Website থেকে টাকা কিভাবে ইনকাম করবেন? (বিস্তারিত টিউটোরিয়াল)

আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা আয় করা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো এবং বিশ্বস্ত একটি উপায় হলো ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ইনকাম। অনেকেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে পারে।এমন লোক রয়েছে যারা প্রতিমাসে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে লাখ টাকার ওপরে ইনকাম করে।

আজকের আর্টিকেল আমরা শিখতে বা জানতে চলেছি,,, কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়? এবং ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে হাতে পর্যন্ত পাবেন।এই বিষয়গুলো নিয়ে step-by-step বিস্তারিত আলোচনা করব।যাতে করে আপনারা খুব সহজেই বুঝতে পারেন কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম সম্ভব। এবং সহজেই কিভাবে টাকা ওয়েবসাইট থেকে হাতে আসে।

আর্টিকেল এর সূচনা

অনলাইনে আপনি অনেক অনেক মাধ্যম অবলম্বন করে টাকা আয় করতে পারবেন। কারণ অনলাইনে বর্তমানে অনেক অনেক মাধ্যম অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করা যায়। তারমধ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং বিশ্বস্ত একটি উপায়। অনেক বছর ধরেই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করা যাচ্ছে। এমনকি বর্তমানে খুবই জনপ্রিয় মাধ্যম টি ।

ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার জন্য আমাদের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে। ওয়েবসাইটটি হতে পারে আপনার ব্লগিং এর জন্য। অথবা হতে পারে আপনার বিজনেসের জন্য। কিংবা আপনার পারসোনালিটির জন্য হতে পারে আপনার ওয়েবসাইট। এবং এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনারা খুব সহজে টাকা ইনকাম করতে পারবেন।

অনলাইনে ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য অনেক ধরনের প্লাটফর্ম রয়েছে। তারমধ্যে একটি হলো ওয়াডপ্রেস। আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম সেটি হয়তো আমরা সবাই জানি ব্লগার।সাধারণত এই দুটি প্লাটফর্ম অনলাইন জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম।এখান থেকেই আপনারা ওয়েবসাইট তৈরি করে খুব সহজে টাকা আয় করতে পারবেন। একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে বিভিন্ন জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে।

তাছাড়া আপনি চাইলে একটি ওয়েবসাইট কোন লোক দিয়ে তৈরি করে নিতে পারবেন।এমনকি আপনি চাইলে নিজেও একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। আমরা ঐদিকে যাচ্ছি না। আমাদের মূল উদ্দেশ্য প্রফেশনাল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি প্রয়োজন হয়? ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করে ডিজাইন করব? এবং কিভাবে কাজ করে টাকা ইনকাম করব?এবং শেষ পর্যন্ত হাতে পর্যন্ত টাকা কিভাবে আসবে? এই বিষয়গুলো নিয়েই আমরা step-by-step এবার জানব।

যেখান থেকে আপনিও চাইলে সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন আশা করি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের মূল টিউটোরিয়াল।তবে তার আগে একটু অনুরোধ করবো অবশ্যই আর্টিকেলটির শেষপর্যন্ত মন দিয়ে পড়বেন।কেননা আজকের আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও তথ্যবহুল হতে চলেছে। এবং শেষ পর্যন্ত পড়লে আশা করি আপনিও ইনকাম করতে পারবেন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে।

ওয়েবসাইট কিঃ ওয়েবসাইট হলো আপনার একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনি আপনার ইচ্ছামত নানা ধরনের ছবি কন্টেন ভিডিও আর্টিকেল ইত্যাদি প্রকাশ করবেন। সেটাই হল একটি ওয়েবসাইট। অনেকে ওয়েবসাইটকে পৃষ্ঠা বলে থাকে। যে ওয়েবসাইটে একটি নয় বরং একাধিক কন্টেন রয়েছে সেটাকেই পৃষ্ঠা বলে। আর আমরা এই পেজটাকে সাধারণত বলি থাকি ওয়েবসাইট।

ওয়েবসাইট তৈরি কিভাবে করা যায়?

আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে, আমি আপনাকে দুইটা প্ল্যাটফর্ম এর সাথে যুক্ত হয়ে কাজ করার জন্য সাজেস্ট করব। সেটার একটি হলো ওয়ার্ডপ্রেস এবং অপরটি ব্লগার। এই দুটি প্লাটফর্মের যেকোনো একটি প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে আপনি সহজেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

এমনকি অনেক প্রফেশনাল লোকেরাও এই দুটি প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমেই ওয়েবসাইট তৈরি করে থাকে। কারণ হলো এই দুটি প্ল্যাটফর্ম অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম। যেখানে আপনারা চাইলে ব্লগিং অথবা নিজের ব্যক্তিগত কোনো কাজের জন্য ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। ঠিক আপনার মনে যেমন ইচ্ছা ঠিক তেমনি ভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন এই প্লাটফর্মের মাধ্যমে।

তাই আপনি যদি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে অবশ্যই এই প্লাটফর্ম দুটি আপনার জন্য বেস্ট। যাই হোক এবার আমরা জানবো ওয়েবসাইট কিভাবে তৈরি করে? একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন হয়। যে জিনিস গুলো ব্যতীত কখনও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায় না।তাই একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য এই জিনিসগুলো আপনার জেনে রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজনঃ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস প্রয়োজন হয়। তবে এক এক জায়গায় এক এক রকম জিনিস দরকার হয়। যেমন আপনি যদি ওয়ার্ডপ্রেসে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে বেশ কিছু জিনিস প্রয়োজন হবে। একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করতে।আর অপরদিকে আপনি যদি ব্লগারে কাজ করেন বা একটি ওয়েবসাইট তৈরি করেন।তাহলে স্বল্প জিনিসে আপনি একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে সাধারণত তিনটি জিনিসের প্রয়োজন হয়ে থাকে। তার মধ্যে একটি হলো থিম। আরেকটি হলো ডোমেন। এবং আরেকটা হল হোস্টিং। সাধারনত এই তিনটি জিনিস দিয়ে খুব সহজ একটি ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। এখন আমরা এই তিনটি জিনিস নিয়ে একটু বিস্তারিত জেনে নিন।

থিম কিঃ বলতে পারেন থিম হলো আপনার ওয়েবসাইটের মূল অংশ। অথবা আপনার ওয়েবসাইটের সৌন্দর্য হলো থিম। থিম ব্যতীত একটি ওয়েবসাইট সৌন্দর্য কখনোই হবে না। এবং থিম আরো অনেক ধরনের কাজ করে থাকে। অনলাইনেও অনেক ধরনের থিম রয়েছে। তবে একেক রকম থিমের এক এক রকম কার্যক্রম হয়ে থাকে। এবং ওয়েবসাইটের জন্য থিম খুবই উপকারী।কারণ থিম ব্যতীত একটি ওয়েবসাইট কমপ্লিট করা অসম্ভব। তাই একটি ওয়েবসাইটের জন্য টিম খুবই গুরুত্বপূর্ণ জিনিস।

ডোমেইন কিঃ ডোমেন হল আপনার ওয়েবসাইটের নাম। আপনি যখন ব্লগারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবেন তখন একটি নাম দিতে। আপনি যদি সম্পূর্ণ ফ্রিতে ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে ডিফল্ট একটি নাম দিবে। যেমন prothom-alo.blogger.com এটাই হলো আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেন।

এখন আপনি কী চান এই নামটি আপনার ওয়েবসাইটে থাকুক। আপনি যদি রাখতে চান তাহলে রাখতে পারেন।আর যদি না চান তাহলে নতুনভাবে আরেকটি ডোমেইন নেম আপনি ক্রয় করতে পারেন। অনলাইনে অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে যেখানে ডোমেইন কিনতে পাওয়া যায়। তাই আপনারা চাইলে আপনার ওয়েবসাইটের ডোমেইন নেম চেঞ্জ করে নিতে পারেন।

হোস্টিং কিঃ হোস্টিং হলো আপনার ওয়েবসাইটের জায়গা। এখন আপনি একটি 4gb মেমোরি কার্ড ক্রয় করেছেন। 4gb মেমোরি কার্ডে কত ফাইল থাকবে সেটা কি 8gb এর সাথে তুলনা হয়।নিশ্চয়ই জিবিতে যত জায়গা রয়েছে তার চেয়ে বেশি 8gb তে আরো বেশি অনেক জায়গা রয়েছে। এখন হোস্টিং জিনিসটাও ঠিক একই রকম। হোস্টিং আপনার ওয়েবসাইটের জায়গা।

যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের কোন কন্টেন কোন ভিডিও কোন ছবি অথবা কোন আর্টিকেল ইত্যাদি। রাখার জন্য তো নির্দিষ্ট জায়গা প্রয়োজন হবে তাই না। ঠিক এ কারণেই ওয়েবসাইট এর জন্য হোস্টিং বা জায়গা প্রয়োজন। বলা যায় হোস্টিং ব্যতীত কখনো আপনার ওয়েবসাইটটি কমপ্লিট হবে না।একারণেই ওয়েবসাইটে হোস্টিং খুবই প্রয়োজন।

