কম্পিউটার বা ল্যাপটপকে ফাস্ট করার ১৫টি কার্যকরী উপায়।

১.বিজ্ঞাপনমুক্ত করুন: কম্পিউটারে এনটিভাইরাস সফটওয়্যার সকল বিজ্ঞাপনগুলি এবং অবাঞ্ছিত এন্ট্রি কাটিয়ে ফেলবে যা কম্পিউটারে কিছুটা ফাস্ট করতে সাহায্য করবে।

২.ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোসেসগুলি বন্ধ করুন: সিস্টেমে কিছু সফটওয়্যার ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোসেস চালু রেখে থাকে যা সিস্টেমের স্পীড নিম্ন করে।

সেসব ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোসেস বন্ধ করতে আপনি সিস্টেম ম্যানেজার ব্যবহার করতে পারেন। টাস্ক ম্যানেজারে গিয়ে আপনি সিস্টেমে চলমান সব প্রোসেস দেখতে পারবেন।

যে কোন ব্যাকগ্রাউন্ড প্রোসেসের উপর ক্লিক করে আপনি তাকে সিলেক্ট করতে পারবেন এবং সেই প্রোসেস কিল করতে হবে।

৩.অপটিমাইজ রেজিস্ট্রি: রেজিস্ট্রি হল একটি মার্কিন্গ সিস্টেম যা আপনার সিস্টেমের কাজের সমস্ত তথ্য সংরক্ষণ করে রাখে।

এটি কিছুটা একটি অ্যানাটমির মতো। সিস্টেমে কিছু সফটওয়্যার ইনস্টল করা হলে সেই সফ্টওয়্যারের তথ্য রেজিস্ট্রিতে সংরক্ষণ করা হয়।

এই রেজিস্ট্রি ফাইলটি অপটিমাইজ করা প্রয়োজন যা সিস্টেমে ব্যবহার করা সফটওয়্যার পরিবর্তনের সময় অধিক ত্বরান্বিত হবে।

রেজিস্ট্রি অপটিমাইজ করতে আপনি একটি রেজিস্ট্রি ক্লিনার সফ্টওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।কিছু জনপ্রিয় রেজিস্ট্রি ক্লিনার হল CCleaner, Wise Registry Cleaner, এবং Registry First Aid।

সতর্ক থাকুন যে, রেজিস্ট্রি মুছার সময় সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে, কারণ অনিচ্ছাকৃত ফাইলগুলি মুছলে সিস্টেম অপারেটিং সিস্টেমের সাথে সমস্যার হতে পারে।

৪.ভাইরাস স্ক্যান করুন: কম্পিউটারে ভাইরাস হলে তা সিস্টেমে ভারপ্রাপ্তি সৃষ্টি করতে পারে। তাই রেগুলারভাবে কম্পিউটারে একটি ভাইরাস স্ক্যানার চালানো উচিত।

একটি ভাইরাস স্ক্যানার সফটওয়্যার ইনস্টল করে আপনি কম্পিউটারের সমস্ত ফাইল স্ক্যান করতে পারেন এবং একটি ভাইরাস বা কোনো অন্য এনটিভাইরাস সফটওয়্যার ইনস্টল করে সংক্রান্ত ফাইলগুলি ডিলিট করতে পারেন।

৫.সফটওয়্যার আপডেট করুন: আপনার কম্পিউটারের সফটওয়্যার রেগুলারভাবে আপডেট করা উচিত হবে, কারণ নতুন আপডেট করা সফটওয়্যার আপনার সিস্টেমের সুরক্ষা বৃদ্ধি করতে পারে।

অনেক সফটওয়্যার স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপডেট হয়, কিন্তু আপনি নিজেও সফটওয়্যারগুলি চেক করতে পারেন এবং নতুন আপডেট পাওয়া গেলে সেগুলি ইনস্টল করতে পারেন।

৬.সিস্টেম ফাইলের স্ক্যান করুন: সিস্টেম ফাইলগুলি ক্র্যাশ করতে পারে এবং সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তাই নিয়মিতভাবে একটি সিস্টেম ফাইলের স্ক্যানার চালানো উচিত। উইন্ডোজ নিজেই একটি টুল উপস্থাপন করে যার নাম System File Checker (SFC)। আপনি এটি চালানো যাচ্ছেন কমান্ড প্রম্পট থেকে "sfc /scannow" লিখে এন্টার করে।

