প্রথম গর্ভবতী হলে সর্তক হন?

গর্ভবতী হওয়া প্রতিটি মায়ের একটি স্বপ্ন ঠিক  সম্মানের ও।প্রতিটি মা চাই তার সন্তানের মুখ দেখতে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

এই সময়টা তে প্রতিটি মায়ের উচিত যে কোন কাজ করার আগে  সাবধানতা অবলেপন করা এবং সচেতন থাকা ।

সামান্য ভুলের কারণে  ঝুঁকিতে পড়তে পারে গর্ভাবস্থা একজন মা ও বাচ্চা। এই জন্য এই সময়টা তে অনেক  নিয়ম-কানুন  মেনে চলতে হবে প্রতি গর্ভাবস্থা মাকে।

এ ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডা. দীনা লায়লা হোসেন। 

তিনি বলেন প্রতিটি গর্ভবতী মা চান নরমাল ডেলিভারী করতে। কিন্তু সেটা নির্ভর করে মা ও বাচ্চার শারীরিক, সুস্থতা ও গঠনের উপর।

আপনি গর্ভবতী জানার পর থেকে নিয়মিত  রোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিতে থাকেন।

সে আপনার  বাচ্চাকে সুস্থ ও সবল  ভাবে দুনিয়াতে আনতে সাহায্য করবে।নিয়মিত চেকআপ করানোর মাধ্যমে  নরমাল ডেলিভারির জন্য চেষ্টা করা যায়। 

তবে নরমাল ডেলিভারি হবে কিনা তা সঠিক ভভাবে বলা যাবে না। প্রেগনেন্সি স্বাভাবিক ও নিরাপদ রাখতে নরম ও হজম যোগ্য খাবার খেতে হবে। 

এক্ষেত্রে  সেমাই,সুজি, ফল, শাক-সবজি খেতে পারেন।তবে ফাস্টফুড ও তেলে ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে। নাই তো অনেক বড় সমস্যার পড়তে পারেন।

শিরোনাম:

১. আপনি প্রেগন্যান্ট কি না বুঝবেন কি করে? তা জানতে পারবেন।

২. সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়? প্রেগন্যান্সি টেস্ট কীভাবে করে? তা জানতে পারবেন।

৩.গর্ভবতী হলে করণীয় কী? তা জানতে পারবেন।

৪.গর্ভবতী হলে যে খাবার গুলো খেতে হবে এবং যে খাবার গুলো পরিহার করতে হবে তা জানতে পারবেন।

৫. গর্ভাবস্থায় প্রতি তিন মাসে কি পরিবর্তন ঘটে? তা জানতে পারবেন।

৬.গর্ভাবস্থায় ৫ টি বিপদ থেকে বাচতে কোন কোন টিকা নিতে হয় এবং কেনও নিতে হয় তা জানতে পারবেন? তা জানতে পারবেন।

৭.গর্ভাবস্থায় কোন কাজগুলো করা যাবে না ? তা জানতে পারবেন।

৮.সন্তান জন্ম দেওয়ার পরবর্তীতে মায়ের যত্ন কিভাবে নিবো? তা জানতে হবে। বিস্তারিত :

১. আপনি প্রেগন্যান্ট কি না বুঝবেন কি করে?

সাধারণত মেয়েদের মাসিক বা ঋতুচক্র  নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর যদি মাসিক বা ঋতুচক্র না হয় তাহলে প্রথমিক ভাবে বুঝতে হবে আপনি প্রেগন্যান্ট।তবে এটা নাও হতে পারে।

কারণ পরিবেশ বা আবহাওয়া অথবা শরীলের গঠনের দিক দিকে মাসিক বা ঋতুচক্র ২ দিন আগে ও ২ দিন পরে হতে পারে।

এ ছাড়া কারো কারো ক্ষেত্রে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দেয়- যেমন: মাথা ঘুরানো,  স্তনে  চাপ দিলে ব্যাথা অনুভব হয়,  ক্লান্তি অনুভব করা, বমি বমি লাগা,।

তবে এসব লক্ষণ থাকলেই যে আপনি গর্ভবতী সেটা সুনিশ্চিত ভাবে বলা সম্ভব নয়।আপনি গর্ভবতী কি না তা জানার জন্য সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল প্রেগন্যান্সি টেস্ট করা।

আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট কিটের সাহায্যে খুব সহজে ঘরে বসেই জেনে নিতে পারবেন আপনি গর্ভবতী কি না।

২. সহবাসের কতদিন পর প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে হয়?প্রেগন্যান্সি টেস্ট কীভাবে করে?

