমনি তৈরি হয়েছে নাকি কেউ তৈরি করেছে?
সোলাইমানঃ না কেউ তৈরি করেছে। এমনি এমনি এ তো আর কোন কিছু তৈরি হয় না।এর জন্য কারো অনেক কষ্ট, মেধা শ্রমের প্রয়োজন হয়েছে।
আব্দুল্লাহঃ রাইট তার মানে কাপের একজন স্রষ্টা আছে।যে এটা তৈরি করেছে।
সোলাইমানঃ হ্যা।
আব্দুল্লাহঃ তাহলে আপনি আর আমাকে ও তো কেউ না কেউ সৃষ্টি করেছে। আমরা তো আর আপনা আপনি তৈরি হয় নাই।
আমাদের স্রষ্টা আমাদের তৈরি করেছেন।
(সোলাইমান শাহের এতক্ষণে টনক নড়েছে।)
সোলাইমানঃ আসলেই তো।এভাবে তো চিন্তা করি নাই।
তামিমঃ তাহলে প্রমান হলো আল্লাহ একজন আছেন।আসুন আমরা কামরুল চাচাকে মুক্তি করি!
সোলাইমানঃ থাকলেও থাকতে পারে!!
চলুন!
You must be logged in to post a comment.