যে ব্যক্তি সভা বা অনুষ্ঠান পরিচালনা করে তাকে উপস্থাপক বলে। অনুষ্ঠানে সাফল্য বা ব্যর্থতা উপস্থাপকের দক্ষতা ও নিপুণতার উপর নির্ভরশীল।
কোন ব্যক্তির একটি সভা বা অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে পরিচালনা করার দক্ষতা কে উপস্থাপনা দক্ষতা বলে। উপস্থাপনায় ভালো দক্ষতা অর্জনের জন্য কিছু যোগ্যতার গুণাবলী থাকা আবশ্যক।
এগুলো হলো শারীরিক যোগ্যতা শিক্ষকতা যোগ্যতা এবং ভাষা জ্ঞান। এ যোগ্যতাগুলো অর্জিত হলেই তাকে উপস্থাপনা দক্ষতা বলে।
উপস্থাপনা দক্ষতা কি
উপস্থাপনা বলতে কোন কিছু প্রকাশ করা অন্য কোন বক্তব্য জনসম্মুখে প্রকাশ করাকে বোঝায়। আর সাধারণত কোন ব্যক্তির একটি সভা বা অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে পরিচালনা করার ক্ষমতা বা সামর্থকেই উপস্থাপনা দক্ষতা বলে।
ব্যবসায় বাণিজ্যের ক্ষেত্রে সংগঠনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক যখন তার ব্যবসায়ের পরিচিতির জন্য সভা আহবান করে মঞ্চের মাধ্যমে জনসম্মুখে বক্তব্যে তা তুলে ধরেন, তখন তাকে উপস্থাপন বলে।
এটা যখন কোন ব্যক্তি একটি সভা বা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সুন্দরভাবে পরিচালনার ক্ষমতা বা সামর্থ্য প্রদর্শন করতে পারেন, তখন তাকে উপস্থাপনা দক্ষতা বলে।আর যিনি উপস্থাপন করেন তাকে উপস্থাপক বলে।
সুতরাং বলা যায় যে, কোন ব্যক্তির কোন সভা বা অনুষ্ঠানে সুন্দর বক্তব্য প্রদর্শনের মাধ্যমে সভা পরিচালনা করার মানসিক ও শারীরিক যোগ্যতাই হল উপস্থাপন দক্ষতা।
উপস্থাপকের পোশাক কি
সাধারণভাবে একজন উপস্থাপক যে পোশাক পরিধান করে মঞ্চে উপস্থাপন করেন তাকে উপস্থাপকের পোশাক বলে।
একজন উপস্থাপক যেহেতু অনুষ্ঠানের সমন্বয়কারী তাই তাকে অবশ্যই মার্জিত ও রুচি সম্মত পোশাক পরিধান করতে হবে।
অর্থাৎ যে পোশাক, যেকোনো ব্যক্তির নিকট গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে এবং যার রং, আ কারো আকৃতি সুন্দর কিন্তু উগ্র নয় তাই হলো উপস্থাপকের পোশাক।
উপস্থাপক কাকে বলে
যে ব্যক্তি কোন বিষয়ের উপস্থাপন করেন তিনি হলেন উপস্থাপক। অর্থাৎ কোন অনুষ্ঠানে যে ব্যক্তি অনুষ্ঠানের কার্যক্রম পরিচালনা করে তাকে উপস্থাপক বলে।
উপস্থাপনা যে কোন অনুষ্ঠানে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনুষ্ঠানের সুন্দর্য ও সার্থকতা নির্ভর করে সুন্দর উপস্থাপনের উপর।
মূলত সমগ্র অনুষ্ঠানকে সুন্দর ও সার্থকভাবে পরিচালিত করতে হলে একজন উপস্থাপককে অবশ্যই মার্জিত, রুচিশীল, উপস্থিত বুদ্ধি, হাস্যজ্জল, সময়ের সচেতন, ও সুন্দর বাচনভঙ্গির অধিকারী হতে হবে ।
উপস্থাপকের গুণাবলী কি কি
সাধারণভাবে বলা যায় কোন সভা বা অনুষ্ঠান পরিচালনা করাই হলো উপস্থাপনা। একজন উপস্থাপক একটি অনুষ্ঠানে কিভাবে উপস্থাপন করবে তা আগে থেকেই পরিকল্পনা করতে হয়।