আপনার যে মাসে  পিরিয়ড মিস হয়েছে সেই মাসে যদি  অনিরাপদ সহবাস করে থাকেন, অর্থাৎ কোনো জন্মনিরোধক পদ্ধতি না নিয়ে সহবাস করেন-যেমন: কনডম, পিল বা বড়ি, ইনজেকশন ব্যবহার না করে সহবাস করে থাকেন, সেক্ষেত্রে  তখনই আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে নিতে পারেন।

পিরিয়ড শুরু হওয়ার সম্ভাব্য তারিখটি জানা না থাকলে অনিরাপদ সহবাসের কমপক্ষে ২১ দিন পরে টেস্ট করেও আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনি গর্ভবর্তী কি না। 

প্রেগন্যান্সি টেস্ট:

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য আপনার নিকটস্থ  ওষুধের দোকান বা ফার্মেসি থেকেই কিট কিনে   প্রেগন্যান্সি টেস্ট করতে পারবেন।

এ ছাড়া নিকটস্থ কোনো ক্লিনিক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, হাসপাতাল বা গাইনী ডাক্তারের চেম্বারে গিয়েও আপনি প্রেগন্যান্সি টেস্ট করাতে পারেন।

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করার জন্য প্রসব দিয়ে কিট টা ভেজাতে হবে এবং ৫/১০ মিনিট পর দেখবেন কিটে কয়টা লাল দাগ আছে।

যদি দেখেন ১ টা লাল দাগ আছে তা হলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী না আর যদি ২ টা দাগ থাকে তা হলে বুঝবেন আপনি গর্ভবতী। একেকটি টেস্ট কিটের ধরন একেক রকম, তাই ব্যবহারের আগে অবশ্যই বক্সের গায়ে লেখা নির্দেশাবলী ভালোমতো পড়ে নিবেন।

৩.গর্ভবতী হলে করণীয় কী?

প্রেগন্যান্সি টেস্ট করে যদি বুঝতে পারেন আপনি গর্ভবতী তা হলে আপনার প্রাথমিক করণীয় হবে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বা একজন গাইনী ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা।

স্বাস্থ্যকর্মী বা একজন গাইনী ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ডেলিভারির আগ পর্যন্ত চেকআপ করা এবং সকল আদেশ নিদেশ মেনে চলা।

গর্ভাবস্থার  সাধারণত নিচের বিষয়গুলো মেনে চলার পরামর্শ দেয়া হয়–

 ক। গর্ভবতী হওয়ার প্রথম ৩ মাস বা ৯০ দিন পর্যন্ত দৈনিক ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক এসিড সেবন করতে হবে। ফলিক এসিড ট্যাবলেট আকারে পাওয়া যায়।

খ। দৈনিক ১০ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন ডি ট্যাবলেট সেবন করতে পারেন।

গ। গর্ভাবস্থায় নানান রকম ইনফেকশনের ঝুঁকি থাকে। তাই এসময় কাঁচা বা ভালোভাবে রান্না হয়নি এমন খাবার খাওয়া যাবে না।সব সময় নরম ও হজমশীল জাতীয় খাবার খেতে হবে।

ঘ। গর্ভের শিশুর সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য  ধূমপান- মদপান,  অতিরিক্ত চা-কফি পান করা যাবে না।

ঙ। ভারী কাজ কর্ম করা যাবে।ভেজা ছেতছেতে জায়গায় দিয়ে হাটা চলা করা যাবে না।

চ। দুর ভ্রমন করা যাবে। উচু নিচু জায়গায় দিয়ে গাড়ি চলা যাবে না।

৪.গর্ভবতী হলে যে খাবার গুলো খেতে হবে এবং যে খাবার গুলো পরিহার করতে হবে:

ভিটামিন যুক্ত খাদ্য মা  ও বাচ্চার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একজন গর্ভবতী মহিলার খাদ্য তালিকাই সুষম,আমিষ,খনিজ,আয়োডিন,ভিটামিন ও মিনারেল এই ৬ টি উপাদান মিশ্রিত খাবার দিতে হবে।

