আস্সালামু আলাইকু, প্রিয় বন্ধুগন সবাই কেমন আছেন? আবারো আমি হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের সামনে নতুন আরো একটি টপিক নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব; ব্লগিং কি? ব্লগিং কিভাবে শুরু করবেন? ( সর্ম্পূণ গাইডলাইন )
আশা করছি পোষ্টটি পড়ে আপনাদের অনের ভালো লাগবে। আর ব্লগিং শুরু করে ইনকাম ও করতে পারবেন।ত চলুন শুরু করে দেই আমাদের আজকের মূল আলোচনা।
ভূমিকা:-
ব্লগিং বর্তমানে বেশ জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম করার মাধ্যম। আগে মানুষ শখের বসে লেখা লেখি করত। কিন্তু বর্তমানে যুগের পরির্বতনের সাথে সাথে পরির্বতন গঠেছে মানুষের পেশা বা আয়ের মাধ্যমের ও।
আগেকার মানুষ লেখা লেখি করত তাদের শখে। আর লেখা লেখি ছিল তাদের নেশা। কিন্তু এখন মানুষ তাদের এই লেখা লেখি করার নেশাকেই তাদের পেশায় পরিনত করেছে।
আর আমাদের দেশে ও বর্তমানে এখন ব্লগিংকে মানুষ নিজেদের পেশা হিসাবে বেচে নিচ্ছে এবং ব্লগিং করে মাসে প্রচুর পরিমানে টাকা ইনকাম করছে।
আর আপনি ও যদি লেখা লেখি কাতে ভালোবাসেন বা লেখা লেখির প্রতি যদি আপনার আগ্রহ থাকে।তবে আপনার লেখা লেখি করার আগ্রহকে কাজে লাগিয়েই আয়ের উৎসে পরিনত করতে পারবেন।
বর্তমানে অনলাইন থেকে টাকা আয় করার অনেক মাধ্যম থাকলে ও ব্লগিং কিন্তু সব থেকে সেরা এবং সফল একটি মাধ্যম। আর আপনি ও চাইলে ব্লগিং করে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ত চলুন বন্ধুরা এখন আমরা ব্লগিং সর্ম্পকে বিস্তারিত জেনে নেই।
টপিক সূচি :-
- ব্লগিং কি?
- ব্লগার কারা?
- ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে?
- ব্লগিং কেন করব?বা ব্লগিং করে লাভ কি?
- ব্লগিং শুরু করার ধাপ সমূহ।
- শেষ কথা।
* ব্লগিং কি?
ব্লগিং কিছুটা ডায়রির মতো। ডায়রিতে যেমন আপনি আপনার মনের বিভিন্ন কথা লিখেন।ঠিক তেমনই ব্লগিং আপনি নিজের জানা বিভিন্ন বিষয় সর্ম্পকে লিখে সারা পৃথিবীর মানুষের সাথে শেয়ার করতে পারবেন।
সাধারন ভাষায় বলতে গেলে নিজের মতামত লিখে মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার মাধ্যম হলো ব্লগিং। আর ব্লগিং প্লাটফর্মকে ব্যবহার করে আপনি আপনার মতামত শেয়ার করতে পারবেন।
ব্লগার কারা?
ব্লগার হলো সেই সমস্ত লোক, যারা ব্লগ লিখেন এবং তা পরিচালনা করেন তাকেই ব্লগার বলে।সাধারন কথায় যিনি ব্লগ লিখেন তিনিই ব্লগার।
আর আপনিও চাইলে একজন ব্লগার হতে পারবেন। তবে তার জন্য আপনাকেও ব্লগ লিখতে হবে।
ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যাবে?
যারা নতুন ব্লগ শুরু করতে চান তাদের সবারই মাথায় প্রথমে একটি প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে ব্লগিং করে আমি কত টাকা ইনকাম করতে পারব?তবে এই প্রশ্নের কোন নির্দিষ্ট উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। কারন ব্লগিং করে আয় অনেক বিষয়ের উপর নির্ভর করে। যেমন: ব্লগের ট্রাফিক, ব্লগ কোন ভাষায় লিখা ইত্যাদি।
তবে গ্লাসডোরের হিসাব অনুযায়ী একজন ব্লগার প্রতি বছরে ৩০০০০ হাজার $ - ১ লক্ষ$ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করে থাকেন। প্রতি মাসে যদি আপনার ১০০০ পেজ ভিউ হয়, তবে আপনি প্রতি মাসে ১০$-২৫$ ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
তবে মনে রাখবেন আপনার আয় নির্ভর করবে আপনার ব্লগের ট্রাফিকের উপর। আপনার ব্লগে যদি ট্রাফিক বেশি হয় তবে আপনার ইনকাম ও বেশি হবে।আর আপনার ব্লগে ট্রাফিক বৃদ্ধি করার জন্য SEO করতে হবে।
ব্লগিং কেন করব? বা ব্লগিং করে লাভ কি?
ব্লগিং শুরু করার প্রধান কারন হলো ব্লগিং করে আপনি ঘরে বসেই সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।তা ছাড়া ও ব্লগিং করার সাধারন কিছু কারন নিচে উল্লেখ করা হলো:-
* ব্লগিং করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।আর অনেকেই ব্লগিংকে নেশা থেকে পেশায় পরিনত করে জীবনে সফলতা অর্জন করেছেন।
* ভিজিটরদের আপনার আর্টিকেল পড়তে উৎসাহ দিতে। যাতে তারা আপনার ব্লগ পড়ে উপকৃত হয়।
* নিজেকে ব্রান্ড হিসাবে সবার সামনে উপস্থাপন করতে বা জনপ্রিয়তা পেতে ব্লগ একটি সেরা মাধ্যম।যেখানে আপনি নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারবেন।
* ব্লগাররা অন্যের ব্লগের ধারনা গল্প অভিজ্ঞতার সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য একটি জায়গা তৈরি করতে পারে।
ব্লগিং একজন ব্লগারের প্রযুক্তিগত দক্ষতার বিকাশ ঘটায়।
ব্লগিং শুরু করার ধাপ সমূহ।
- ব্লগের টপিক বা বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন।
- ব্লগিং এর জন্য ডোমেইন নেম এবং হোস্টিং নির্ধারন করুন।
- ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন।
- ব্লগ লেখা শুরু করুন।
- বেশি বেশি করে ব্লগ প্রচার করুন।
- গুগোল এডসেন্সের জন্য মনিটাইজ করুন।
ব্লগের টপিক বা বিষয়বস্তু নির্বাচন করুন।
ব্লগিং শুরু করার জন্য প্রথমে আপনাকে সিন্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন বিষয়ে ব্লগিং করবেন। আপনার ব্লগের বিষয়বস্তু কি হবে সেটি প্রথমে ঠিক করে নিন। আর ব্লগের বিষয় বস্তু নির্বাচন করার একটি সহজ উপায় হলো আপনি যে বিষয়ে অভিজ্ঞ বা যে বিষয়ে আপনার ভালো জ্ঞান রয়েছে আপনি চাইলে সেই বিষয়ে ব্লগিং শুরু করতে পারবেন।
বর্তমানে ব্লগিং এর কয়েকটি জনপ্রিয় টপিক নিচে দেওয়া হলো :-
- অনলাইন আয়।
- টেকনোলজি।
- সফটওয়্যার রিভিউ।
- রেসিপি।
- ভ্রমন গাইড ইত্যাদি।
ব্লগিং এর জন্য ডোমেইন নেম এবং হোস্টিং নির্ধারন করুন।
ব্লগিং এর জন্য একটি ভালো ডোমেইন নেম নির্ধারন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারন এই ডোমেইন এর নামেই মানুষ আপনার ব্লগ পড়বে আর আপনি জনপ্রিয় হয়ে উঠবেন।
তবে সব সময় চেষ্টা করবেন ছোট নাম রাখার এবং ব্লগের বিষয় বস্তুর সাথে মিল রেখে নাম রাখার চেষ্টা করবেন।
আর ভালো কোম্পানি থেকে হোস্টিং ক্রয় করার চেষ্টা করবেন। কারন আপনার সাইটের লোড নেওয়ার স্পিড অনেকটা এই হোস্টিং এর উপর নির্ভর করে।তবে ব্লগ সাইটের জন্য সাধারনত ১ জিবি হোস্টিং নিয়ে শুরু করা যায়।
ওয়ার্ডপ্রেস ইনস্টল করুন।
আপনার ব্লগ সাইট সুন্দর করার জন্য থিম খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর আপনি আপনার ব্লগ সাইটকে যে রকম করে দেখাতে চান ঠিক সেই রকম থিম ইনস্টল করে নিন।
আর আপনি যদি থিম কাস্টমাইজড করতে না পারেন তবে যে কোন ডেভেলপারের সাহায্য নিয়ে করতে পারবেন। থিম কাস্টমাইজড করার পর এখন প্লাগিং ইনস্টল করুন।
ব্লগ লেখা শুরু করুন।
কাস্টমাইজড করা শেষ হলে এখন আপনি ব্লগ লেখা শুরু করে দিন। আর প্রতিটি ব্লগে কমপক্ষে ৩০০-৫০০ শব্দের লেখতে হবে আর তার থেকে বেশি হলে আরো ভালো।আর আপনার ব্লগ অবশ্যই ১০০% ইউনিক এবং যা মানুষের উপকারে আসে এমন ব্লগ লিখার চেষ্টা করবেন।
তবে গুগোলের মতে একটি পেজে ২৫০-৩০০ ওয়ার্ড থাকার প্রয়োজন।
বেশি বেশি করে ব্লগ প্রচার করুন।
আপনার ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম বৃদ্ধি করার জন্য বা বেশি বেশি করে ইনকাম করার জন্য আপনার ব্লগ বেশি বেশি শেয়ার করুন।আর ব্লগ শেয়ার করার বেশ জনপ্রিয় মাধ্যম হলো স্যোশাল মিডিয়া। যেমন:- ফেসবুক, টুইটার, লিনকডিন ইত্যাদি।
আর ব্লগে যত বেশি ভিজিটর হবে আপনার ইনকাম ও তত বেশি হবে। আর বেশির ভাগ ব্লগাররা তাদের ব্লগে ভিজিটর বৃদ্ধ করার জন্য তারা তাদের ব্লগ বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে থাকেন।
গুগোল এডসেন্সের জন্য মনিটাইজ করুন।
আপনার ব্লগে গুগোল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করার জন্য কমপক্ষে আপনার ব্লগে ২৫-৩০ টি ইউনিক ব্লগ লিখে পাবলিশ করতে হবে।
তবে অনেকেই মনে বলেন যে ১৫-২০ টি আ্টিকেল থাকলেই এডসেন্স মনিটাইজ পাওয়া যায়। তবে আমার মতে কোন রিক্স বা ঝামেলা না হওয়ার জন্য ২৫-৩০ আর্টিকেল হওয়ার পর ই এনসেন্সের জন্য এপ্লাই করা ভালো।
শেষ কথা।
ত প্রিয় বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আলোচনা ব্লগিং কি? কিভাবে ব্লগিং শুরু করা যায় ( সর্ম্পূণ গাইড লাইন )
ত আশা করছি পোষ্টটি পড়ে আপনারা ব্লগিং কি? এবং কিভাবে ব্লগিং শুরু করা যায়? এই বিষয়ে সর্ম্পূণ ধারনা লাভ করতে পেরেছে। এই পোষ্টটে আমি স্টেপ বাই স্টেপ ব্লগিং শুরু করার নিয়ম আলোচনা করেছি। ত আশা করছি পোষ্টটি পড়ে আপনারা সবাই অনেক উপকৃত হবেন।
আর পোষ্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো অবশ্য কমেন্ট করে আপনাদরন মতামত আমাদের যানাবেন। আপনাদের মূলবান মতামত আমাদের ভবিষ্যতে আর ও ভালো কাজ করার জন্য উৎসাহ যোগাবে।
আর পোষ্টটি সর্ম্পকে যদি আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকে, তবে নিচে কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আমাকে জানাতে পারেন।আমি ইনশা আল্লাহ আপনাদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
ত বন্ধুরা আবার ও খুব শীঘ্রই নতুন কোন পোষ্টে নতুন কোন বিষয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করতে হাজির হয়ে যাব।আর এতক্ষন ধৈর্য ধরে মনোযোগ সহকারে পোষ্টটি পড়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ।ত বন্ধুরা আজ এই পর্যন্তই সবাই অনেক ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন আর আমার জন্য দোয়া করবেন।
আল্লাহ হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.