ওয়েবসাইট তৈরি যেভাবেঃ আগে বলেছিলাম আপনাকে একটি প্লাটফর্মে আপনাকে যুক্ত হতে হবে যেখানে ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। তারপর ওই ওয়েবসাইটে আপনার যে নামটি দিয়ে ওয়েবসাইট তৈরি করবেন সেটা দিবেন।সেটা অবশ্যই উনিক হতে হবে যে নামটা আগে কেউ কখনো ব্যবহার করেনি। এ ধরনের একটি ইউনিক নাম দিয়ে আপনাকে ওয়েবসাইট বানাতে হবে।

তারপর আপনার ওয়েবসাইটে একটি থিম ইন্সটল করবেন বা থিম যোগ করবেন।এবং তারপর থিমটি আপনার ওয়েবসাইটে কাস্টমাইজ করবেন। ব্যাস এভাবে করেই আপনি খুব সহজে একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। তবে নির্ভর করবে সম্পূর্ণ আপনার থিমের উপর। থিম যেভাবে সাজান আপনার ওয়েবসাইটটি ও ঠিক সে ভাবে সাজাতে পারবেন।

তার জন্য আপনি থিম ক্রয় করে ও আপনার ওয়েবসাইটে যোগ করতে পারবেন। সেখানে আপনি আপনার মন মত ইচ্ছা মতো ওয়েবসাইট ডিজাইন করতে পারবেন। আপনি যদি নিজে না করতে পারেন তাহলে অন্য কাউকে করিয়ে নিতে পারবেন। ঠিক এভাবে করে আপনার একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন আশা করি।

ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়?

এতক্ষণ আমরা একটি ওয়েবসাইট কমপ্লিট হবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কিভাবে করে? এ বিষয়ে step-by-step শিখেছি। এখন আমরা ওয়েবসাইটে ইনকাম করা যায় কিভাবে? এ বিষয়টা নিয়ে step-by-step শিখব। চলুন এবার জেনে নিই কিভাবে ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করা যায়?

ওয়েবসাইট থেকে ইনকামঃ একটি ওয়েবসাইট থেকে বিভিন্ন উপায়ে টাকা আয় করা যায়। যদিও নির্ভর করবে আপনি ওয়েবসাইটটি কেন তৈরি করেছেন।বা আপনি কোন উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে চান তার উপর। আপনি যদি ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে চান তাহলে অনেকগুলো আর্টিকেল আপনাকে ওয়েবসাইটে লিখতে হবে।

অথবা আপনি যদি আপনার নিজের ব্যবসা প্রসারের করে আয় করতে চান তাহলে, আপনার ওয়েব সাইটে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে বিস্তারিত সুন্দর ভাবে সাজাতে হবে। অথবা আর্টিকেল আকারে ওয়েবসাইটে পাবলিশ করতে হবে। এবং আপনাকে অবশ্যই একটি নিস এর উপরে কাজ করতে হবে। ধরুন আপনি নিজের ব্যবসা করে টাকা ইনকাম করার উদ্দেশ্যে ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন।

এখন আপনি চাচ্ছেন শুধুমাত্র নিজের ব্যবসা প্রচার করে ইনকাম করতে। তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের মূল কাজ হবে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে প্রতিদিন নতুন নতুন আর্টিকেল লেখা। ঠিক এভাবে করে আপনাকে কাজ করে দিতে হবে। এবং আপনি জিনিসের উপরে কাজ করবেন সেটাই আপনার ওয়েবসাইটের মূল কাজ। যেটা আপনি দৈনিক করে যেতে পারলে ইনকাম করতে পারবেন।

ওয়েবসাইটে ইনকাম শুরু যেভাবেঃ এখন আপনার ওয়েবসাইটে ইনকাম শুরু করার জন্য আরও কিছু কাজ করতে হবে। সেটা হল আপনার ওয়েবসাইটটি পরিপূর্ণ কিছু ইউনিক আর্টিকেল লেখা। এবং ইনকাম করার উদ্দেশ্য হলো একটি এডসেন্স একাউন্ট ক্রিয়েট করা।

সাধারণত আপনি এডসেন্স একাউন্টের মাধ্যমে এই ওয়েবসাইটে ইনকাম করতে পারবেন। এবং আপনি যে টাকাটা উত্তোলন করবেন ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার পর। থেকে টাকা উত্তোলন হবে আপনার অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট থেকেই। সে বিষয়ে আমরা একটু পরে আলোচনা করছি। এখন আপনার ওয়েবসাইটটি অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে হবে ইনকাম করার জন্য।