যাতে গর্ভবতী অবস্থা খাদ্য ঘাটতি না হয়,যদি খাদ্য ঘাটতি হয় তা হলে মা ও বাচ্চার জীবন সংকটে পড়তে পারে। আবার এমন কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে ক্ষতি হবে তাই ঐ সকল খাবার গুলো পরিহার করে চলতে হবে।

গর্ভবতী হলে যে খাবার গুলো খেতে হবে:

ক। ফল ও শাকসবজি :

দিনে ৪/৫ বার ফল এবং ৬/৭ বার শাক-সবজি খাওয়া চেষ্টা করবেন।শাক-সবজিতে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে এবং তাজা ফল ও সবজি খাওয়াই বেশি স্বাস্থ্যকর।

খ। স্টার্চ জাতীয় খাবার :

লাল চালের ভাত, রুটি, পাস্তা, আলু ইত্যাদি স্টার্চ জাতীয় খাবার। শর্করা জাতীয় খাবার শরীরে  প্রচুর পরিমানে এনার্জি বা শক্তি যোগায়।

গ। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার :

চর্বিহীন মাংস, মুরগী, মাছ, ডিম, ডাল (মটরশুঁটি, মসূর ডাল) ইত্যাদি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারেরর অন্তভুক্ত।  আমিষ জাতীয় খাবার গর্ভের শিশুর শরীরের নতুন টিস্যু গঠন করার জন্য সাহায্য করে।

সপ্তাহে ২ /৩ দিন মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। তৈলাক্ত মাছ বা সামুদ্রিক মাছ সপ্তাহে ১ দিন খেতে পারেন,যেমন: সারডিন, স্যামন

ঘ। দুগ্ধজাত খাবার:

দুধ, পনির, দই ইত্যাদি খাবারগুলো ক্যালসিয়ামের প্রধান উৎস। এই সকল খাবারে চিনি ও ফ্যাটের পরিমাণ যেন কম থাকে সেটি খেয়াল করতে হবে। ফ্যাট জাতীয় খাবার শিশুর মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে।

গর্ভবতী হলে যে খাবার গুলো খাওয়া যাবে না:

ক। কাঁচা ডিম:

ডিম পুষ্টিকর একটি খাবার। অনেকেই কাঁচা ডিম খাওয়ার অভ্যাস থাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় কাঁচা ডিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ কাঁচা ডিমে সালমোনেলা নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে। যা মা ও বাচ্চা ক্ষতি করতে পারে। তাই ডিম ভালোভাবে সিদ্ধ না করে খাওয়া যাবেনা।

খ। অর্ধসিদ্ধ মাংস :

অনেকেই অর্ধসিদ্ধ বা পোড়া মাংস খেতে পছন্দ করে। এগুলো মা ও বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক। কারণ অর্ধসিদ্ধ মাংসে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।প্যাকেট জাত মাংস যেমন- সসেজ খাওয়া থেকেও বিরত থাকতে হবে। মাংস ভালো ভাবে সিদ্ধ করে রান্না করতে হবে।  

গ। অপাস্তুরিত দুধ:

হালকা গরম করে দুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। দুধকে ভালোভাবে ফুটিয়ে তারপর খেতে হবে। অপাস্তুরিত দুধ বা কাঁচা দুধে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকে।  অপাস্তুরিত দুধ দিয়ে তৈরি খাবার যেমন- নরম পনির খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।

ঘ। ক্যাফেইন:

কফি ক্লান্তি দূর করার জন্য কার্যকর হলেও গর্ভাবস্থায় এর পরিমাণ কম করতে হবে। চা, কফি ইত্যাদিতে ক্যাফেইন থাকে।

দৈনিক ২০০ গ্রামের বেশি ক্যাফেইন গ্রহণ করা ঠিক নয়। অতিরিক্ত ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কম ওজনের শিশু জন্ম গ্রহণ করে। এমনকি মিস ক্যারেজের মত ঘটনাও ঘটতে পারে।

ঙ। সামুদ্রিক মাছ:

আমরা সকলেই জানি যে,সামুদ্রিক মাছ স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু অধিক পরিমাণে খেলে গর্ভের শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কারণ সামুদ্রিক মাছে পারদ জাতীয় পদার্থ থাকে।

চ। কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে:

গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কাঁচা বা আধা পাকা পেঁপে খাওয়া বিপদজনক। কারণ এতে গর্ভপাতের মত ঘটনা ঘটতে পারে।

Harvard School of Public Health   প্রেগনেন্ট নারীদের জন্য হার্ভার্ড হেলথি ইটিং প্লেট নামে নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে।

যেখানে তারা আস্ত শস্য দানার খাবার খাওয়ার জন্য গুরুত্ব আরোপ করেছে। স্বাস্থ্যকর ভেজিটেবল ওয়েল গ্রহণের পরামর্শ দেন।

দুধ  ও দুগ্ধজাত খাবার সীমিত পরিমাণে অর্থাৎ দিনে ১/২ বার খাওয়ার জন্য বলেছে। লাল মাংস সীমিত পরিমাণে এবং প্রসেসড মিট এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলেছে।

এছাড়াও রিফাইন্ড শস্য দিয়ে তৈরি সাদা পাউরুটি ও সাদা চালের ভাত এড়িয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করার কথা বলা হয়েছে । চিনিযুক্ত পানীয় এড়িয়ে যেতে বলা হয়েছে । নিয়মিত ব্যায়াম করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

৫. গর্ভাবস্থায় প্রতি তিন মাসে কি পরিবর্তন ঘটে:

মা হওয়াটা কী এক্সাইটিং অনুভূতি, তাই না?আপনার  দেহের ভেতরেই আরেকটা প্রাণ ধীরে ধীরে বেড়ে উঠছে! প্রথম দিকে  কিছুই অনুভাব  করা যায়না। দেখতে দেখতে বাচ্চা পেটের ভেতরে নড়াচড়া শুরু করে।

প্রেগনেন্সির সময়টাকে তিন মাস করে ভাগ করা হয় যাকে Trimesters  বলে। প্রতিটা Trimesters আপনার এবং আপনার গর্ভের শিশুর পরিবর্তন এবং গ্রোথ কীভাবে হবে তা নিশ্চয়ই জানতে  ইচ্ছা করে। তো চলুন  জেনে নেওয়া যাক।

প্রথম তিন মাসে মায়ের দেহে পরিবর্তন সমূহ :  

একজন গর্ভবতী নারীর শরীরে গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে বেশ কিছু লক্ষ দেখা যাই । 

ক। প্রেগনেন্সি হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধির ফলে বমিবমি ভাব ও বমির সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

খ। কারো কারো বিভিন্ন জিনিসের গন্ধের প্রতি সংবেদনশীলতা দেখা দেয়। 

গ। অত্যন্ত দুর্বল অনুভব করা

ঘ। স্তন নরম হওয়া ও ফুলে যাওয়া

ঙ। পেট খারাপ হওয়া

চ। খাবারে অরুচি বা খুব বেশি ক্ষুধা পাওয়া 

ছ। মেজাজের পরিবর্তন

জ। কোষ্ঠকাঠিন্য

ঝ। বুক জ্বালাপোড়া করা

ঞ। ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া

ট। মাথাব্যথা করা ইত্যাদি।

গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসে গর্ভবতী মহিলার শারীরিক পরিবর্তন সমূহ : 

প্রথম তিন মাসে ভ্রূণের বৃদ্ধি :

আমেরিকান কলেজ অফ অবসটেট্রিশিয়ান এন্ড গাইনেকোলজিস্ট (ACOG) এর মতে, গর্ভাবস্থার প্রথম মাসে বাচ্চার হৃদপিণ্ড ও ফুসফুসের গঠন হওয়া শুরু হয়। এই সময়েই বেবির হাত, পা,  মস্তিষ্ক, স্নায়ুরজ্জু এবং স্নায়ুর গঠন ও শুরু হয়ে যায়।

ভ্রূণের আকার তখন হয় একটি মটর দানার মত। দ্বিতীয় মাসে ভ্রূণের আকার বৃদ্ধি পেয়ে শিমের বিচির মত হয় এবং গোড়ালি, কব্জি, আঙ্গুল ও চোখের পাতা গঠিত হয়। হাড়ের প্রকাশ হওয়ার সাথে সাথে যৌনাঙ্গ এবং অন্তঃকর্ণ এরও বিকাশ শুরু হয়।  

