কম্পিউটার সি প্রোগ্রাম কি ?

যাদের কম্পিউটার সি প্রোগ্রাম বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন প্রয়োজন ছিলো, তাদের জন্য নিয়ে এসেছি সি প্রোগ্রামিংয়ের একটি পূর্ণাঙ্গ গাইডলাইন।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

কম্পিউটার সি প্রেগাম কী

সিটি একটি স্ট্রাকচারাল বা প্রোসিডিউর ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং  ল্যাঙ্গুয়েজ ।  বর্তমানে এটি মিড লেভেলের লেঙ্গুয়েজ হিসেবে জনপ্রিয় ।  

এটির নাম এসেছে মার্টিন রিচার্ডস এর উদ্ভাবিত বিসিপিএল ভাষা তেকে যা প্রাথমিক ক্যামবিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে রির্ভাস অডিয়েন্টেড কাজে ব্যবহত হতো।

 pdp-it কম্পিউটারে ব্যবহারের জন্য ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে সিটি প্রেগ্রাম উদ্বোধন করেন । প্রথম দিকে সি কেবল ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেমে ব্যবহার হতো ৷ 

C  কে মধ্যম স্তরের ভাষা বলার কারণ কী

সিটি এর জনপ্রিয়তা বাড়ার কারণ ছিলো এক কম্পিউটারে লেখা প্রোগ্রাম অন্য কম্পিউটারে ব্যবহাররের সুবিধা ।  সিটি দিয়ে সহজ ও উচ্চস্তরের এবং নিম্নস্তরের ভাষার মধ্যে সমন্বয় করা যায় ।

আবার  উচ্চ স্তরের ভাষায় (ফরট্রান)   মতো বিট বাইট ও মেমোরির অ্যাড্রেসের পরিবর্তে ভিবিন্ন ডাটা টাইপ ভেরিয়েবল নিয়ে কাজ করা যায় ।  

সি দিয়ে ইচ্ছামতো হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করে প্রোগ্রাম তৈরি করা যায়  । এবং এইসব প্রেগ্রামগুলো বেশ নমনীয় হয়।  এই জন্য 'সি' কে মধ্যবতী কম্পিউটার ভাষা বলা হয় । 

'সি' কে স্ট্রাকচার্ডা বা পোসিডিউর ওরিয়েন্টেড প্রেগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ বলার কারণ কী

সিটি কতগুলো সমস্যাকে ছোট ছোট আকারে বিভক্ত করে আলাদা ভেরিয়েবল স্টাকচার, ফাংশন ইত্যাদি বর্ণনা করা যায় । 

প্রয়োজনে if, while, for,  goto, ইত্যাদি কন্টোল স্টেটমেন্টের মাধ্যমে ভিবিন্ন অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা যায় কিংবা কোনো ফাংশন বা স্টাকচার পুনঃ ব্যবহার করা যায়।   এভাবে মুল সমস্যাকে একাদিক  অংশে বিভক্ত করে আলাদা আলাদা ফাংশন বর্ণনা করা যায় না । 

'সি' প্রোগ্রামের সুবিধা

একজন প্রোগ্রামারের যেসব সুবিধা ধরকার- যেমন - ভিবিন্ন ডাটা ব্যবহারের ব্যাপক স্বাধীনতা,  সল্পতায় সংখ্যক কি 

ওয়াড  দ্রুত ও দক্ষতার জন্য প্রোগ্রাম চালানো এবং একই সাথে উচ্চ এবং নিম্নস্তরের ভাষা সমন্বয় করা ইত্যাদি সব রকমের সুবিধা সি তে আছে ।  এই জন্য সব ধরনের প্রোগ্রামে 'সি'  প্রোগ্রামারদের আকর্ষন কেড়েছে 

'সি' ভাষা'র ভার্সন 

৭০ ও ৮০ শতকের সি এর জনপ্রিয়তা বাড়ার সাতে সাথে এর অনেক গুলো ভার্সন তৈরি করা হয় ।  ১৯৮৩ সালে আমেরিকান একটি সংস্তা সি এর আদর্শ একটি ভার্সন তৈরির জন্য একটি কমিটি গঠন করে।   

সি,  তে  প্রথম আশা আদর্শ ভার্সন টির নাম ছিলো ANSI-C নামে পরিচিত ছিলো । 

পরবর্তীতে ১৯৯০ সালে মাননিয়ন্তন সস্তা সি এর আদর্শ ভার্সিটি গ্রহন করে  যা সি ৯০ নামে পরিচিত ছিলো  । মুলতঃ সি ৮৯ এবং সিটি ৯০ একই ভাষা । 

সর্বশেষ ডিসেম্বরে ২০১১ সালে সি  প্রোগ্রামিং ল্যাংঙগুয়েজ সংস্করণ সি ১১ প্রকাশিত হয় ।  

'সি' প্রোগ্রামিং ভাষায় স্তর

১.সি একটি মধ্যস্তর ভাষা ।  এ ভাষায় কম্পিউটারে বিট পযায়ে হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ ও সিস্টেম প্রোগ্রাম রচনা করা যায় ।  

২.  এ ভাষায় উচ্চস্তরের ভাষার সুবিধা পাওয়া যায় 

৩. সি ল্যাংঙ্গুয়েজ দিয়ে সব ধরনের প্রোগ্রাম রচনা করা  যায়।  

৪.সি ল্যাংঙ্গুয়েজে মুল সমস্যাকে ছোটো ছোটো আকারে বিভক্ত করে প্রয়োজনীয় ভেরিয়েবল ফাংশন ক্ন্সটেন্ট ইত্যাদি ব্যবহার করা যায় ।  

৫. সি প্রোগ্রামের ভাষা শুরু হয় একটি ফাংশন main0  এর মাধ্যমে 

৬. ফাংশনের মধ্যে যেসব statement তাকে সেগুলোকে দ্বিতীয় বন্ধনীতে রাখতে হয়। 

৭. প্রতিটি statement এর শেষে সেমিকোলন (;)  দিতে হয়। 

 ৮. প্রোগ্রামে কোনো কমেন্ট ব্যবহার করতে হলে তার আগে /*এবং শেষে */ চিহ্ন ব্যবহার করতে হয়।

৯. প্রোগ্রামপ যেকোনো স্থানে যতগুলো ইচ্ছে কমেন্ট দেখা যায়। 

১০. সাধারণত সি ল্যাংঙ্গুয়েজ দিয়ে লিখা অন্য প্রোগ্রাম  মেশিনে চালানো যায়।  

১১.এতে অনেক সংখ্যক কম্পাউন্ড অপারেটর রয়েছে যেমন- +=,-=,*= ইত্যাদি।  

 'সি' প্রোগ্রামিং ভাষার অসুবিধা ঃ 

১.  সিটি ভাষাতে case sensitive ভাষার ফলে ছোট হাতে অক্কর এবং বড় হাতের অক্ষরের মধ্যে পার্থক্য লক্ষ করা যায়। 

২. পযাপ্ত আধুনিক ফাংশন নেই। 

৩. সি ভাষার নেম স্পেস অগ্রাহ্য করে। 

৪. সি ভাষাতে সঠিকভাবে চলক ঘোষণা করতে হয় 

প্রেগ্রামে রান করার সময় চেকিং করা যায় না। 

প্রিয় বন্ধুরা কম্পিউটার বিষয়ে যে কোনো প্রশ্নের উওর পেতে কমেন্ট করুন?

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