অষ্টম শ্রেণি পাস করার পর এমন কোনো শিক্ষার্থী নেই যে কিনা কখনো চিন্তা করে নি,কোন বিভাগ এ যাব।এ বিষয় টি নিয়ে তারা অবশ্যই চিন্তা করেছে।
এক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় এর উপর ভিত্তি করে এ বিভাগ পছন্দ করা যায়।যেমন-
নিজের ইচ্ছা:
বিভাগ পছন্দ এর ক্ষেত্রে প্রধান যে উপাদানটি প্রাধান্য দিতে হবে সেটি হলো নিজ ইচ্ছা।সব সময় শিক্ষার্থী দের এটা ভাবতে হবে আমার ইচ্ছা কি হওয়া বা আমি ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চায়।
অবশ্যই কিছু শিক্ষার্থী হইতো নিজেকে দেখতে চায় সাদা এফ্রন আর স্টেথোস্কোপ গায়ে,আবার কেউ কেউ নিজেকে দেখতে চায় জজ কোর্ট এ,আবার কেউ নিজেকে দেখতে চায় কোন একটা ব্যাংকের পদে।
তাই এখানে নিজের ইচ্ছা কে খুজে বের করতে হবে।
নিজের মেধা যাচাই করা:
অনেক সময় সঠিক ভাবে মেধার মূল্যায়ন করতে না পারার কারণে অনেকে পিছিয়ে যায়।যেমন-কিছু শিক্ষার্থী হইতো ভালোভাবে পড়া মুখস্থ করতে পারে বা একবার কিছু দেখলেই মনে থাকে,সেক্ষেত্রে তাদের উচিত আর্টস নেওয়া।
এতে তারা সফল হতে পারবে কেননা যদি তারা নিজের মেধার মূল্যায়ন করতে না পেরে সাইন্স নিয়ে নে তাহলে দেখা যাবে তারা এমন জিপিএ নিয়ে সাইন্স থেকে বের হলো যা কোনো কাজেই আসছে নাহ।তার চেয়ে তারা আর্টস থেকে অন্য কোনো ভালো পজিশন এ যেতে পারতো।
একই কথা অন্য শিক্ষার্থীর জন্যও।যেসব শিক্ষার্থী ভালো ম্যাথ পারে সহজেই তা করে ফেলতে পারে তাদের উচিত সাইন্স নেওয়া।
শুধুমাত্র বাহ! বাহ! পাওয়ার জন্য কোনো বিভাগ না নেওয়া:
এমন অনেক শিক্ষার্থীই আজকাল নিজের জীবন নষ্ট করছেন শুধু সমাজের বাহ! বাহ! পাওয়ার জন্য।যদিও এক্ষেত্রে অধিকাংশ সময় সমাজ ই দায়ী।
তারা কেউ সাইন্স এ পড়লে ভাবে হইতো ছাত্র/ছাত্রী টি অনেক মেধাবী।
আবার যদি আর্টস এ পড়ে তাহলে ভাবে ছেলেটা/মেয়েটা বোকা ছাত্র/ছাত্রী। এসবের কারণেই অনেক ছাত্র/ছাত্রী শুধুমাত্র প্রশংসা পাওয়ার লোভে সাইন্স নিয়ে থাকেন যেটা একদমই অনুচিত।
অভিভাবকদের জোর-জবরদস্তিকে প্রাধান্য না দেওয়া:
অনেক অভিভাবক তাদের ছেলেমেয়েদেরকে নিজের ইচ্ছা প্রয়োগ করে নিজ ইচ্ছা মতো বিভাগে পড়িয়ে থাকেন।
এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা তাদের পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। কারণ তারা বিভাগটি নিজ ইচ্ছামতো নেই নি।ফলে তারা পড়ার মনোবল হারিয়ে ফেলা। এজন্য শিক্ষার্থীদের উচিত প্রথমে অভিভাবকদের বুঝিয়ে কোনো বিভাগ পছন্দ করা।
বন্ধুদের প্ররোচনায় না পড়া:
অনেক শিক্ষার্থী শুধুমাত্র বিভাগ পছন্দ করে থাকেন তাদের বন্ধুরা কোন বিভাগে ভর্তি হচ্ছে তা দেখে।
এক্ষেত্রে একেবারেই এমন প্ররোচনায় পড়া যাবে নাহ।মনে রাখতে হবে এসব বন্ধু চলে যাবে ঠিক তখনই যখন ক্যারিয়ারে সফল হতে পারবে নাহ।
অভিজ্ঞ ব্যাক্তির পরামর্শ গ্রহণ করা:
যখন এসব সিন্ধান্ত নেওয়ার সময় ছাত্র/ছাত্রীরা হীনম্মনতায় ভোগে তখন তাদের উচিত অভিজ্ঞ কারো পরামর্শ নেওয়া। সে হতে পারে শিক্ষক বা এমন কেউ যে তার সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা রাখে।
এসব কিছু ভেবেই নিজের ক্যারিয়ার সম্পর্কে সচেতন হয়ে বিভাগ নিতে হবে।মনে রাখতে হবে, ভুল ফাদে পা দেওয়া যাবে নাহ।
আর যে বিভাগেই পড়ো না কেন অবশ্যই ১০০% চেষ্টার সাথে পড়তে হবে। এতেই সফলতা আসবে।শুভ কামনা ?
Thanks Jit
You must be logged in to post a comment.