চলতি ২০২২ অর্থবছরে দেশের অধিকাংশ তরমুজ চাষিরা তাদের ক্ষেতে উৎপাদন ভাল না হওয়ার কারনে যেখানে হতাশ হয়ে পড়েছেন। সেখানে এক যুবক সবচেয়ে ভালো উৎপাদন করে সবাইকে রীতিমত অবাক করে দিয়েছেন।
তার ক্ষেতে তরমুজ এতটা ভালো হয়েছে, যে কেউ তার প্রজেক্ট পরিদর্শন করলে তার চোখ জুরিয়ে যায়। আগুনমুখা নদির তীরে ভেরিবাধ দিয়ে (যাতে নদীর পানি প্রজেক্টের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে) মাত্র পাঁচ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছে বাইতুল নামের এক যুবক।
বাইতুল বলে তরমুজ চাষ করাটা এতটাও সহজ কাজ নয় জনাব-!! যেকেউ চাইলেই তরমুজ চাষ করেতে পারেনা। এর জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক পরিচর্যা, নিয়মিত সেচদান, আগাছা দমন ব্যবস্থা, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি-এবং ফল আসলে কড়া নজর দারির পর ফল বিক্রি করে অর্থ রোজগার করা সম্ভব।
তিনি আরো বলেন,গত বছর করনা ভাইরাসের কারনে তিনি তরমুজ চাষে তেমন সুফলতা পায়নি। ভালো ফলন ও সঠিক সময় তরমুজ বিক্রি করতে না পারায় তিনি আর্থিক ভাবে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রায় ১,০০০০০ টাকা খরচ করে তিনি মাত্র ৩০,০০০ টাকার তরমুজ বিক্রি করেন।
পরবর্তীতে ত্রিশ হাজার টাকা দিয়ে তিনি একটা গরু ক্রায় করে, কয়েক মাস পরে তিনি ঐ একটি গরু ৭৫,০০০ হাজার টাকায় বাজারে বিক্রি করে , এবং ঐ টাকা দিয়েই পুনরায় তরমুজ চাষ করতে উদ্যেগি হন।
এবং পরবর্তিতে তিনি গরু বিক্রির টাকা -সম্বল নিয়ে আগুনমুখা নদীর তীরে কাউখালীতে পাঁচ একর জমিতে পুর্বের বছরের ন্যয় তরমুজ চাষ করেন। এবং ব্যেপক পরিমানে লাভবান হন। পাঁচ একর জমি থেকে তিনি ৮,৫০০ মত তরমুজ বাজার যাত করে, যার দাম গড়ে বা এভারিজে ৩০,০০০ টাকা করে শত।
মোট-তরমুজ বিক্রিত অর্থের পরিমান দাড়ায় ২৫,৫০,০০০ (পঁচিশ লক্ষ্য,পঞ্চাশ হাজার) টাকার। সুতরাং তার ভাশ্যমতে তিনি এবছর সারে পঁচিশ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। তিনি আরো বলেন তার ক্ষেতে একেকটা ফলের ওজন সর্বনিম্ন ১৩-২২ কেজি ওজনের হয়েছিল।
তিনি এখন এলাকার কৃষক দেরকে সঠিক নিয়মে যথার্থ পরিচর্চার মাধ্যমে তরমুজ চাষে উৎসাহিত করছেন। এবং ভবিষ্যতে আর বেশিকরে তরমুজ চাষ করতে ইচ্ছুক।
তরমুজে ভালো ফলন পেতে হলে: সবার আগে যে সব কার্যক্রম খুব গুরুত্বপূর্ণ, তার মধ্য অন্যতম হচ্ছে সঠিক ভুমি নির্বাচন করা। ভুমি প্রস্তুত করা, এবং সঠিক মাত্রায় শার প্রোয়োগ। এর পর বীজ বপন বা চারা রোপন করা। চারা সুস্থ ভাবে বেড়ে ওঠার জন্য রোগ বালাই দমন ব্যবস্থা।
সেচদান, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা প্রভিতি পরিচর্চার মাধ্যমে ভালো ফলন আসা করা যায়। তরমুজ ফল বড় হওয়ার সময় চোরের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে, তাহলে ভালো এংব মোটা অংকের অর্থ পাওয়ার আশা করা যায়। এবং ভালো মনের মানসম্মত বিজ সংগ্রহ করা সম্ভব। বাইতুলের এই হেরে গিয়েও,ঘুড়ে দাঁড়ানোর গল্পটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
You must be logged in to post a comment.