হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়লে সফটওয়্যার এবং হার্ডওয়ার এর সকল পার্থক্য সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং কোনটি সফটওয়্যার এবং কোনটি হার্ডওয়ার সেটি খুব সহজে চিনতে পারবেন।

হার্ডওয়ার এর ১৫ টি বৈশিষ্ট্য:

১। হার্ডওয়ার একটি সম্পূর্ণ ফিজিক্যাল উপকরণ, যেখানে সফটওয়্যার মেশিন কোড চলাকালীন।

২। হার্ডওয়ার একটি আলোকিত প্রক্রিয়া পরিচালিত করে যেখানে সফটওয়্যার একটি প্রোগ্রাম চালায়।

৩। হার্ডওয়ার ফিজিক্যাল কম্পিউটিং ডিভাইস, যেখানে সফটওয়্যার সম্পর্কিত ডেটা স্টোর করে।

৪। হার্ডওয়্যার সাধারণত কম্পিউটার অংশ যেমন প্রসেসর, মদরবোর্ড, ডিস্ক ড্রাইভ, পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি উপস্থাপন করে যা একটি সিস্টেম বানানোর জন্য প্রয়োজন।

৫। সফটওয়্যার একটি বাস্তব জীবনের ব্যবহারের উদ্দেশ্যে ডিজাইন করা হয়েছে, হার্ডওয়্যার তত্ত্ব প্রয়োজন নেই।

৬। হার্ডওয়্যার স্বয়ং মোট হতে পারে যখন সফটওয়্যার স্বয়ং কোন মানদন্ড মেটে না করে।

৭। হার্ডওয়্যার পরিবর্তন করা খুবই কঠিন এবং ব্যয়বহুল হতে পারে, যেখানে সফটওয়্যার পরিবর্তন করা খুব সহজ হয়।

৮। হার্ডওয়্যার সর্বোচ্চ স্পেস এবং বিকল্পশীলতা দেয়, কিন্তু সফটওয়্যার সর্বোচ্চ উচ্চতা এবং একটি সফটওয়্যার দ্বারা একাধিক ফাংশন সম্পাদন করা যায়।

৯। হার্ডওয়্যার ডিজাইন আলোচনার জন্য সীমিত সময় এবং পূর্ণতার জন্য একটি নির্দিষ্ট হার্ডওয়্যার কনফিগারেশন একটি সফটওয়্যার এর তুলনায় সহজতর।

১০। হার্ডওয়্যার ভিন্ন ভিন্ন স্ট্যান্ডার্ড এবং প্রটোকল অনুসরণ করে কাজ করে তবে সফটওয়্যার এর প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করে একটি কম্পিউটার এর ভিন্ন ভিন্ন কাজ করা যায়।

১১। হার্ডওয়্যার দুর্দান্ত স্কেলাবিলিটি দেয়, যেমন সার্ভার অথবা সুইচ একটি নেটওয়ার্ক এর স্কেল বড় করা যেতে পারে। অন্যদিকে, সফটওয়্যার স্কেল বড় করা খুব সহজ নয়।

১২। হার্ডওয়্যার দুর্দান্ত সুরক্ষার ব্যবস্থা দেয়, কিন্তু সফটওয়্যার সুরক্ষার জন্য আরও বেশি পরিকল্পনা এবং পরিচালনা প্রয়োজন।

১৩। হার্ডওয়্যার ব্যবহার করে কাজ করা কম্পিউটার এক্সট্রিম হিট হতে পারে, কিন্তু সফটওয়্যার ব্যবহার করে কাজ করা কম্পিউটার এক্সট্রিম হিট না হতে পারে।

১৪। হার্ডওয়্যার একটি ফিজিক্যাল ডিভাইস হওয়ার কারণে, সম্প্রতি উপস্থিত না হলেও সেই ডিভাইস কাজ করতে পারে। তবে সফটওয়্যার একটি লজিকাল ডিভাইস হওয়ার কারণে সেই ডিভাইস কাজ করতে পারবে না।

১৫। হার্ডওয়্যার এর দাম বেশি হতে পারে এবং একটি পরিকল্পনা বা আপগ্রেড করতে খুব বেশি খরচ লাগতে পারে। সফটওয়্যার এর দাম হার্ডওয়্যার এর চেয়ে কম হতে পারে এবং আপগ্রেড করা খুব সহজ হতে পারে।

