বিট কয়েন শব্দটার সাথে কি আপনারা পরিচিত?
কিছু মানুষ ছাড়া অনেকেই এই শব্দটার সাথে অপরিচিত।তাই আজকে চেষ্টা করবো এই বিটকয়েন এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে।এছাড়াও কিছু খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ইন শা আল্লাহ।
প্রথমেই জেনে নিই আমরা বিট কয়েন এর পটভূমি এবং এর সাধারন অর্থ সম্পর্কে।
এই বিট কয়েন হলো বিশ্বের সর্বপ্রথম মুক্তসোর্স ক্রিপ্টোকারেন্সি যেটাকে বিকেন্দ্রিক ডিজিটাল মুদ্রা হিসেবে পরিচিতি দেয়া হয় । তবে এখানে লেনদেন এর জন্য কোনো ধরনের অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান বা হিসাব নিকাশ ঘরের প্রয়োজন হয় না এবং এটি কোনো নির্দিষ্ট দেশের সরকার কর্তৃক ইস্যুকৃত মুদ্রা নহে। দুই হাজার নয় সালে 'সাতোশি নাকামোতো' ছদ্মনামে কোনো এক ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই মুদ্রাব্যবস্থার প্রথম প্রচলন করেন যা পিয়ার~টু~পিয়ার মুদ্রা নামে অভিহিত করা হয়।
এই জনপ্রিয় বিটকয়েন এর লেনদেন হয় মূলত কম্পিটারের মাধ্যমে প্রেরক থেকে সরাসরি প্রাপকের কম্পিউটারে। এবং এই লেনদেনগুলো সত্যায়িত করা হয় ক্রিপ্টোগ্রাফি সিস্টেমের মাধ্যমে।এছাড়াও তা প্রকাশ্যে লিপিবদ্ধ করা হয় একটি খতিয়ানে যা সবার কাছে বিতরিত হয় উন্মুক্তভাবে।এই ধরনের উন্মুক্ত ও বিতরিত খতিয়ানকে বলা হয় ব্লকচেইন।
এবং জেনে রাখা ভালো যে বিটকয়েন উৎপাদিত হয় মাইনিং এর মাধ্যমে যেখানে শুধু কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতার ভিত্তিতে লেনদেন লিপিবদ্ধ করা হয় এবং কম্পিউটার প্রসেসিং এর মাধ্যমেই সত্যাখ্যান করা হয়।আর গুরুত্বপূর্ন কথা হলো এই ইনিশিয়াল লেনদেন থেকে মোট কত বিটকয়েন উৎপাদিত হবে তা প্রতি চার বছর পরপর কমে যায়।
হিসাব মতে এভাবে ২১৪০ সাল পর্যন্ত মোট ২,১০,০০,০০০ বিটকয়েন তৈরী হবে এবং তার পরবর্তীতে আর কোনো নতুন বিটকয়েন তৈরী হবে না।
আগেই বলেছি বিটকয়েন লেনদেন সম্পন্ন করতে কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজন পড়ে না, এবং এর লেনদেনের প্রারক এবং প্রেপকের আসল পরিচয়পত্র সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য অনুসরণ করা যায় না।আর সেই কারনে প্রায় সব দেশে বিটকয়েন ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে দিন দিন।
সাধারনত বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রা, পণ্য অথবা সেবা আকারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।এর একটা খারাপ দিক হলো এখানে বৈধ পণ্য লেনদেন ব্যাতিরেকেও মাদক চোরাচালান এবং অর্থপাচার কাজেও বিটকয়েনের ব্যবহার করা হচ্ছে। এসব খারাপ দিক থাকলেও বিটকয়েন ডিজিটাল কারেন্সি হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে।
এছাড়াও অনেক আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিপরীতে এর দুষ্প্রাপ্যতা, দর ওঠানামা এবং ব্যবসায় এর সীমিত ব্যবহারের কারণে অনেকেই এর সমালোচনা করে থাকেন।
বিটকয়েন এর প্রথম ATM মেশিন চালু করা হয়েছে কানাডাতে।তবে একটা ভালো উদ্যোগ হোলো:মাদক, চোরাচালান অবৈধ অস্ত্র ব্যবসা এবং অন্যান্য বেআইনি ব্যবহার ঠেকানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সরকার বিটকয়েনের গ্রাহকদের নিবন্ধনের আওতায় নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছে।
কি করে বিটকয়েন কে নিরাপদ করা যায় এটাই তাদের উদ্দেশ্য। কারন হ্যাকার ও স্ক্র্যামররা সবসময় ই বিটকয়েন হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে তাই সবার আগে সুরক্ষিত এইটা করা উচিত।এই নিরাপত্তা ব্যাবস্থা চালু হওয়ার আগে যদি আপনি বিটকয়েনে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন ও কিছু পরিমান বিটকয়েন কিনতে চান তাহলে সব থেকে ভালো হয় বিটকয়েন ওয়ালেট ব্যবহার করা ।আমরা এখানে দুইটি বিটকয়েন ওয়ালেট এর কথা বলবঃ
১।লেডগার ন্যানো এস: এটি হলো অন্যতম একটি বিটকয়েন সিকিউরিটি কোম্পানি যা প্রচুর সিকিওর বিটকয়েন স্টোরেজ ডিভাইস দিয়ে থাকে। এটি বর্তমানে সব থেকে সুরক্ষিত ওয়ালেট হিসেবে বিশ্বে পরিচিত।
২।ট্রেজর (Trezor) ঃ ট্রেজর হলো একটি হার্ডওয়্যার ভিত্তিক ওয়ালেট। এটি বিটকয়েনের প্রাইভেট কি( চাবি) অফলাইনে প্রদান করে থাকে।সুতারাং যেহেতু এই বিটকয়েনের সমস্ত লেনদেনই ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়ে থাকে তাই এটি ভীষণ দরকারি।
এখন আসি বিটকয়েন মাইনিং এ কি বিনিয়োগ করা উচিত!! বিটকয়েন মাইনিং ইন্ডাস্ট্রি এই সময়ে অনেক তীব্র গতিতে আগাচ্ছে। প্রথম দিকে এই মাইনিং এর কাজটা ঘরে কম্পিউটার এর মাধ্যমেই করা যেত কিন্তু এখন স্পেশালাইজড ডেটা সেন্টার ব্যবহার করা হয়।
এই ডেটা সেন্টার গুলো হলো এক একটি ওয়ারহাউস যেখানে অনেক গুলো কম্পিউটার থাকে শুধুমাত্র বিটকয়েন খোঁজার জন্য।ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হলো বর্তমানে লাভজনক অবস্থায় বিটকয়েন মাইনিং শুরু করার জন্য কয়েক কোটি টাকা লেগে যায়।আর আশংকার কথা এই যে কৃত বিনিয়োগ যে ফেরত আসবেই তার কোন নিশ্চয়তা নেই।
এবার আসুন জেনে নিই এক বিট কয়েন সমান বাংলাদেশী কত টাকা।
প্রথমত ১ বিট কয়েন = ১০,৯৬০ ইউ এস ডলার
এখন ১ ডলার = ৮৫ টাকা
মানে ১ বিট কয়েন = (১০,৯৬০* ৮৫ =৯,৩১,৬০০ টাকা)
Hello vai
..
Any problem
Hello Hi
.
What is problem
.
You must be logged in to post a comment.