কম্পিউটার কি? কম্পিউটারের জনক কে? কম্পিউটার কিভাবে কিভাবে কাজ করে? আজকে আমি আলোচনা করব। প্রথমে আলোচনা করব কম্পিউটার কি জিনিস।
কম্পিউটার : কম্পিউটার হলো একটি যন্ত্র যাহা সুনির্দিষ্ট নির্দেশন অনুসরণ করতে পারে। এটা গানিতিক হিসাব নিকাশ করার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটা খুবই দ্রুত কাজ করে থাকে। কম্পিউটার শব্দের অর্থ হলো গননা করা।
কম্পিউটার একটি ইংরেজি শব্দ। computer শব্দের মুল অর্থ হলো গননাকারী যন্ত্র। বর্তমানে কম্পিউটার খুবই উন্নতমানের প্রযুক্তি। এটা শুধু গননাকারী যন্ত্র নয় এটা তথ্য সংগ্রহকারী যন্ত্রও বলা হয়। এটা পৃথিবীর সকল তথ্য খুব দ্রুত সংগ্রহ করতে পারে।
অতীতের চাইতে বর্তমানে কম্পিউটার খুবই উন্নত হয়েছে। ১৯৬৪ সালে বাংলাদেশে কম্পিউটার প্রথম চালু হয়। আজকাল বিজ্ঞানীরা এই কম্পিউটার দ্বারা প্রচুর পরিমানে তথ্য খুজে থাকে।
কম্পিউটার ব্যবহারের সুবিধা :
কম্পিউটার আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। তাই এটি ব্যবহারে কি কি সুবিধা রয়েছে তা আলোচনা করব।
১। কম্পিউটার ব্যবহার করে অনেক রকমের হিসাব নিকাশ খুবই দ্রুত করা যায়।
২। কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে দ্রুত লেখালেখি করা যায়। যেমন বই লিখা, চিঠি লিখা, গাইড বই লিখা। খুব দ্রুত করা যায়।
৩। অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে কম্পিউটারের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
৪। বিভিন্ন হিসাব নিকাশ তথ্য সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করলে খুবই সুবিধা পাওয়া যায়।
৫। বিজ্ঞান গবেষণার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকে।
৬। বিভিন্ন তথ্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যেমন : আবহাওয়ার তথ্য,মহাকাশের তথ্য, বিভিন্ন গ্রহ ও উপগ্রহের সন্ধানের ক্ষেত্রে কম্পিউটার অনেক বড় সুবিধা দিয়ে থাকে।
৭। কোনো কিছুর নকশা তৈরী বা ডিজাইন করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহার হয়ে থাকে।
৮। চিকিৎসার ক্ষেত্রেও কম্পিউটার অনেক বড় সুবিধা দিয়ে থাকে।
৯।বিভিন্ন ডকুমেন্টস তৈরী করার ক্ষেত্রে কম্পিউটার ব্যবহারে অনেক সুবিধা রয়েছে।
Read More: ওয়াকিটকি কি? এটা কিভাবে ব্যবহার করবেন সম্পুর্ন আলোচনা
কম্পিউটারের জনক কে তা আলোচনা করা হলো:
কম্পিউটারের জনক হলো বিজ্ঞানী চার্লস ব্যাবেজ। তিনি সবচাইতে প্রথম কম্পিউটার সম্পর্কে ধারনা দেন। ১৮৩৩ সালে চার্লস ব্যবেজ কম্পিউটার একটি এ্যানালিটিক্যাল ইন্জিনের নকশা তৈরী করে।
তার ইন্জিনের নকশার উপর ভিত্তি করেই আধুনিক কম্পিউটার তৈরী করা হয়। তাই চার্লস ব্যবেজকে আধুনিক কম্পিউটারের জনক বলা হয়ে থাকে। এছাড়াও রয়েছে বিজ্ঞানী জন ভন নিউম্যান। তাকেও অধুনিক কম্পিউটারের জনকে বলে।
তিনি কম্পিউটার বিজ্ঞান, প্রোগ্রামিং সহ অনেক অবদান রেখে গেছেন। এছাড়ও পৃথিবীর প্রথম কম্পিউটারের নাম হলো ইলেক্ট্রনিক নাম্বারিক্যাল ইন্টিগ্রেটর কম্পিউটার।
এটিই প্রথম কাজ করার কম্পিউটার আবিষ্কার হয়েছিল। তারপর থেকে কম্পিউটারের অগ্রগতি দিন দিন বাড়তেই থাকে।
কম্পিউটার কিভাবে কাজ করে :
কম্পিউটার মুলত দুটি মাধ্যমে কাজ করে থাকে। সেই দুটি মাধ্যম আলোচনা করব।
হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের বাহিরের সকল যন্ত্রপাতিকে হার্ডওয়্যার/ডিভাইস বলা হয়। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার তিনটিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে।
১। ইনপুট ডিভাইস: কীবোর্ড, মাউস, ডিস্ক,কার্ড রিডার স্ক্যানার ইত্যাদি।
২। আউটপুট ডিভাইস : আউটপুট যন্ত্রপাতিগুলো হলো স্পিকার, মনিটর, প্রিন্টার, প্রোজেক্টর হেডফোন ইত্যাদি।
৩। সিস্টেম ইউনিট: এর সিস্টেম ইউনিটগুলো হলো,হার্ডডিস্ক মাদারবোর্ড, র্য্যাম ইত্যাদি।
সফটওয়্যার : সফটওয়্যার হলো কম্পিউটারের প্রোগ্রাম। এই প্রোগ্রাম দ্বারাই কম্পিউটার পরিচালিত করা হয়। সফটওয়্যার দুইভাগে বিভক্ত করা হয়।
১। সিস্টেম সফটওয়্যার : কম্পিউটার পরিচালনা করার সময় সিস্টেম সফটওয়্যারটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সিস্টেম সফটওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের কাজ করে থাকে।
২। এপ্লিকেশন সফটওয়্যার: এপ্লিকেশন সফটওয়্যার মুলত ডেটা প্রক্রিয়াকরনের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে বোঝায়। এই এপ্লিকেশনটি বাণিজ্যিক প্রোগ্রাম হিসেবে পাওয়া যায়। এই প্রোগ্রামের বিভিন্ন প্যাকেজ পাওয়া যায়।
সর্বশেষে, কম্পিউটার একটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র। এটা ব্যবহারের ফলে সবকিছুর উন্নতি ও অগ্রগতির দিকে যাচ্ছে। কম্পিউটার সকল স্থানে বৈজ্ঞানিক কাজে,সকল পরীক্ষার রেজাল্টে দেখার ক্ষেত্রে, অফিসের জন্য কম্পিউটার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই বর্তমানে কম্পিউটার চিকিৎসার জন্য এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি।
You must be logged in to post a comment.