বিদেশের মাটিতে উচ্চশিক্ষা: উচ্চশিক্ষার জন্য বর্তমানের তরুন -তরুনীদের বিদেশ যাওয়ার প্রবনতা এখন শীর্ষে।বিদেশের উন্নত জীবনযাত্রা,পড়ালেখার মান এবং নিজের চমৎকার ভবিষ্যতের আশায় শিক্ষার্থীরা মুখিয়ে থাকে।
তবে, বিদেশ যাওয়ার আগে নিজেকে প্রস্তুত করা যেমন জরুরী ঠিক তেমনিভাবে জরুরী কিছু সাধারন তথ্য জেনে নেওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব তথ্যগুলি।
১.দেশ বাছাই :
শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের তালিকায় সচরাচর উন্নতমানের দেশ গুলোকে রাখে। কিন্তু, এখন আমেরিকা,কানাডার মতো উন্নত দেশ ছাড়াও ইতালী,চীন, মালয়েশিয়া ও পড়ালেখার দিক দিয়ে অনেক দূর এগিয়ে।
এইচ এস সি এর পর অনার্স কিংবা অনার্সের পর মাস্টার অথবা পি এইচ ডি করার জন্য ও শিক্ষার্থীরা বিদেশে আবেদন করে।
যেকোনো ইউনিভার্সিটি, ন্যশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স করেও আবেদন করা যায়৷ অনেকের ধারনা ন্য্যশনাল থেকে অনার্স করলে আবেদন করা যাবেনা।
কিন্তু এটি সম্পুর্ন ভুল ধারনা। তবে, যে দেশের জন্য আবেদন করা হোক না কেন, একটি বিষয়ে দুর্বলতা রাখা চলবেনা সেটি হলো ইংরেজী। ইংরেজীতে দুর্বলতা রাখা চলবেনা।
সেক্ষেত্রে যেকোনো দেশ ই IELTS পরিক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ইংরেজিতে যোগ্যতা যাচাই করে। তবে অনেক দেশেই ইংরেজী জানার পাশাপাশি তাদের দেশের ভাষাও জেনে যেতে হয়।
যেমন :ইতালী, সাউথ কোরিয়া।এক্ষেত্রে, দেশ বাছাইয়ের সময় শুধু মাত্র উন্নত দেশ শব্দটি মাথায় না রেখে সেখানে সুযোগ সুবিধা কেমন,ওয়ার্ক পারমিট আছে কিনা, স্কলারশিপ দিচ্ছে কিনা, টিউশন ফি কেমন হতে পারে এসব বুঝে শুনেই দেশ বাছাই করা উচিত৷
২.সাবজেক্ট:
অনেকেই ভাবেন এতোগুলো টাকা খরচ করে বিদেশ যাবো, সাবজেক্ট টা নিবো কি? সাবজেক্ট চয়েজ টা কি ঠিক হচ্ছে? পরবর্তীতে কি চাকরি পাবো? ডিমান্ড কেমন হবে?
এখনি এসব চিন্তা বাদ দিয়ে তিনটি প্রশ্ন নিজেকে নিজেই করুন, তাহলে আর আপনাকে সাবজেক্ট চয়েজ নিয়ে হিমশিম খেতে হবেনা।
১.আপনি কোন বিষয়ে পড়তে আগ্রহী?
২.বিষয়টিতে আপনি ছাত্র/ছাত্রী হিসেবে কেমন?
৩.বিদেশে /দেশের বাজারে বিষয়টির চাহিদা কেমন?
এই ৩ টির উত্তর দিতে পারলেই আপনি আপনার পছন্দের সাবজেক্ট চোখ বন্ধ করে নির্ধারন করতে পারবেন৷
তৃতীয় এবং সর্বশেষ ধাপ হলো :
ফান্ডিং:
অনেকেই এখন বিদেশে উচ্চশিক্ষার বিষয়টিকে আকাশ কুসুম কল্পনা মনে করেন। অনেকের কাছেই আবার সোনার হরিণ।কারো কারো ধারনা টাকা আছে যার বিদেশে উচ্চশিক্ষা তার। কিন্তু এসব ভুল ধারনা ছাড়া কিছুই নয়।
অনেক উন্নত দেশের ইউনিভার্সিটি গুলোতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি স্কলারশিপ দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা একটা মোটা অংকের স্কলারশিপ পেয়ে থাকেন। কিন্তু এক্ষেত্রে, শিক্ষার্থীদের নিজ যোগ্যতায় স্কলারশিপের সুযোগ গুলো লুফে নিতে হয়।
তাছাড়া, অনেক দেশেই ওয়ার্ক পারমিট দেওয়া থাকে। এতে করে ছাত্র -ছাত্রীরা পার্ট টাইম জব করেও টিউশন ফি ফুলফিল করতে পারেন। বর্তমানের বাজারে জার্মানি অনেকেরই সপ্ন।
কারন জার্মানিতে কোনো টিউশন ফি নেই। তবে, জার্মানিতে আবেদন এবং অন্যান্য কাজ অনেক সময় সাপেক্ষ ব্যপার এতে ৩-৪ বছর ও লেগে যেতে পারে।
কিন্তু, সুযোগ-সুবিধা বেশি হওয়ায়,এবং আবেদন প্রক্রিয়া কঠিন হওয়ায় অনেকের কাছেই জার্মানী আকাশ্চুম্বী কল্পনা।
তবে সর্বোপরি বলা যায়, ফান্ডিং নিয়ে আর চিন্তা নয়। নিজ যোগ্যতা এবং মেধা বলেও বিদেশে উচ্চশিক্ষা সম্ভব।
এখন আর দেশ বাছাই, সাবজেক্ট চয়েজ, ফান্ডিং নিয়ে আর চিন্তা নয়। নিজেকে গড়ে তুলুন শুধুমাত্র উচ্চশিক্ষার লক্ষ্যে।
You must be logged in to post a comment.