প্রিয় বন্ধুরা আজ তোমাদের সামনে ভূতের সত্য ঘটনা তুলে ধরবো ।যা আমাদের গ্রামের কিছু লোকের সাথে ঘটে যাওয়া সত্য ঘটনা ।তোমরা নিশ্চয়ই দাদা-দাদি নানা নানীর মুখে ভুতুড়ে কাহিনী শুনেছো ।তাদের সাথে বা তাদের দাদা দাদির সাথে ভুতুড়ে সত্য ঘটনা গুলো ঘটেছে ।
পৃথিবীতে সত্যিই ভুত আছে তবে তারা নিজের আসল রূপে সবার সামনে না আসলেও মানুষ কিংবা অন্য কোন প্রাণীর ভেসে টিক -ই সুযোগ পেয়ে মানুষকে ভয় দেখাতে আসে ।
আর এসব ঘটনা বেশি ঘটে প্রায় আগেকার যুগে যখন আমাদের দেশে শহুরে ছোয়া লাগেনি। এখন আমাদের গ্রামের সত্য ঘটনা গুলো শুনো ।ভালো করে না পড়লে বুঝতে অসুবিধে হবে তাই মনোযোগ দিয়ে পড়ো।
সে সম্পর্কে আমার বড় ভাই ।তখন আমার জন্ম হয়নি বড় হয়ে কাহিনী গুলো শুনে গায়ে কাটা দিয়ে ওঠে ।এ যেন রূপকথার গল্প কে হার মানায় বললে বিশ্বাস হবে না কিন্তু এটা বাস্তব দিব্যি খেয়ে বলছি ।আমার ভাই বোন এর মধ্যে তিনি সবার বড় যখন তিনি ছোট বলতে দশ -বারো বছরের ছিলেন তখনকার কথা।তার নাম রনি ।তিনি দেখতে অনেক সুন্দর ছিলেন ।সাদা ধবধবে শরীর আর মাশাআল্লাহ সুন্দর চেহারার অধিকারী ।
রনি ভাই ছোট বেলায় হঠাত্ করে আচমকা ব্যবহার করে উদ্ভট আচরণ ।রাত নাই দিন নাই ঘর থেকে বেরিয়ে যায় ।খুজতে খুজতে থাকে পাওয়া যায় হয়তো মসজিদ এ নয়তো কবরস্থান এ।
পরিবারের সবাই চিন্তিত কি হয়ে গেল হঠাত্।এদিকে ডাক্তার কবিরাজ দেখানো হলো ।ডাক্তার তো রোগ ধরতে পারেনি আর কবিরাজ ও তেল পড়া দিলো ঝাড়ফুঁক করে কোন কাজ হয়নি।
আমাদের গ্রামের রাস্তার পাশে একটা তালগাছ ছিল ।একদিন রাতে রনি ভাই ঘর থেকে বেরিয়ে যায় তখন আজানের কিছুক্ষণ আগে।দেখেন উনি বিছানায় নেয় আর সবাই মিলে অনেক খুঁজে ও পাচ্ছে না ।সবার টেনশন কোথায় গেল ।পরে আমার দূর সম্পর্কে দাদি হন তিনি সকালে আজানের সাথে সাথে ওঠে নামাজ পড়েন ।তার ঘরটা থেকে রাস্তার পাশের তালগাছ টা মুখোমুখি।
আর তালগাছ টা কবরস্থান এর পাশেই ছিল ।তো ওই বৃদ্ধ মহিলা যখন অজু করতে ঘর থেকে বের হয় টিউবওয়েল থেকে পানি এনে ঘরের সামনে অজু করতে আরম্ভ করতে ওপরে তাকিয়ে দেখেন তালগাছ এ আমার ভাই ।তালগাছ এ যে শক্ত পাতার শাখা তাতে অচেতন হয়ে পড়ে আছেন।পরে তিনি তিনি তাড়াতাড়ি সবাই কে ডেকে রনি ভাই কে গাছ থেকে নামালেন।
এরকম ঘটনায় আমার পরিবারের সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ।পরে তাড়াতাড়ি মসজিদ এর হুজুর এনে দোয়া সূরা কে- রাত পড়ে সুস্থ করলেন
তারপর এক প্রতিবেশীর বললেন যে লক্ষীপুর একটা জিন হুজুর আছে তাকে এনে দেখালে মনে হয় ভালো হবে। যে যেখানে বলে সেখানেই যাওয়া হয় কিন্তু কোন কাজ হয় নি ।তবু এখানে গিয়ে দেখি যদি ভালো হয় ।পরের দিন জিন হুজুরের কাছে নিয়ে যাওয়া হলো।ঝাড়ফুঁক করে পানি আর তেল পড়া দিলেন।
আর জিন হুজুর বলে দিলেন শনিবার তিনি আমাদের বাড়িতে এসে রাতে আসন বসবেন মোমবাতি আগরবাতি এগুলো এনে রাখতে ।
পরে শনিবার তিনি আমাদের বাড়িতে আসেন রাতে আসন দেন।অন্ধকার ঘরে মোমবাতির আলোয় ঘর আলোকিত।জিন হুজুর বির বির করে আস্তে আস্তে কিছু পড়ছেন ।তারপর জিন ভর করল আমার ভাই এর শরীরে।তারপর একে একে সব বললো ।
জিনেরা বলল তারা সাত বোন তাদের ভাই নেই তারা আরও বললো রনি কে আমাদের পছন্দ হয়েছে আমরা তাকে আমাদের সাথে তুলে নিয়ে যাবো।পরে জিন হুজুর অনেক তদবির করে তাদের রাজি করায়।পরে জিনেরা রনি ভাই কে ছেড়ে চলে যায় ।
পরে রনি ভাই আগের মত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে ।এরকম আরও মজার মজার ভুতুড়ে সত্য ঘটনা জানতে আমার বাংলা ভূতের গল্প পার্ট টু গল্পটি পড়ুন।এতক্ষণ আমার সাথে থাকার জন্য সবাই কে ধন্যবাদ ।
You must be logged in to post a comment.