সফল হতে যে গুণগুণ আপনার মধ্যে অবশ্যই থাকতে হবে

আসসালামু আলাইকুম , আশাকরছি মহান রাব্বুল আলামিন এর অশেষ কৃপায় সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। প্রতিটা সাফল্যের পিছনে রয়েছে অক্লান্ত পরিশ্রম । আমরা সবাই জানি পরিশ্রম হলো সাফল্যের অন্যতম চাবিকাঠি। সাফল্য অর্জনের জন্য পরিশ্রমের বিকল্প কোন কিছু নেই। আমরা প্রতিটি কাজে সিাফল্য অর্জন করতে গেলে আমাদের বেশকিছু পয়েন্ট এর উপর আমাদের নির্ভর করতে হয়। যেমনঃ

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

ইতিবাচক চিন্তাঃ প্রতিটি কাজের সাফল্যের পিছনে প্রেথমে যেটা প্রয়োজন তা হল ইতিবাচক চিন্তা এবং মনোভাব। একটি কাজ দেখে প্রথমেই যদি নেতিবাচক ভাবে নেওয়া হয়, তাহলে সেটা নিয়ে কাজ করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। একবার সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইলেও সেটা পিছনের দিকে বেশি টানে। তাই কাজটি আর করা হয়না।

তাই ইতিবাচক বাবে নিলে কাজটি করতে ইচ্ছে হয়। ইতিবাচক মনোভাব মনে সৃষ্টি হলে অনেক বড় বড় বাধাও ছোচ বাধাতে পরিণত হয়। অল্পতে না ঘাবরিয়ে ইতিবাচত চিন্তা মনে রেখে সামনে পরিশ্রমের মাধ্যমেই সফলতা আনা সম্ভব। আমরা ্টাও জানি যে, সবার দ্বার সবকিছু সম্ভব হয়ে ওঠেনা।

যারা নেতিবাচক মনোভাব নিয়ে থাকে তারা অনেকটাই পিছিয়ে থাকে , ভারেঅ কাচজ খুব সহজেই সফলতা আনতে সক্ষম হয়না। আর যারা ইতিবাচক চিন্তা মনের মধ্যে পোষণ করে তারা অনেক সফলতা অর্জন করে থাকে।

পরিকল্পনাঃ যে কাজটি কররে আপনি সফল হবেন। সেই কাজকে ঘিরে পরিকল্পনা করতে হবে। পরিকল্পনা ছাড়া কোন কাজই সুষ্টুভাবে সম্পন্ন হয়না। তাই দরকার সঠিক পরিকল্পনা। একটি ভালো পরিকল্পনা ভালো সাফল্য অর্জন করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে একটি মন্দ পরিকল্পনা মন্দ কাজে ধাবিত করে।

আমরা যেহেতু কঠোর পরিশ্রম এর মধ্য দিয়েই ভালো সাফল্য পেতে চাই তাই আমাদের সবষিয়ে ভালো পরিকল্পনা থাকতে হবে।

প্রতিযোগিতাঃ সফলতা অর্জন করতে হলে মনের মধ্যে প্রতিযোগিতা পোষণ করতে হবে। প্রতিটা ভালো কাজের পিছনে প্রতিযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ্ । সবাই পারলে আমাকেও পারতে হবে। আমি সবার থেকেই সামনে থাকব। কারো থেকে পিছনে থাকবোনা। প্রতিযোগিতা নিয়েই কাজ করতে হবে। প্রতিটা কাজেই প্রতিযোগিতা থাকে।

যেমনঃ দৌড় প্রতিযোগিতা। যারা ভালো জোরে দৌড়াতে পারে, তারাই পুরুস্কার অর্জন করে। যারা কম জোরে দৌড়াতে পারে তারা পুরুস্কার অর্জন করতে পারেনা। তাই প্রতিযোগিতা মনোভাব মনে রাখতে হকব।

বিশ্বাস এবং আস্থাঃ প্রতিটা কাজের মধ্যেই বিশ্বাস এবং আস্বা থাকতে হবে।যেত বড় কঠিন কাজ হোক না কেন, মনে করতে হবে আমি পারব। নিজের প্রতি বিশ্বাস থাকতে হবে। ততেই সফলতা পেতে বাধা আসবেনা। সেই সাথে পরিশ্রম করতে হবে। বিশ্বাস ছাড়া কোনকিছুতেই সফলতা আনা সম্ভব না। তাই সবকিছুতেই বিশ্বাস্থাপন করতে হবে।

মানুষ যখন একট ছোট দোকান দেয় । ধীরে ধীরে সে দোকানকে বড় করার জন্য মনের মধ্যে বিশ্বাস স্থাপন করে , আমি করব এবং পারব। ফলে একসময় ছোট দোকান থেকে বড় পরিসরে দোকান করে থাকেন এবং ব্যবসা তে সফলতা অর্জন করেন। যদি না বিশ্বাস না থাকত তাহলে পারত না। তাই বিশ্বাস অতি মূল্যবান।

রুটিন করা এবং সময়ের মূল্য দেওয়াঃ আমরা বড় বড় মনিষীদের কাহিনী থেকে অনেক শিক্ষা অর্জন করে থাকি। কোন সফলতা অর্জনের শুরুতেই যেমন প্রয়োজন কঠোর পরিশ্রম। তেমনি প্রতিটা কাজের রুটিন করা প্রয়োজন এবং সময় এর সঠিক ব্যবহার করা প্রয়োজন। সময়ের মূল্য দেওয়া প্রয়োজন।