দ্বিতীয় মাসের শেষের দিকে ভ্রনের ৮-১০ টি প্রধান অঙ্গ গঠিত হয়। গর্ভাবস্থার প্রথম তিন মাসেই গর্ভপাত হয় ও ভ্রূণের জন্মগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে। তাই এই সময়ে ক্ষতিকর কোন ঔষধ গ্রহণ  করা উচিৎ নয়।

গর্ভাবস্থার তৃতীয় মাসে হাড় ও পেশীর বৃদ্ধি শুরু হয়। ভবিষ্যৎ দাঁতের জন্য ভিত্তি তৈরি হয় এবং হাত ও পায়ের আঙ্গুলের বৃদ্ধি হয়। এই সময়ে অন্ত্রের গঠন শুরু হয় এবং ভ্রূণের ত্বক প্রায় স্বচ্ছ  থাকে।

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাসে গর্ভবতী মহিলার শারীরিক পরিবর্তন সমূহ : 

এই সময়ে গর্ভবতী মহিলার শরিলে এনার্জি বেশি প্রয়োজন হয়। ভ্রুনের বিকাশের সাথে সাথে নারীর শরীরের সামনের অংশের ওজন  অনেক  বৃদ্ধি। তাই ঐ সময়ে গর্ভবতী মহিলার পিঠে ব্যথা শুরু হয়।গর্ভবতী মহিলার ১৬-১৮ সপ্তাহ হলে  ভ্রূণের প্রথম নড়াচড়া টের পাই।    

দ্বিতীয় তিন মাসে ভ্রূণের বৃদ্ধি :

গর্ভাবস্থার দ্বিতীয় তিন মাসে গর্ভস্থ ভ্রূণের অনেকটা বৃদ্ধি হয়। এই সময়ে ভ্রুন ৩-৫ ইঞ্চি লম্বা হয়। যদি হবু বাবা-মা আগাম জানতে চাই তাদের ছেলে না মেয়ে সন্তান হবে তাহলে ১৮-২২ সপ্তাহে আল্ট্রাসাউন্ডের করার  মাধ্যমে ভ্রূণের লিঙ্গ জানতে পারে।

গর্ভাবস্থার ৪ মাস:

এই সময়ে গর্ভের সন্তানের  ভ্রু, পাপড়ি, নখ এবং ঘাড় গঠিত হয়। এই সময়ে ভ্রূণের ত্বক কুঞ্চিত থাকে এবং হাত ও পা বাঁকা করতে পারে।

কিডনি কাজ করা শুরু করে এবং প্রস্রাব উৎপাদন করতে পারে। এই সসময়ে গর্ভস্থ শিশু মায়ের  ঢোক গিলতে এবং কথা  শুনতে পারে।

গর্ভাবস্থার পঞ্চম মাস:

এই সময়ে গর্ভের সন্তানের  ভ্রুন সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং মা তার নড়াচড়া অনুভব করতে পারেন। এই সময়ে গর্ভস্থ শিশু নিয়মিত সময়ে ঘুমায় ও জেগে উঠে। সূক্ষ্ম লোম গজায়  এবং ভ্রূণের ত্বকের সুরক্ষায় মোমের আবরণ তৈরি হয়।

গর্ভাবস্থার ছয় মাস:

এই সময়ের গর্ভের সন্তানের  ভ্রূণের চুল উৎপন্ন হয়। চোখ খোলা শুরু করে এবং মস্তিষ্কের বিকাশ খুব দ্রুত হয়। ফুসফুস পুরোপুরি গঠিত হয়ে গেলেও কাজ করা শুরু করেনা।   

গর্ভাবস্থার শেষের তিন মাসে গর্ভবতী মহিলার শারীরিক পরিবর্তন সমূহ : 

গর্ভাবস্থার তৃতীয় তিন মাসে গর্ভবতী নারীর জরায়ু বড় হতে থাকে। ফুসফুস পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রসারিত হতে পারেনা বলে শ্বাসকষ্ট হয়। মুখের ত্বকে কালো দাগ পড়তে পারে এবং পেট, উরু, ব্রেস্ট ও পেছনে স্ট্রেচ মার্ক দেখা দেয়।     

শেষ তিন মাসে ভ্রূণের বৃদ্ধি :  

