আমরা অনেক সময় মনে মনে প্রতিজ্ঞা করি জীবনকে পরিবর্তনের। কখনো কোন গল্প বা ঘটনা পড়ে বা শুনে অথবা কোন টিভি প্রোগ্রাম দেখার ফলে আমাদের মধ্যে এমন প্রতিজ্ঞা করার ব্যাপারটি ঘটে থাকে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিজ্ঞা দীর্ঘ সময় স্থায়ী হয় না। অধিকাংশ সময়ই জীবনকে পরিবর্তনের বা সাফল্য অর্জনে মনের এ উদ্যম দুর্বল হয়ে পড়ে।
তাহলে কী জীবনের ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব নয়? হ্যা, সম্ভব। এর জন্য আপনাকে একটি সুপরিকল্পিত কর্মপন্থাকে অনুসরণ করতে হবে। জীবন পরিবর্তনের তথা জীবনে সফলতা লাভের সেই কর্মপন্থার আলোচনাই এখন করবো।
যেভাবে আপনি জীবনে সফল হতে পারবেন:
১। সিদ্ধান্ত নিন উন্নতি লাভের জন্য আপনি কী করতে চান। স্পষ্টভাবে সিদ্ধান্ত নিন। আপনি একা একটি শান্ত পরিবেশে বসে তৈরি করুন আপনার লক্ষ্যবস্তুসমূহের তালিকা এবং করে ভালভাবে দেখুন আপনার তালিকার সব বিষয়গুলো আপনি প্রকৃতই অর্জন করতে চাচ্ছেন কি-না। হয়তো আপনি বের করতে পারবেন যে তালিকার কিছু লক্ষবস্তু আপনি আসলেই অর্জন করতে চাচ্ছেন না।
২। এরপর আরেকটি কাগজ নিয়ে যে লক্ষ্যগুলো আপনি অর্জন করতে চাচ্ছেন না সেসব লক্ষবস্তুগুলোকে লিখে নিন। এবার কোনগুলো আপনি প্রকৃতই অর্জন করতে চান সেগুলোকে গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রথম, দ্বিতীয় - এভাবে ধারাবাহিকভাবে সিরিয়াল করুন বা ক্রম অনুযায়ী সুবিন্যস্ত করে লিখুন।
৩। এরপর কীভাবে আপনি এগুলোকে বাস্তবে পরিণত করবেন তা নিয়ে একটি পরিকল্পনা তৈরি করুন। বাস্তবতার ভিত্তিতে বিচার-বুদ্ধি, স্বতস্ফুর্ত উপলন্ধি, চিন্তা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে কাজটি করতে হবে।
৪। কিছু একটা করে আগাতে হবে। যেমন আপনার লক্ষবস্তুর তথ্য সম্বলিত একটি বই সংগ্রহ করতে পারেন। আপনার কাজের প্রেরণায় গতি সঞ্চার করে এমন ভিডিও দেখুন। কোন মোটিভেশনাল তথা প্রেষণামূলক কোর্স অথবা ওয়ার্কশপে অংশ নিলে আরো ভাল হয়।
৫। আপনার কাঙ্খিত বিষয়ে যেসকল বিশিষ্ট ব্যক্তিরা সফল হয়েছেন তাদের সফল হবার কাহিনী এবং এ বিষয়ে তাদের নির্দেশনাগুলো জানুন।
৬। আপনি আপনার কাঙ্খিত বিষয়ে সফল হয়েছেন এমন রূপে নিজেকে জীবন্তভাবে চিত্রিত করুন।
৭। আপনার চিত্রিত নিজের রূপকে এবং সফল হলে যে লাভ বা উপকার গুলো হবে সেসব বেশি বেশি করে ভাবুন।
৮। বারবার আপনার সংকল্পের কথা পুনরাবৃত্তি করুন।
৯। সাফল্যের পথে বাধা সৃষ্টি করে এমন কিছুকে প্রশ্রয় দেবেন না। দৃঢ়চিত্তে ধৈর্যের সাথে সেসবকে দূর করুন। কত সময় বা শ্রম যাচ্ছে সেটা নিয়ে বেশি ভাবার কিছু নেই।
১০। আত্ম-নিয়মানুবর্তিতার মাধ্যমে একাগ্র চেষ্টায় নিজেকে অধ্যবসায়ী করে তুলুন।
১১। নিজের সক্ষমতা ও অবস্থার উপর বিশ্বস্ত থাকুন।
১২। লক্ষ্যের জন্য প্রতিকুল আচরণ বা অভ্যাসগুলো দৃঢ়চিত্ত নিয়ে দূর করে অনুকূল আচরণগুলো নিজের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করুন।
এসব বিষয়গুলো একাগ্রতার সাথে অনুসরণ করে লক্ষ্য অর্জন করা পর্যন্ত এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই সফলতা আপনার কাছে এসে ধরা দেবে।
Good
সুন্দর
You must be logged in to post a comment.