প্রতিটি সেকেন্ড এর গননা করা প্রয়োজন রুটিন অনুযায়ী । কোন কাজ টা কখন করব , কোন কাজ টা কোন সময়ে করব । তবেই পরিশ্রম করে সফলতা আসবে। সময়মত কাজ , সময়মত, পরিকল্পনা, সময়ের মূল্য রুটিন অনুযায়ী অনেক গুরুত্বপূর্ন।

ইচ্ছাশক্তিঃ কোন কাজে সফল হতে চাইলে মন থেকে চাইতে হবে এবং ইচ্ছা শক্তি থাকতে হবে। যে কোন কাজ করতে গেলে যদি ইচ্ছা না থাকে তাহলে সেই কাজে সামনের দিকে আগানো যায়না। তাই সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য ইচ্ছাশক্তির প্রয়োজন। ভাবতে হবে, আমি পারব। আমার দ্বারাই সম্ভব। অন্যজনে পারলে আমাকেও পারতে হবে।

মনের মধ্যে সবসময় ভালো ইচ্ছাশক্তি জন্মাতে হবে এবং ভালো কিছু করতে হবে। ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমেও মানুষ  অনেক কিছু অর্জন করতে পেরেছে। একটা ভালো ইচ্ছাশক্তি মানুষকে উন্নতির উচ্চ শিখরে পৌছঅয়ে দেয়। যদি মনের মধ্যেই ইচ্ছাই না থাকে তাহলে পরিশ্রম করতে মন সাড়া দিবেনা এবং সাফল্য অর্জন করতেও পারা যাবেনা।

কঠোর পরিশ্রমঃ  সফলতা জীবনে তখনি পরিপূর্ণভাবে আসে যখন মানুষ কঠোর পরিশ্রম করে থাকে। কঠোর পরিশ্রম করলে যে কোন কঠিন কাজ ও সহজ মনে হয়। কঠোর পরিশ্রম এর দ্বারা জটিল কাজ সহজ ভাবে করা যায়। যতক্ষণ পর্যন্ত । কম পরিশ্রমে কম সফলতা আর বেশি পরিশ্রম এ বেশি সফলতা। আমরা অনেক পরিশ্রম আর সফলতার গল্প শুনেছি।

একটি পাখিও তার বাসা কে মজবুজ করার জন্য অনেকদিন ধরে খরকুটো কুড়িয়ে নিয়ে এস বাসাটাকে তৈরী করে এবং বসবাসের উপযোগী করে তোলে । একসময় সেইবাসাটাও মজবুত হয় এবং বৃষ্টি ও ঝড়ের মধ্যেও তার বাচ্চাদেরকে নিয়ে সেই মজবুত বাসায় বসবাস করে। সেখানে কঠোর পরিশ্রম তাকে করতে হয়।

মটিভেশনঃ যখন অনিচ্ছা মনের মধ্যে পোষণ করবেন তখন আর সামনের দিকে এগোতে মন চাইবে না। তখন নিজেই নিজেকে মটিশেন করতে হবে। মনকে কে ভালো রাখতে এবং ইচ্ছাশক্তি বৃদ্ধি করতে মটিভেশন হচ্ছে শ্রেষ্ঠতম উপায়। আমরা জানি যে, এই মটিভেশন এর গুরুত্ব ব্যাপক। তাই এই পন্থা কে ও কাজে লাগাতে পারি।

মানুষ চাইলেই অনেক অসাধ্য সাধন করতে পারে। যা আমরা মটিভেশন থেকেই শিখতে পারি। বিশ্বের সকল ভালো কার্য সম্পন্ন হয়েছে মটিভেশন এর মাধ্যমে। যারা সহজেই সবকিছু মনে নিতে পারেনা , তাদের কে মটিভেশন এর মাধ্যমে সঠিক পথ দেখানো যায়।

আগ্রহ এবং সন্তুষ্টিঃ প্রতিটা জিনিসের জন্য মানুয়েসর যেমন আগ্রহ থাকে। তেমনি সফলতা অর্জনের জন্য ও আগ্রহ থাকতে হবে। সেই সাথে কঠোর পরিশ্রম। আগ্রহ না থাকলে সেই জিনিসের প্রতি অনীহা চলে আসবে। তাই আগ্রহ থাকটিা খুবই জরুরী।  আমরা যা অর্জন করি না কেন সেটাকে নিয়ে আমাদের সন্তুষ্টি থাকতে হবে।

সেই সাথে আরো ভালো কিছু করার আগ্রহ মনের মধ্যে পোষণ করতে হবে। 

পরিশ্রম  মানুষকে সকল কাজের জন্য সহযোগিতা করে। বড় বড় মনীষী , সাফল্য মন্ডিত ব্যাক্তি দের কাহিনী থেকে আমরা অনেক কিছুেই শিক্ষা পাই । সকল উন্নত এবং সফলতা এর পিছনে কঠোর পরিশ্রম অন্যতম ভূমিকা পালন করে। যা আমাদের উন্নতের উচ্চ শিখরে পৌছাতে আমাদের সাহায্য করে। যে কোন সমস্যার সঠিক সমাধান পেতে এবং লক্ষ্য অর্জন করতে  কঠোর পরিশ্রম যেন কাউকে হার মানাতে পারেনা। কঠোর পরিশ্রম করলেই যেন সাফল্য আসবেই ।

ধন্যবাদ সবাইকে

মোছাঃ শারমিন আক্তার সোনিয়া

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

I am always positive