সফটওয়্যার এর 15 টি বৈশিষ্ট্য হলঃ

১.সফটওয়্যার ইনস্টল এবং ব্যবহার সহজ এবং সম্প্রসারণ হয়।

২.সফটওয়্যার ব্যবহার করে পারফরমেন্স এবং প্রোডাক্টিভিটি বাড়ানো যায়।

৩.সফটওয়্যার কম্পিউটারের সমস্ত কাজ নির্দেশ করে এবং নির্দিষ্ট ফাংশন পরিষেবা করে।

৪.সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রতিবেশী আপডেট এবং সমর্থন পেতে হয় না।

৫.সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডেটা নিরাপত্তা বাড়ানো যায় এবং কাজের সময় মেশিন ক্র্যাশ এর ঝুঁকি কমে যায়।

৬.সফটওয়্যার কম্পিউটারের সমস্ত কাজ একটি স্ক্রীনে নির্দর্শন করে এবং অনেক সময় স্প্যান্ড না করে সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে।

৭.সফটওয়্যার কম্পিউটারে পার্টিশন তৈরি করতে পারে এবং ফাইল ম্যানেজমেন্ট করতে সফটওয়্যার প্রোগ্রামগুলি একটি সিস্টেমের বিভিন্ন অংশে কাজ করতে পারে।

৮.সফটওয়্যার ব্যবহার করে ফাইল ফরম্যাট কনভার্ট করা যায় এবং ফাইল কনভার্ট এর জন্য একটি সিস্টেমে অনেক সফটওয়্যার ব্যবহার করা যায় না।

৯.সফটওয়্যার ব্যবহার করে প্রকল্প ম্যানেজমেন্ট করা যায়।

১০.সফটওয়্যার ব্যবহার করে নেটওয়ার্কিং এর বিভিন্ন কাজ করা যায়, যেমন ডেটা শেয়ারিং, ফাইল ট্রান্সফার এবং নেটওয়ার্ক কনফিগারেশন।

১১.সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডেটা সম্পাদনা করা যায়।

১২.সফটওয়্যার ব্যবহার করে আইডি সিস্টেম, ব্যাংকিং এবং হেলথকেয়ার এর মতো বিভিন্ন কাজ করা যায়।

১৩.সফটওয়্যার সাধারণত কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্ক রিসোর্স দায়বদ্ধ করে না।

১৪ .সফটওয়্যার কার্যকর ও প্রভাবশালী সিস্টেম হতে পারে, যদিও হার্ডওয়্যার এর মতো সামান্য জ্ঞান স্থাপন করা হয়।

সুতরাং, হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে পার্থক্য অনেক রয়েছে। হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার একসাথে ব্যবহার করা হলে একটি সম্পূর্ণ একক সিস্টেম উপস্থিত হয়।

উদাহরণস্বরূপ, একটি কম্পিউটার সিস্টেম হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর একটি সমন্বয়ে কাজ করে।

সাধারণত বলা যায় যে হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার এর একটি কাজ শেষ করার জন্য দুটি সমন্বয়ে ব্যবহৃত হয়।

হার্ডওয়্যার কম্পিউটারের ফিজিক্যাল অংশ যেমন প্রসেসর, মদরবোর্ড, ram, হার্ড ডিস্ক, সিডি/ডিভিডি রম এবং ইনপুট এবং আউটপুট ডিভাইস যেমন কীবোর্ড, মাউস, প্রিন্টার ইত্যাদি।

অন্যদিকে, সফটওয়্যার কম্পিউটারে সচল হওয়া সফটওয়্যার সম্পর্কিত কাজগুলো যেমন অপারেটিং সিস্টেম, অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার এবং এডিটর ইত্যাদি।

হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটি একত্রে সম্পূর্ণ কাজ করে এবং একটি কম্পিউটার বা অন্য যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস পরিচালনায় মৌলিকভাবে প্রয়োজন।

হার্ডওয়্যার কাজ করতে হলে সফটওয়্যার এর মধ্যে প্রক্রিয়া চলতে হয়। আর সফটওয়্যার কাজ করতে হলে একটি হার্ডওয়্যার এর সম্পর্কে জানতে হয়।

সামান্য মাত্রাতে বলা যায় যে হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটি একটি সিস্টেম এর মূল সামগ্রী সম্পন্ন হলেই সিস্টেম ব্যবহার করা যায়।

হার্ডওয়্যার সম্পর্কে অধিকাংশ ক্যাটালগ এবং কনফিগারেশন সংক্রান্ত বিষয় একটি মানুষ যদি জানেন তবে সে বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয় না।

সফটওয়্যার সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা থাকলেও হার্ডওয়্যার না থাকলে সে ব্যবহার করতে পারবেন না। তাই হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার দুটি একসাথে কাজ করে একটি সিস্টেমের মূল উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়।