এটি সিস্টেমের সমস্ত ফাইল স্ক্যান করে সমস্যাগুলি সমাধান করতে সাহায্য করে।

৭.এনটিভাইরাস স্ক্যান করুন: এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার নিয়মিতভাবে আপনার সিস্টেমকে স্ক্যান করে মালওয়্যার, ভাইরাস এবং অন্যান্য ক্ষতিকর ফাইলগুলি খুঁজে বের করে এবং সেগুলি মুছে ফেলে আপনার সিস্টেমকে নিরাপদ রাখে।

নিয়মিতভাবে আপনার এনটিভাইরাস সফটওয়্যার আপডেট করা এবং স্ক্যান করা উচিত।

৮.সিস্টেম কনফিগারেশন করুন: সিস্টেম কনফিগারেশন উইন্ডোজের একটি টুল যা সিস্টেমের সেটিংস ও সফটওয়্যারের মধ্যে মধ্যে আলোচনা করে এবং সেটিংস পরিবর্তন করতে পারে।

আপনি সিস্টেম কনফিগারেশন চালানোর জন্য শুরু বাটনে ক্লিক করে এটি সন্ধান করতে পারেন। এটি সিস্টেম পারফরমেন্স এবং এনালাইজিস করে মধ্যম হয় যাতে সিস্টেম পরিচালনা করা হয়।

৯.নিয়মিতভাবে সিস্টেম আপডেট করুন: সিস্টেম আপডেট করা আপনার সিস্টেমের নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নতুন সিকিউরিটি প্যাচ, সফটওয়্যার আপডেট এবং অপারেটিং সিস্টেম আপডেট সিস্টেমটি নিরাপদ এবং পরিচালিত রাখতে সহায়তা করে।

১০.সিস্টেম পরীক্ষা: নিয়মিতভাবে সিস্টেম পরীক্ষা করা উচিত। নির্দিষ্ট সফটওয়্যার দ্বারা পরীক্ষা করা যেতে পারে যা সিস্টেমের স্থিতি ও সক্ষমতা সম্পর্কিত সমস্যার জন্য খোঁজ করতে পারে।

সিস্টেম পরীক্ষা সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়্যার পরীক্ষার মাধ্যমে হয়। এটি সিস্টেম কনফিগারেশন, হার্ডডিস্ক বিবরণ, প্রোসেসরের বিবরণ, মেমোরি বিবরণ, নেটওয়ার্ক বিবরণ এবং আরও অনেক কিছুর সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করতে পারে।

১২.সিস্টেম টুল ব্যবহার করুন: উইন্ডোজে অনেক প্রকারের সিস্টেম টুল রয়েছে যা আপনার সিস্টেম পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, টাস্ক ম্যানেজার, ডিস্ক ক্লিনার, ডিস্ক ডিফ্রেগমেন্টার, রেজিস্ট্রি ক্লিনার, সিস্টেম কনফিগারেশন, এন্টিভাইরাস এবং আরও অনেক কিছু।

১৩.সিস্টেম ফাইলগুলি চেক করুন: কোনও সিস্টেম ফাইল ক্ষতিগ্রস্ত হলে এটি আপনার সিস্টেমে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। 

১৪.আপনার হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন চেক করুন: কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনও একটি দীর্ঘসূত্র ফাস্ট করার জন্য। একটি পুরানো কম্পিউটার হার্ডওয়্যার নতুন কম্পিউটারের সাথে তুলনা করে কম কাজ করতে পারে।

তাই আপনি সিস্টেমের হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনটি চেক করে নিশ্চিত হউন যে এটি আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী কনফিগার করা হয়েছে।

১৫.ডিস্ক ক্লিনাপ করুন: সিস্টেমের ডিস্ক ক্লিনাপ করা হলে সেটির পারফরমেন্স বাড়াতে সাহায্য করে। সিস্টেমের ডিস্ক ক্লিনাপ করার জন্য আপনি উইন্ডোজের নিজস্ব ডিস্ক ক্লিনার টুলটি ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও, আপনি অন্যান্য ডিস্ক ক্লিনাপ সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles