ব্লগিং শুরু করা যায়? ব্লগিং শুরু করা খুবই সহজ এবং একটি ব্লগ শুরু করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে পারেন:
আপনি কি ধরনের ব্লগ শুরু করতে কিভাবে চান তা নির্ধারণ করুন। আপনি যেকোনো বিষয়ে ব্লগ শুরু করতে পারেন, যেমন খেলা, প্রযুক্তি, খাবার, ভ্রমণ ইত্যাদি।
আপনার পাঠকদের প্রতিষ্ঠান করতে হবে। কারা আপনার লেখা পড়বে এবং আপনার সমস্ত বিষয়গুলি কি হতে পারে।
আপনার টার্গেট পাঠকদের জন্য অর্থপূর্ণ এবং মানসম্পন্ন বিষয় নির্বাচন করুন। নিজের আগ্রহগ্রস্ত বিষয়গুলি নিয়ে লেখার চেষ্টা করুন যা আপনার পাঠকদের সাহায্য করবে এবং তাদের আকর্ষণ করবে।
ওয়েবসাইট প্ল্যাটফর্ম বাছাই করুন: একটি প্ল্যাটফর্ম বাছাই করুন যা আপনাকে সহজে একটি ব্লগ তৈরি করতে সাহায্য করবে। সাধারণত, ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার, টামবলার ইত্যাদি পরিচিত প্ল্যাটফর্মগুলি ব্যবহার করা হয়।
একটি নিক বাছাই করুন: আপনি নিজের ব্লগের নাম নিয়ে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে পারেন। আপনি একটি ক্রিয়েটিভ এবং স্মার্ট নাম নির্বাচন করতে পারেন যা আপনার ব্লগের বিষয়ের সাথে সাজে এবং মনোনিবেশ তৈরি করে।
ওয়েবসাইট তৈরি করুন: আপনি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মে একটি নিশ্চিত ব্লগ তৈরি করতে পারেন। আপনার ব্লগের ডিজাইন, রঙ, লোগো ইত্যাদি নির্বাচন করুন যা আপনার ব্লগের বিষয়গুলি সম্পর্কিত।
আপনি ছবি, ভিডিও, অডিও ইত্যাদি যুক্ত করতে পারেন যা আপনার ব্লগ পোস্ট লিখলে অনেক সুন্দরয্য ফুটে ওঠে।
ব্লগিং কিভাবে লিখব?
একটি সফল ব্লগ লিখার জন্য নিম্নলিখিত কিছু পরামর্শ মেনে চলতে পারেন:
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন: আপনার পোস্টের একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য থাকতে হবে। স্পষ্ট হয়ে যাক আপনি কি বলতে চান এবং আপনার পাঠকদের কি সমস্যা সমাধান করতে পারেন।
সংক্ষিপ্ত ও স্পষ্ট লেখার প্রয়োজন: আপনার লেখা সংক্ষিপ্ত এবং স্পষ্ট হওয়া উচিত। লম্বা এবং জটিল বাক্য থেকে বিরত হোন এবং পাঠকদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা করতে চেষ্টা করুন।
প্রমাণসহ তথ্য সরবরাহ করুন: আপনার পোস্টে যদি কোনও তথ্য অন্যদের পরিচিতি না থাকে, তবে প্রমাণসহ তথ্য প্রদান করার চেষ্টা করুন। সঠিক উৎস সংযোজন করুন যদি প্রয়োজন হয়।
আকর্ষণীয় শিরোনাম ব্যবহার করুন: একটি আকর্ষণীয় শিরোনাম লেখার চেষ্টা করুন যার মাধ্যমে আপনি আপনার পাঠকদের আকর্ষণ করতে পারেন।
ব্যক্তিগত স্টাইল উপযোগ করুন: আপনার লেখার স্টাইল ব্যক্তিগত হওয়া উচিত। আপনি নিজেকে একটি ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করুন এবং পাঠকদের সাথে সংযোগ তৈরি করুন।
ব্যাখ্যা এবং উদাহরণ দিন: যদি সম্ভব হয়, ব্যাখ্যা এবং উদাহরণ দিয়ে আপনার পয়েন্টগুলি প্রমাণ করুন। এটা আপনার পাঠকদের সমস্যার বোঝায় এবং আপনার কথা সহজে বোঝায়।
ব্যাপ্তিতে পরিকল্পনা করুন: আপনার লেখার শেষে, পাঠকদের জন্য একটি কল টো একশন ব্যাপ্তিতে প্রদান করুন।
এটা হতে পারে কোনও প্রশ্ন জিজ্ঞাসা, মতামতের অনুরোধ বা পরবর্তী পোস্টের জন্য প্রেরণ করা একটি কথা।
সর্বশেষে, আপনার লেখা পর্যালোচনা করুন এবং ত্রুটি বা ভুল বাদ দিন।
ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়?
ব্লগিং থেকে আয় করা সম্পর্কে বলতে পূর্বে বলা গেছে যে আপনার ব্লগ সাফল্যের উপর নির্ভর করে। ব্লগিং থেকে টাকা ইনকাম করার কিছু মাধ্যম নিম্নলিখিত হতে পারে:
ভোগান্তি বিজ্ঞাপন: আপনি আপনার ব্লগে ভোগান্তি বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করতে পারেন। এটি মার্কেটিং কোম্পানিদের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ব্লগ থেকে আয় করার সাধারণ উপায়।
যেমন Google AdSense, Media.net, AdThrive ইত্যাদি একাধিক ভোগান্তি বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম আছে।
স্পন্সরশিপ: যখন আপনার ব্লগ সাফল্যের পায়ে যায়, আপনি কোম্পানিদের সাথে স্পন্সরশিপ চুক্তি করতে পারেন।
কোম্পানিগুলি আপনার ব্লগে তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করতে চান এবং আপনার পাঠকদের উপর প্রভাব গ্রহণ করতে চান।
স্বয়ংক্রিয় সদস্যতা: কিছু ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম স্বয়ংক্রিয় সদস্যতা প্রদান করে যেখানে প্রদর্শিত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনি আয় করতে পারেন।
প্রোডাক্ট বিক্রয়: আপনি নিজের প্রোডাক্ট বা ই-বুক তৈরি করে বিক্রয় করতে পারেন আপনার ব্লগে।
আপনি নিজেকে একটি নিপুণ দর্শক বণ্টন করে তুলতে পারেন এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইনকাম করতে পারেন।
ব্লগিং থেকে আয় প্রাপ্তি বিভিন্ন উপায়ে ভিন্নভাবে ভিন্ন হতে পারে এবং এটি সাধারণত আপনার প্রয়াস, ব্লগের জন্য মার্কেটিং পরিকল্পনা এবং বিষয়বস্তুর গুণমানের উপর নির্ভর করে।
আপনার ব্লগ সামরিক উপায়ে জনপ্রিয় হলে আপনি প্রতিবছরে শীর্ষ ব্লগারদের মতো আয় উপলব্ধি করতে পারেন, যা অন্যদের থেকে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করা কঠিন এবং নির্ভর করে।
ব্লগিং করার জন্য কি কি দরকার?
ব্লগিং করার জন্য কিছু প্রাথমিক দরকারী উপাদানগুলি নিম্নলিখিতঃ
ব্লগের থিম এবং ওয়েবসাইট হোস্টিং: প্রথমে আপনার একটি থিম নির্বাচন করতে হবে যা আপনার ব্লগের উপযুক্ত আকার এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কিত। এরপরে আপনার একটি ওয়েবসাইট হোস্টিং সংগঠনের সাথে সংযুক্ত হতে হবে, যা আপনার ব্লগটি ইন্টারনেটে উপস্থাপন করবে।
ডোমেইন নাম: একটি ডোমেইন নাম খুলে আপনি আপনার ব্লগটির সাথে একটি প্রয়োজনীয় আইডেন্টিটি তৈরি করতে পারেন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের URL হবে, যেমন www.yourblogname.com.
সঠিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম: একটি সঠিক ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম বাছাই করতে হবে, যা আপনাকে ব্লগ পোস্ট তৈরি এবং প্রকাশ করতে সহায়তা করবে। প্রস্তুত প্ল্যাটফর্মগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য অন্তর আছে WordPress, Blogger, এবং Wix।
উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন: আপনার ব্লগের জন্য উপযুক্ত বিষয় নির্বাচন করুন। আপনি আপনার অনুসরণকারীদের ইন্টারেস্টের উপর ভিত্তি করে আপনার ব্লগে লেখা করতে পারেন।
মানসম্পন্ন এবং মজার বিষয়গুলি নির্বাচন করুন: ব্লগিং একটি উত্সাহবর্ধক এবং আকর্ষণীয় পথ হতে পারে। নিজের আগ্রহগ্রস্ত এবং অদ্যায়প্রবণ বিষয়গুলি নির্বাচন করুন যা আপনার পাঠকদের সম্পর্কে আকর্ষণ করবে।
মার্কেটিং এবং প্রচারণা: একবার আপনার ব্লগ তৈরি করার পর, এটি প্রচার করতে হবে। সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে ব্লগের প্রচারণা করুন, মার্কেটিং করুন এবং আপনার নিজস্ব নেটওয়ার্ক তৈরি করুন যাতে আপনার ব্লগের দৈনন্দিন প্রচার করা যায়।
এই সাধারণ উপায়গুলি অনুসরণ করে ব্লগিং শুরু করতে পারেন।
ফ্রি ব্লগিং থেকে আয়?
ফ্রি ব্লগিং থেকে আয় করা সম্ভব হতে পারে, তবে এটি সাধারণত পেশাদার ব্লগিং পদ্ধতিতে থেকে কম আয় উপলভ্য করার সাথে তুলনামূলকভাবে কঠিনতর। তবে আপনি নিচের কিছু উপায় ব্যবহার করে ফ্রি ব্লগিং থেকে আয় উপার্জন করতে পারেন:
ভোগান্তি বিজ্ঞাপন: ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্মের সাথে সংযুক্ত হতে পারে এমন বিজ্ঞাপন সেটআপ করতে পারেন যা আপনাকে ভোগান্তি দেয়।
প্রস্তুত প্ল্যাটফর্মগুলি, যেমন WordPress.com এবং Blogger.com, আপনাকে ভোগান্তি বিজ্ঞাপন সরবরাহ করতে পারে।
স্পন্সরশিপ: যদি আপনি ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করছেন এবং ব্লগটি সফলভাবে সামরিক হয়ে উঠে এলে, আপনি স্পন্সরশিপ চুক্তি স্বীকার করতে পারেন।
কোম্পানিগুলি আপনার ব্লগে তাদের পণ্য বা পরিষেবা প্রচার করতে চান এবং পাঠকদের উপর প্রভাব গ্রহণ করতে চান।
ফ্রিল্যান্সিং এবং লেখার প্রকল্প: আপনি ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মে যেমন Fiverr, Upwork, এবং Freelancer.com জমা দিয়ে আপনার লেখার প্রকল্প প্রদান করতে পারেন। এটি আপনাকে অতিরিক্ত আয় প্রাপ্ত করতে সাহায্য করবে এবং আপনার লেখার দক্ষতা বাড়াতে পারে।
বিজ্ঞাপন এফিলিয়েট মার্কেটিং: বিভিন্ন বিজ্ঞাপন এফিলিয়েট প্রোগ্রামে সদস্য হয়ে থাকা যাতে আপনি লেখা করতে পারেন এবং উদ্বোধন করতে পারেন।
আপনি যে পণ্য বা সেবা প্রশাসন করেন তার প্রচারণা করতে একটি বিশেষ অ্যাফিলিয়েট লিঙ্ক প্রদান করতে পারেন এবং যখন কেউ ঐ লিঙ্কে ক্লিক করে পণ্য কিনে আপনি কমিশন পাবেন।
ফ্রি ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম দিয়ে আয় উপার্জন করতে অনেক ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দরকার হয়।
আমাদের কথা?
আমি সর্বদা আপনার সাথে কথা বলতে প্রস্তুত। আপনার কোন কিছু নিশ্চিত করতে যদি সাহায্য প্রয়োজন হয় বা আপনার কোন প্রশ্ন থাকে, তাহলে আমাকে জানান। আমি চেষ্টা করবো আপনার সাথে সহায়তা করার জন্য।
You must be logged in to post a comment.