গর্ভাবস্থায় সপ্তম মাসে গর্ভস্থ শিশু পা দিয়ে পেটে লাথি মারে এবং আলো ও শব্দের প্রতি প্রতিক্রিয়াশীল হয়। সে চোখ খোলে ও বন্ধ করে।

গর্ভস্থ শিশুর শরীরে অত্যাবশ্যকীয় খনিজ আয়রন ও ক্যালসিয়াম সংরক্ষণ শুরু হয়ে যায়। 

 গর্ভাবস্থার আট মাস:

এই সময় ভ্রুন খুব দ্রুতই ওজন লাভ করে। শরীরের হাড় শক্ত হতে থাকলেও মাথার খুলি নমনীয় থাকে যাতে  প্রসব সহজ হয়।

মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চল গঠিত হয় এবং ভ্রুন হেঁচকি তুলতে পারে। গর্ভস্থ শিশুর শরীরে ফ্যাট বৃদ্ধি পায়। ফলে তার আকার বড় হতে থাকে এবং নড়াচড়া করার স্থান কমে যায়। নড়াচড়ার গতি কমে গেলেও মা নড়াচড়া অনুভব করতে পারে।

গর্ভাবস্থার নবম  মাস:

এই সময়ের  ভ্রূণের আবাসস্থল প্রসারিত হয় এবং জন্মের জন্য ভ্রুনের মাথা শ্রোণি অঞ্চলের নীচের দিকে ঘুরে যায়। তখন  ফুসফুস তার কাজ পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণ রূপে প্রস্তুত হয়ে যায়। 

তবে এখানেই আপনার দায়িত্ব শেষ নয়। গর্ভাবস্থায় অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তার পরামর্শে চলাফেলা করবেন।  আপনার ও আপনার অনাগত সন্তানের জন্য অনেক শুভকামনা রইল।

৬.গর্ভাবস্থায় ৫ টি বিপদ থেকে বাচতে কোন কোন টিকা নিতে হয় এবং কেনও নিতে হয়।

 গর্ভাবস্থায় ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী টিকা গ্রহণ করতে হবে। টিকা দিলে শিশুকে ধনুষ্টংকার, ফ্লুসহ ৫টি বড়  রোগের হাত থেকে রক্ষা করা যাই। এমনকি গর্ভাবস্থায় এই টিকা গুলো  আপনারও বড় কোন রোগ থেকে  রক্ষা করবে।

এই টিকাগুলো দিলে সহজে আপনি দুর্বল হবেন না, শারীরিক ও মানসিক ভাবে উপকৃত হবেন। তাই গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ৫টি টিকা দিন। তা না হলে শিশু শারীরিক অসুস্থতা নিয়েই জন্মা গ্রহন করবে।

কারণ গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্যের প্রভাব শিশুর উপর পড়ে।তাই সন্তান জন্মগ্রহণ করার আগেই তার যত্ন নিতে হবে।

নিচে ৫টি টিকার নাম দেওয়া হলে:

ক। ফ্লু এর টিকা

খ। টিটেনাস/ডিপথেরিয়া/পারটুসিস টিকা

গ। হেপাটাইটিস বি এর টিকা

ঘ। হেপাটাইটিস এ এর টিকা

ঙ। নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন 

ক। ফ্লু এর টিকা:

মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (The Centers For Disease Control And Preventio) ফ্লু এর ঋতুতে অর্থাৎ নভেম্বর থেকে মার্চে মাস পর্যন্ত সময়টাতে যে সকল নারীরা গর্ভবতী হবেন তাদেরকে ফ্লু শট নেয়ার পরামর্শ দেয়। ফ্লু এর টিকা মৃত ভাইরাস দিয়ে তৈরি বলে মা ও গর্ভজাত  সন্তান উভয়ের জন্যই নিরাপদ। 

ফ্লুতে আক্রান্ত হলেও জ্বর, মাথা ব্যথা, পেশীর ব্যথা, গলা ব্যথা ও কাশির মত যন্ত্রণাদায়ক উপসর্গ গুলো দেখা দেয়। সাধারণত ৪ দিনেই উপসর্গগুলো কমতে থাকে। তবে কাশি ও দুর্বলতা ২ সপ্তাহ বা তার চেয়ে বেশি সময় ধরে থাকতে পারে।

খ। টিটেনাস/ডিপথেরিয়া/পারটুসিস টিকা(Tdap):

