আপনি কি পর্নোগ্রাফিতে আসক্ত? শত চেষ্টা করেও বিরত থাকতে পারছেন না? তাহলে এ লেখাটি আপনার জন্য।
বর্তমানে অনলাইনে পর্নোগ্রাফি দেখা যুবকদের অন্যতম একটি কাজে পরিণত হয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির কারণে পর্নোগ্রাফি একেবারেই সহজতর হয়ে গেছে।
স্কুল গ্রামের শিশুদের প্রায় ৭৭% শিশু নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখছে। আর তরুণ যুবকদের প্রায় ৯২% যুবক নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখছে।
কিছু যুবক বুঝতে পেরেছে যে পর্নোগ্রাফি তার জীবনে অনেক ক্ষতি টেনে আনছে। তাই সে যুবক নিজেকে পর্নোগ্রাফি থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এটি তার আসক্তিতে অর্থাৎ অভ্যাসে পরিণত হয়েছে তাই শেষ শত চেষ্টা করেও শত প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েও এটা থেকে বেঁচে থাকতে পারছে না
তো আমি প্রত্যেককে বলব যেন প্রত্যেকে লেখাটা পরিপূর্ণ করে এবং পর্নোগ্রাফি সম্পর্কে কিছু ধারনা মাথায় নেয়।
- আমি এখানে লিখব
- পর্নোগ্রাফি কি
- পর্নোগ্রাফি কতটা ক্ষতিকারক
- পর্নোগ্রাফি থেকে বেঁচে থাকার উপায় কি
১.পর্নোগ্রাফি কি?
পর্নোগ্রাফি বলতে বোঝায় যৌন উত্তেজনার সৃষ্টিকারী কোন অভিনয় অঙ্গভঙ্গি নগ্ন বা অর্ধ নগ্ন অশ্লীল ভিডিও চিত্র এরকম আরো বিভিন্ন কিছু যার কোন শিক্ষাগত মূল্য নেই এগুলোকে পর্ন বলা হয়ে থাকে।
২.পর্ণগ্রাফি কতটা ক্ষতিকারক?
অনেকে মনে করে যে পর্নোগ্রাফি এটি স্বাভাবিক বিষয়। এটি একটি ব্যক্তিগত বিষয়। এর মধ্যে ক্ষতি বলতে কোন শব্দই নেই। কিন্তু আমি তাদেরকে বলব এ ধরনের চিন্তা ভাবনা বাদ দিন।
আমি বলছি আপনাকে এটা কতটা ক্ষতিকারক?
মানবদেহের উপর পর্নোগ্রাফির অসংখ্য প্রভাব রয়েছে।
সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, এটি একটি কবিরা গুনাহ ।অতিরিক্ত গুনাহের কারণে মানুষ নেক কাজ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে ।তাই আমি বলব এটি পর্নোগ্রাফির সবচেয়ে ক্ষতিকারক দিক।
শারীরিকভাবে এটি মানবদেহে অনেক ক্ষতি করে যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। যারা পর্নোগ্রাফি দেখে তাদের মধ্যে ৯৯% এটা দেখে বীর্যপাত করে আনন্দ নেয়।
একটু ভাবুন, আপনি যখন পুষ্টিকর খাবার খান, তারপর তার শরীরে রক্ত তৈরি করে। তারপর 40 ফোঁটা রক্ত থেকে এক ফোটা বেড্য তৈরি হয় এবং তাতে থাকে অসংখ্য শুক্রানু ।যা সন্তান জন্ম হতে সহায়তা করে।
তো আপনার যখন বীর্যপাত হয় তখন আপনার থেকে কোটি কোটি শুক্রাণু একেবারেই নির্গত হয়ে যায়। আপনি যখন এটি বারবার করবেন তখন কি হবে ভেবে দেখুন।
এর ফলে মানুষের শরীর ক্লান্ত হয়ে পড়ে। তার শরীরের প্রত্যেকটা জয়েন্টে ব্যথা অনুভব হয়। কোন কাজ সে মনোযোগের সাথে করতে পারে না। তার কোন কিছু ভালো লাগে না।
কদিন পরে এসে যখন বিয়ে করবে তখন সে তার স্ত্রীকে পরিপূর্ণ সুখ দিতে পারবেনা। স্ত্রীর সাথে সর্বোচ্চ এক মিনিট কিংবা দুই মিনিট থাকার পর সে নিস্তেজ হয়ে পড়বে। এর ফলে সংসারে আসবে অশান্তি আর অশান্তি।
অতিরিক্ত বীর্যপাতের ফলে তার শুক্রাণু শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে সে বাবা হতে পারবেনা।
আর বিশেষত তার জন্য জাহান্নামে অপেক্ষা করছে যন্ত্রণাদায়ক আজাব।
৩. পর্নোগ্রাফি থেকে বেঁচে থাকার উপায়।
মুসলমান হিসেবে সর্বপ্রথম আপনাকে ভাবতে হবে এটা হারাম। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নিষেধাজ্ঞা আছে এতে।
আপনি যে জায়গায় থেকে এ কাজটি করছেন অর্থাৎ গুনাহ করছেন তখন আপনাকে ভাবতে হবে এখানে আমাকে কেউ না দেখলেও আল্লাহ আমাকে দেখতেছেন।
তাহলে আমি কিভাবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর সামনে এ গুনাহের কাজ করতে পারি।
এটা থেকে বেঁচে থাকার আরেকটা মাধ্যম হলো যখনই আপনার মাথায় খারাপ চিন্তা ভাবনা আসবে তখন আপনাকে বেশি বেশি আস্তাগফিরুল্লাহ পড়তে হবে এবং বাম দিকে মাথা ফিরিয়ে আউযুবিল্লাহ তিনবার পড়ে থুথু ফেলতে হবে।
যদি আপনার ভিতরে আল্লাহর ভয় থেকে থাকে আপনি আল্লাহকে বিশ্বাস করে থাকেন তাহলে পর্ণগ্রাফি থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটাই আপনার জন্য যথেষ্ট।
তারপরও যদি আপনি বেঁচে থাকতে না পারেন, তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে কোন জিনিস দিয়ে আপনি গুনাহ করছেন।
যে জিনিসটা অর্থাৎ হাতের মোবাইল ফোন, কিংবা কম্পিউটার, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, সেগুলো কিছুদিনের জন্য দূরে রাখতে হবে ছয় মাস কিংবা এক বছরের জন্য।
মনকে বোঝানো যে এটা কিছুদিনের জন্য তারপর তোকে আবার কিনে দেবো। এভাবে মনকে বোঝানো।
এবং অন্তরে শক্তভাবে প্রতিজ্ঞা করা।
আশা করছি পর্নোগ্রাফি থেকে বেঁচে থাকার জন্য এটাই আপনার জন্য সর্বোত্তম মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে।
ইনশাআল্লাহ।
You must be logged in to post a comment.