বুর্জ খলিফা উচ্চতা কত তলা। বুর্জ খলিফা নির্মাণ ব্যায় কত টাকা ? বুর্জ খলিফার ইতিহাস

পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবনের নাম কি? বিল্ডিংটি কত তলা বিশিষ্ট এবং কোথায় অবস্থিত? 
আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু বিল্ডিং কোথায় অবস্থিত এবং কত তলা বিশিষ্ট!

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

আরব আমিরাতের দুবাই শহরে পযর্টকরা এখানে অনেক সময় বেড়াতে আসেন আর বুর্জ খলিফার সৌন্দর্য উপভোগ করেন।

এই ভবনটির উচ্চতা ১৬৩ তলা বিশিষ্ট (৮২৮ মিটার বা ২ হাজার ৭১৪ ফুট) ওঠা যায় ১২৪ ও ১৪৮ তলায়।বুর্জ খলিফার " নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে, আর কাজ শেষ হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে।

এটি তৈরীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এর বাইরের আশেপাশে অবস্থিত ফোয়ারা নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে ১৩৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড।

এই ভবনে ১,০৪৪টি বাসা (Apartment ) আছে। ৪৩তম এবং ৭৬তম তলায় দুটি সুইমিং পুল রয়েছে।

বুর্জ খলিফাতে  আরমানি হোটেল-এর লবি উদ্বোধন করা হয়েছে। তাই ইচ্ছা করলে আপনারা সেখানে থাকতে পারেন।

তবে সেক্ষেত্রে একরাত থাকতে হলে প্রতিজন প্রায় ৩৯,০০০ টাকা দিতে হবে। শুনে নিশ্চয়ই অনেক অবাক হচ্ছেন। 

অবাক হওয়ার কিছুই নেই। বুর্জ খলিফা তৈরি করতেও কম খরচ হয় নি।  বিলিয়ন বিলুয়ন টাকা খরচ হয়েছে।

সেহেতু ভাড়া বেশি হওয়ায় স্বাভাবিক ব্যাপার।  এছাড়াও বুর্জ খলিফার কাছে তাজ দুবাই, দুসিত থানি দুবাইয়ের মতো হোটেল গুলোতে ৫,৫০০ থেকে ৬,৫০০ টাকার মধ্যে দুইজন রাতে থাকতে পারবেন। বুর্জ খলিফার একটি ফ্লাটের দাম প্রায় ২০০ কোটি।

বুজ খলিফার হলো  আরবি শব্দ।  বুর্জ খলিফার বাংলা অর্থ খলিফার টাওয়ার'। এ ভবনটি উদ্ভাবন  দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম। 

তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ খলিফা বিন জায়েদ আল নাহিয়ানের সম্মানে ভবনটির নামকরণ করেন বুর্জখলিফা।

২০১০ সালের ৪ জানুয়ারী আরব আমিরাতের দুবাই শহরে অবস্থিত এই ভবনটি উদ্বোধন করা হয়।সূর্য ডোবার পরেও বিল্ডিংটি উপর তালার লোকজন আরো ২ মিনিট ধরে ☀ সূর্যকে দেখতে পায়।

বুর্জ তৈরীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ  হয়েছে। সবচেয়ে আনন্দের বিষয় হচ্ছে বুর্জ খলিফায় ১২৪ তলায় উঠতে সময় লাগে ১ মিনিটের মতো। অনেকেই হয়তে বিশ্বাস করতে পাচ্ছেন না। 

বিশ্বাস না হলে একবার সেখানে গিয়েই দেখুন কত দ্রুত লিফ্টগুলো। বুঝতে হবে পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু ভবন। উচ্চতা অনেক বেশি,  আকাশছোঁয়ার মতো। সেহেতু কারুকাজগুলো অনেক সুন্দর হবেই তো।

দুবাই এ কোনাকাটা কেমনঃ দুবাইতে রয়েছে মূল্যবান কেনাকাটার সুযোগ। তবে আপনি যদি মূল্যবান ব্র্যান্ডের জিনিস কিনতে পছন্দ করেন তাহলে দুবাই হতে পারে আপনার অন্যতম পছন্দ।

ডিউটি ফ্রি কিংবা করমুক্ত কেনাকাটা ইত্যাদি নানা সুবিধার প্রলোভন বিক্রেতারা দিলেও বাস্তবে এখানে আপনার কমদামে জিনিস কেনার সুযোগ খুবই সীমিত।

দুবাই এ বুকিং দেওয়ার টেকনিকঃ দুবাইতে ভ্রমণের ক্ষেত্রে বুকিংয়ের জন্য আলাদা কিছু কৌশল খাটাতে হবে। হোটেল বুকিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যয়বহুল হোটেলগুলোর সাইটে না যাওয়াই ভালো।

তার বদলে airbnb.co.in, vrbo.com, 9flats.com সাইটগুলোতে যেতে পারেন। এরা আপনার জন্য কম খরচে হোটেল বা অ্যাপার্টমেন্টে থাকার ব্যবস্থা করবে। এদের সাইট থেকেই অনলাইনে বিস্তারিত জেনে নিতে পারবেন।

আশা করি সম্পূর্ণ পোস্টটি আপনারা পড়েছেন। আমি সর্বদা সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি ৷ আমার পোস্টের লেখাতে যদি কোনোপ্রকার ভূল পেয়ে থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করবেন।

নামাজ বাদ দিয়ো না বন্ধু ।  নামাজ পড়ো বন্ধু , এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেক সুন্দর♥️।
সকলে ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এ কামনায় করি।..…. 🥀আল্লাহ হাফেজ🥀

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