Tdap ভ্যাকসিন যাকে DTP ভ্যাকসিনও বলা হয়, এটি একটি সংমিশ্রণ ভ্যাকসিন যা তিনটি সম্ভাব্য জীবন-হুমকিমূলক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে, যথা: টিটেনাস, ডিপথেরিয়া এবং পারটুসিস (হুপিং কাশি)।Tdap মানে টিটেনাস, ডিপথেরিয়া টক্সয়েডস, এবং অ্যাসেলুলার পারটুসিস। 

১. টিটেনাস(T) সাধারণত কাটা বা ক্ষত মাধ্যমে আপনার শরীরে প্রবেশ করে। এটি স্নায়ুতন্ত্রকে আক্রমণ করে, যার ফলে অত্যন্ত বেদনাদায়ক পেশীর খিঁচুনি ওঠে। চোয়ালের খিঁচুনি ওঠলে আপনি মুখ খুলতে পারবেন না। টিটেনাস আক্রান্ত পাঁচজনের মধ্যে একজন মারা যাই।

২. ডিপথেরিয়া (D) হল একটি অত্যন্ত সংক্রামক রোগ। যা গলায় ঘন ধূসর ঝিল্লি তৈরি করে এবং শ্বাস নিতে অসুবিধা হয়। ডিপথেরিয়া হার্টের পাশাপাশি স্নায়ুর ক্ষতি করে।

৩. পারটুসিস ( ap) যাকে হুপিং কাশি বলা হয়।এটি একটি সংক্রামক রোগ যা শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে। এটি প্রথমে একটি সাধারণ সর্দির মতো দেখা যাই। 

গ। হেপাটাইটিস বি এর টিকা:

CCD এর মতে সকল গর্ভবতী নারীরই হেপাটাইটিস বি শনাক্ত করণের পরীক্ষা করা উচিৎ। হেপাটাইটিস বি ভাইরাস জনিত সংক্রামক রোগ।গর্ভাবস্থায় হেপাটাইটিস বি এর টিকা নিলে মা ও শিশু দুজনই  নিরাপদ থাকে। আপনার পরিবারের যদি  কেউ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাহলে এই টিকা নেওয়া সবচেয়ে ভালো।

হেপাটাইটিস বি এর ফলে যকৃতের প্রদাহ, বমি বমি  ভাব, ক্লান্তি এবং জন্ডিসের মত রোগ দেখা দিতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী লিভার ডিজিজ, লিভার ক্যান্সার এবং মৃত্যু ও হতে পারে।গর্ভবতী নারী যদি হেপাটাইটিস বি তে আক্রান্ত হন তাহলে ডেলিভারির সময় ইনফেকশন হয়ে নবজাতকের মধ্যে ছড়াতে পারে। সঠিকভাবে চিকিৎসা করা না হলে শিশুর পূর্ণ বয়স্ক অবস্থায় মারাত্মক যকৃতের রোগ হওয়ার ঝুঁকিতে থাকে।

ঘ। হেপাটাইটিস এ এর টিকা:

হেপাটাইটিস এ সাধারণত ছড়ায় সংক্রমিত পানি ও খাবারের মাধ্যমে। জ্বর, ক্লান্তি ও বমি বমি ভাবের মত লক্ষণগুলো দেখা দেয় এই রোগে আক্রান্ত হলে।হেপাটাইটিস বি এর সংক্রমণ মারাত্মক কোন রোগ নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই অসুস্থতা গর্ভজাত সন্তানের উপর কোন প্রভাব ফেলে না। 

ঙ। নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন:

গর্ভবতী মহিলার  যদি দীর্ঘমেয়াদী কোন রোগ যেমন- ডায়াবেটিস অথবা কিডনি রোগ থাকে তাহলে নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন নিতে হবে।

যা কয়েক ধরণের নিউমোনিয়া থেকে সুরক্ষা দেয়। গর্ভজাত সন্তানের ক্ষতির বিষয়টি এখনো অজানা, তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে নিউমোকক্কাল ভ্যাক্সিন দিলে সন্তানের এই রোগের ঝুকি  কম থাকে।

 এছাড়াও গর্ভবতী মহিলার আরো  ৫ টি বিপদ চিহ্ন:

