মহান রব্বুল আলামীন গোটা দুনিয়াকে কত সুন্দর করে সাজিয়েছেন৷ আপনি যদি সেই পরিপাটি শীতল ছায়ার কথা ভাবতে যান৷ তাহলে আপনি আপন চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটু ঘুরে দেখেন, পেয়ে যাবেন তার আসল রহস্য৷ আর সে রহস্যটা কি?
এগুলোর সৃষ্টি কর্তা কে? কেন সৃষ্টি করেছেন? কার জন্য সৃষ্টি করেছেন? আর যিনি এসব কিছুকে সৃষ্টি করেছেন তিনি কেমন? তার দয়ার দরওয়াজাটা কত মহান? সব কিছুর সমাধান পেয়ে যাবেন৷ আর কেনইবা পাবেন না?
অথচ আল্লাহ নিজেই বলে দিয়েছেন; তোমরা আমাকে চিনতে চাও? আমার পরিচয় সম্পর্কে অবগত হতে চাও? তবে আমাকে নয়, আমার সৃষ্টি জগৎকে নিয়ে চিন্তা করো৷ বুঝে উঠতে পারবে সব কিছু৷ অধম সেই সে চির সত্য বাণির অনুসরণ করতে গিয়ে একটু আধটু ঘুরাগুরি করি৷ এবং প্রভুর কুদরতের নিশানা দেখে সত্যি আমি বিস্মিত হই৷
পড়ন্ত বিকেলে সূর্যের কিরণ নিস্তেজ হয়ে, হলদে বর্ণ ধারণ করাতে। গ্রাম-গঞ্জের মেঠো পথ ধরে হাঠতে গেলে। প্রকৃতির ছোঁওয়ায় ভাসতে গেলে। মরা নদীর বুক চিরে মাঝি সেজে ভেড়াতে গেলে। সত্যিই মনে হয়,
যেন গভীর রাতে জোৎস্নার আলোর স্নিগ্ধতায় মুখরিত হয়ে আছি। চতুর্দিক থেকে পাখিদের গুণ গুণ আওয়াজ এসে কর্ণ-কুহরে ধ্বনিত হয়।নেমে আসে আকাশ থেকে নিরবতার এক মেঘমালা।
মুয়াজ্জিনের কুকিল কণ্ঠে উচ্চারিত হয় আজানের বর্ণ মালা, হৃদয় জগতে টগবগে এক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। মন জুড়ে বেয়ে যায় তৃপ্তির হাওয়া।বোধ হয়, সত্যিই এসবের পেছনে কারো কুদরতি ইশারা খেলছে। রয়েছে অপার দয়া। ইচ্ছা জাগে! ঐ মহান মালিকের তা'রিফাত জানতে। কে তিনি?
এতো সুশীল করে প্রকৃতিকে কে সাজিয়েছেন? অদৃশ্য থেকে জবাব আসে আল্লাহ! আল্লাহ! বলে৷ আচ্ছা এতো পরিপাটি শীতল ছায়ার পেছনে তার আসল রহস্যটা কি? কাদের জন্য এগুলাকে এতো সজ্জিবীত, উদ্ভাসিত করেছেন?
তার কি কোন চাওয়া পাওয়া আছে? আছে হক্ব বা অধিকার? খোলা যাক পবিত্র কালামুল্লা।একটু পড়ে আসা যাক। তিনি কী বলতে চান? ‘‘আমি মানব এবং জীন জাতিকে কেবল আমারই ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি।’’(সূরায়ে আয্ যারিয়াত ৫৬)। ও...আচ্ছা! তাই নাকি! তবে চলুননা, যিনি চাহনি বিহীন আমাদের জন্য এতো কিছু করে রেখেছেন। তার একটি মাত্র উদ্দেশ্য। আমরা সেটা পূর্ণ করি।
উনার বাতলে দেয়া পথকে আমরা অনুসরণ,অনুকরণ করে চলি। তবেই আমরা পেয়ে যাবো আজরে আ'যীম। কুরআন বলে; ‘‘যে আল্লাহ ও তার রাসূলের অনুসরণ করবে, সেই মহান সাফল্যের অধিকারী’’ (সূরায়ে আহযাব ৭১)।
প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ বলছিলাম এক পর্যটকের কথা৷ লেখক নিজেও সেই আলোচিত পর্যটক হতে পারেন৷ যাইহোক,প্রয়োজন নেই সেটি জানার৷
ঘড়ির কাটায় তখন বাদ আসর৷ পর্যটক সালাতুল আসর আদায় করে একটু হাটতে বেরিয়েছেন বাড়ির পাশের নদীর উপকূল বেয়ে৷ হঠাৎ চোখে পড়ে যায় এক জেলের নৌকা ৷
জেলেভাই নৌকা রেখে মাছ নিয়ে ছোটে চলেছে হাট-বাজারে৷ এদিকে নদী মরুভূমি হতে চলছে৷ একেবারে তল দেশে চলে যাচ্ছে তার পানি৷ পশ্চিমাকাশে সূর্যিমামা ঢলে পড়ছেন৷ নদী তার চিত্রকে আপন করে বুকে ধারন করে নিয়েছে৷ সব মিলিয়ে বেশ ভালই দেখাচ্ছিলো ৷
পর্যটক ভাবলেন, সুযোগটা হারানো যাবে না৷ তাই সঙ্গী সাথিদেরকে নিয়ে ছুটে চলেন মরা গাঙ্গের বুক চিরে ৷ প্রকৃতির মাঝে মিশে গেলেন তিনি৷ সালাতুল মাগরীব নৌকাতেই আদায় করলেন ৷
রাত ছিল ঝুঁনাকি, তাই ইশার আজান পর্যন্ত নদীতেই থাকেন৷ মহান রব্বুল আলামীনের কুদরতি ইশারায় গড়া সুমহান প্রকৃতিতে মুগ্ধ হয়ে কলম হাতে বসে পড়েন৷ তিনি কিছু একটা লিখতে চান৷ কিন্তু মনের ভাবটা প্রকাশে কলমের অশ্রু হার মানালো৷ তাই খানিকটুকু লিখেই সিজদায় লুটে পড়েন তিনি৷ সম্পর্ক জুড়িয়ে দেন আপন রবেব সাথে৷.......।
You must be logged in to post a comment.