যখন আপনি অ্যাডসেন্সে আবেদন করতে যাবেন তখন আপনার পার্সোনাল কিছু ইনফরমেশন চাইবে। এবং আপনার ওয়েবসাইটের নামটি জানতে চাইবে।এগুলো দিয়ে খুব সহজে আপনার একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে পারবেন।তৈরি করার পর আপনার এডসেন্স একাউন্টে রিভিউ করা হবে। এবং কিছুদিনের ভিতর আপনার ফলাফল জানিয়ে দেওয়া হবে।

আপনার এডসেন্স একাউন্টে যদি এপ্রুভ হয়ে যায় তাহলে,আপনি আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। এবং এই বিজ্ঞাপন যত লোক দেখবে ততো আপনার ইনকাম আসবে। আশা করি আপনার বুঝতে পেরেছেন ওয়েবসাইট থেকে কিভাবে ইনকাম টা আসে। আপনার ওয়েবসাইটে অ্যাডসেন্স এর বিজ্ঞাপনগুলো যত লোক দেখবে ততবেশি আপনার ইনকাম হতে থাকবে এডসেন্স একাউন্টে।

আশা করি আপনারা সকলেই বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ওয়েবসাইট থেকে সত্যিকার অর্থে ইনকাম শুরু হয়। যদি বুঝতে অসুবিধা হয় কমেন্ট করতে ভুলবেন না। এখন আমরা জানবো ওয়েবসাইটের টাকা ইনকাম সেটা হাতে পর্যন্ত কীভাবে আমাদের কাছে আসে।

ওয়েবসাইট থেকে টাকা উত্তোলন?

আমি আগেই বলেছিলাম ওয়েবসাইট থেকে ইনকাম করার জন্য, আপনার একটি অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। এবং এই এডসেন্স একাউন্টে আপনার ইনকাম টা দেখা যাবে।এবং এই গুগল এডসেন্স থেকে আপনার টাকা উত্তোলন করতে পারবেন। এখন আমাদের প্রশ্ন হল কিভাবে এডসেন্স থেকে টাকা উত্তোলন করা যায়?

প্রথমত আপনার ওয়েবসাইট থেকে অ্যাডসেন্সে সর্বপ্রথম 10 ডলার ইনকাম করতে হবে। আপনি যখন আপনার ওয়েবসাইটের এডসেন্স একাউন্টে 10 ডলার ইনকাম করবেন তখন, গুগল থেকে আপনার এড্রেস এ একটি চিঠি আসবে। এবং এই চিঠিতে একটি কোড দেওয়া থাকবে। এই কোডটি আপনি আপনার এডসেন্স একাউন্টে সাবমিট করলেই আপনার এড্রেস ভেরিফাই হয়ে যাবে।

ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনি আপনার দেশের যেকোন ব্যাংক একাউন্ট এড করতে পারবেন। তবে ব্যাংক একাউন্ট এড করলে সাথে সাথে আপনার টাকা দিয়ে দিবে না। আপনার টাকাটা ব্যাংক একাউন্টে আমার জন্য আপনাকে আরো ইনকাম করতে হবে 90 ডলার। অর্থাৎ আগে ছিল 10 ডলার এবং এখন 90 ডলার মোট 100 ডলার। যখনই আপনার একাউন্টে 100 ডলার হয়ে যাবে তখন, বর্তমান মাসের শেষের দিকে আপনার ব্যাংক একাউন্টে গুগোল টাকা টান্সফার করে দিবে।

এই টাকা সরাসরি গুগল আপনাকে ব্যাংকের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিবে। তার জন্য আপনাকে নতুন ভাবে আবার রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে না। এবং এভাবে করে আপনারা তার পরবর্তী মাস থেকে প্রতিমাসের টাকা প্রতিমাসে পাবেন।আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন কিভাবে ওয়েবসাইটের টাকা এডসেন্সের মাধ্যমে হাতে পর্যন্ত পৌঁছায়। যদি আর্টিকেল কোথাও কিছু বুঝতে অসুবিধা হয় কমেন্ট করতে একদমই ভুলবেন না।

আর্টিকেল এর শেষ কথা

আজকে আমরা জানলাম কিভাবে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায়? আমরা চেষ্টা করেছি এ টু জেড আপনাদের কে বোঝানোর জন্য। যাতে করে আপনারা ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম হাতে পর্যন্ত পাবেন। যদি আর্টিকেল সম্পর্কিত কোনো প্রশ্ন অথবা মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করতে একদমই ভুলবেন না।

আমি অবসাদের কমেন্টের রিপ্লে দেওয়ার চেষ্টা করব।বরাবরের মতো আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আর্টিকেলটির যদি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। পরিশেষে সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই দেখা হবে অন্য কোন আর্টিকেলে। আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

অনলাইনে লেখালেখি করতে ভালোবাসি। অনলাইনে কিছু শিখতে ও জানতে ও জানাতে আরো বেশি ভালোবাসি।