একজন গর্ভবতী নারীর যে কোন সময় যে কোন বিপদ দেখা দিতে পারে। পরিবারের সবার গর্ভকালীন ৫ টি বিপদ চিহ্ন সম্পর্কে জেনে রাখলে গর্ভবতী মহিলার তেমন কোন ক্ষতি হয় না।নিচের ৫টি লক্ষনের মধ্য যে কোন একটি দেখা দেয়া মাত্র তাকে নিকটস্থ  স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে।

ক। রক্ত ক্ষরণ

খ। প্রচন্ড জ্বর

গ। তীব্র মাথা ব্যথা এবং চোখে ঝাপসা দেখা

ঘ। খিচুনী

ঙ। অনেক ক্ষণ ধরে প্রসব বেদনা/ বিলম্বিত প্রসব (১২ ঘন্টার অধিক সময় ধরে থাকলে)

প্রসবকালীন  যে যে বিপদ লক্ষন দেখা দেয়:

ক। প্রসবের সময় মাথা ব্যতিত অন্য কোন অঙ্গ বের হয়ে আসা। 

খ। বিলম্বিত প্রসব। 

গ। অতিরিক্ত রক্তক্ষন।

ঘ। খিচুনী। 

ঙ। গর্ভফুল বের হতে বিলম্ব হওয়া। ৭.গর্ভাবস্থায় কোন কাজগুলো করা যাবে না :

গর্ভাবস্থায় কঠিন কাজ করা যাবে না যেমন-ধান মাড়াই, ধান ভানা, ঢেঁকিতে চাপা, সহবাস করা ইত্যাদি।

ক। ভারী কোন কিছু তোলা। 

খ। দূরে যাতায়াত করা। 

গ। ভারী কিছু বহন করা।

ঘ। শরীরে ঝাঁকি লাগে এমন কাজ করা।

ঙ। দীর্ঘ সময় কোন কাজে লিপ্ত থাকা।

চ। ঝগড়া ঝাটি,জরে কথা বলা এবং ধমক দেয়া।

ছ। জর্দ,তামাক, গুল ব্যবহার করা।

জ। ধূমপান বা অন্য কোন নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহণ করা।

ঝ। স্বাস্থ্য কর্মী বা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোন ঔষধ গ্রহণ করা

৮.সন্তান জন্ম দেওয়ার পরবর্তীতে মায়ের যত্ন কিভাবে নিবো:

সন্তান জন্ম দেওয়ার পর একজন মা অনেকটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ সময় তার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য ভিটামিন জাতীয় খাবার বেশি বেশি খেতে দিতে হবে।

যদি মায়ের শরীরকে সুস্থ রাখা যায় তাহলে নবজাতক শিশুকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা যায় শিশুর শরীরে সুস্থ থাকে। যদি সিজার করে সন্তান জন্ম দেওয়া হয় তাহলে পেটে চাপ না পড়ে এমন কাজ করতে হবে।

গাড়িতে চলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যাতে পেটে চাপ না পড়ে। যতদিন পর্যন্ত কাটা না শুকায় ততদিন পর্যন্ত ভারী কোন জিনিস নিয়ে হাঁটাচলা করা যাবে না। হাসাহাসি বাঘ আসতে গেলে পেটের বালিশ অথবা এ জাতীয় কিছু চেপে ধরে হাসতে হবে বা কাশি দিতে হবে।

কাটা ঘা যাবে তাড়াতাড়ি শুকায় সেজন্য হালকা গরম কাপড় দিয়ে আলতোভাবে কাঁটা স্থানের ছাত দিতে হবে।

যদি মনে হয় ইনফেকশন হয়েছে বা হওয়া সম্ভাবনা আছে তাহলে নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র অথবা হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হবে। সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক চলতে হবে।

পৃথিবীর সকল প্রেগনেন্সি মহিলাদের প্রতি রইল আমার অঢেল শুভেচ্ছা। প্রতি আমার শুভকামনা ও দোয়া রইল প্রতিটি মা যেন তার সন্তানের ভালোভাবে লালন পালন করতে পারে।

আমার আর্টিকেলটি যদি কোন প্রকার ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং কমেন্ট বক্সে জানিয়ে দিবেন কোথায় কি ভুল হয়েছে তাহলে পরবর্তী আর্টিকেলটি লেখার সময় সংশোধন করতে পারবো। 

নিবেদক

মোঃ আমির হামজা

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