অর্থাৎ পূর্ব প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা মাপিক অনুষ্ঠান পরিচালনা করাই হলো উপস্থাপনা।
উপস্থাপকের গুণাবলী: উপস্থাপনা ভালো করতে হলে একজন উপস্থাপকের যেসব গুণ থাকা প্রয়োজন তা হল:-
- সাধারণ শিক্ষা
- সাধারণ জ্ঞান
- ভাষা জ্ঞান
- উপস্থিত বুদ্ধি
- অভিজ্ঞতা
- শারীরিক যোগ্যতা ও দুর্দৃষ্টি সম্পন্ন ইত্যাদি
যে উপস্থাপকের মধ্যে উপরোক্ত গুণাবলীর সমাহার বেশি ঘটে কার্যক্ষেত্রে তার পক্ষেই তত বেশি সফলতা অর্জন সম্ভব হয়।
ভাষণ অনুশীলন অথবা কিভাবে ভাষণ অনুশীলন করা যায় তার নির্দেশনা
ভাষণের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল ভাষা দক্ষতা। এ দক্ষতা আনন্দের জন্য প্রয়োজন অধিক অনুশীলন। এর মাধ্যমেই উপস্থাপনা দক্ষতা অর্জিত হয়।
ভাষা অনুশীলন: সাধারণত কোনো সভা বা মঞ্চ অনুষ্ঠানে শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলা বা বক্তব্য রাখা কে ভাষণ বলে। আর বক্তব্য যখন নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে উপস্থাপন করা হয় তখন তাকে ভাষণ অনুশীলন বলে।
অর্থাৎ নিয়মিত চর্চা বা অভ্যাস এর মাধ্যমে বক্তব্য শিক্ষা গ্রহণই হল ভাষা অনুশীলন।
ভাষা অনুশীলন পদ্ধতি: নিম্নলিখিতভাবে ভাষা অনুশীলন করা যায়:-
- নিয়মিত চর্চা/অভ্যাস: ভাষণ বা বক্তৃতা নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে অনুশীলনের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। কোন ভালো বক্তার বক্তব্য রেকর্ড করে তা শুনে অনুসরণ করা যেতে পারে। একটা কথা আছে অভ্যাস মানুষের দাস। অর্থাৎ অভ্যাস করলে যে কোন বিষয়ে সহজে আয়ত্ত করা যায়। তাই নিয়মিত ভাষণের অভ্যাস চর্চা করলে ভালো বক্তা হওয়া সম্ভব।
- কঠোর পরিশ্রম: সময় করে নিয়মিত কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে ভাষণ অনুশীলন করলে দক্ষ উপস্থাপক হওয়া সম্ভব। কোথায় আছে পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি।
- প্রশিক্ষণ: প্রশিক্ষণ বিজয়ের উৎসব। যেকোনো কাজে সফলতা লাভের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যাবশক্তিও ঠিক ভাষন অনুশীলনের জন্য প্রশিক্ষণের গুরুত্ব অপরিসীম।
- আদর্শ শ্রোতা: উপস্থাপককে একজন উত্তম শ্রোতা হতে হবে। যেকোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সেখানে ভালো শ্রোতা বা দর্শক হিসেবে অনেক কিছু শেখা সম্ভব। তাই বলা যায় যে বাসন অনিশীলন করতে হলে প্রথমে বক্তা কে আদর্শ শ্রোতা হতে হবে।
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে বলা যায় যে একজন ভালো উপস্থাপক হতে হলে এসব বিষয় পর্যালোচনা করতে হবে। তাহলেই আপনি ক্যারিয়ারে সফল ভাবে উপস্থাপন এর মাধ্যমে নিজেকে তুলে ধরতে পারবেন।
You must be logged in to post a comment.