নতুন উইন্ডোজ ১১ | চলে এসেছে মার্কেট এ উইন্ডোজ ১১।

নতুন উইন্ডোজে উইন্ডোজ ১০ এর চেয়ে বেশি যে সকম ফিচার যোগ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছেঃ

১।আধুনিক ইন্টারফেস এবং আইকন

২।স্টেবল কর্মক্ষমতা 

৩।মাইক্রোসফ্ট স্টোর একটি বড় আপগ্রেড

৪।স্ন্যাপ ভিউ দুর্দান্ত কাজ করে

৫।চমত্কার নতুন ব্যাকগ্রাউন্ড ইত্যাদি মারাত্মক ফিচার। 

এছাড়া এখানে উইন্ডোজ ১০ এর থেকে ব্যাটারী দক্ষতা এবং অ্যাপের কর্মক্ষমতা উইন্ডোজ ১০ এর থেকে অনেক বেশি হবে। আর স্লিপ মোড থেকে তাড়াতাড়ি কম্পিউটার চালু হয়ে যাবে। আবার এইখানে যেই সার্চবার বাম পাশে ছিল সেটা

মাঝখানে আনা হয়েছে। আর গত সকল উইন্ডোজ এর থেকে এটা বেশি সেইফ হবে। এন্ডয়েড অ্যাপ চলবে উইন্ডোজ ১১ এর সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে এখানে খুব আরামসে কোনো ঝামেলা ছাড়া এমনকি ইমুলেটোর ছাড়া 

এন্ডয়েড অ্যাপ চলবে। সহজে আক্সেসযোগ্য আর লে আউট এও পরিবর্তন এসেছে। আর এটা অনেক বেশি কাস্টমাইজযোগ্য যা পিসি এর পুরা লুকস এ চেঞ্জ করে দিবে। ব্রাইটনেস কন্ট্রল কে সহজ করে দেওয়া হয়েছে অনেক।

এক নজরে এর ফেচার গুলা যদি লিখি তাহলে এরকম হবে

  • তুন স্টার্ট মেনু
  • নতুন অ্যাকশন সেন্টার
  • ইউনিভার্সাল মিডিয়া কন্ট্রোল
  • আধুনিক ফাইল এক্সপ্লোরার
  • নতুন মাইক্রোসফট স্টোর
  • অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস সাপোর্ট
  • পুনরায় ডিজাইন করা সেটিংস অ্যাপ
  • দ্রুত উইন্ডোজ আপডেট
  • মাইক্রোসফট টিমের সাথে চ্যাট ইন্টিগ্রেশন
  • নতুন আপনার ফোন অ্যাপ
  • ভয়েস টাইপিং
  • নতুন ন্যূনতম লক স্ক্রীন
  • স্পর্শ কীবোর্ড উন্নতি
  • ডায়নামিক রিফ্রেশ রেট
  • অ্যানিমেশন 

এই সব মারাত্মক মারাত্মক ফিচার গুলো উইন্ডোজ ১১ কে ১০ এর থেকে অনেক বেশি ইউনিক আর উন্নত বানিয়েছে। আর এর সবচেয়ে ভালো দিক যেটা আমার ব্যাক্তিগত ভাবে ভালো লেগেছে সেইটা হলো এখানে এখন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ খুব সহজে চালানো যাচ্ছে মেইন ফাইল হিসেবে যেটা অনেক বেশি কাজের ফিচার।

পিসি তে ইমুলেটর সাধারনত ল্যাগ  করে আর চালু হতেও তুলনামূলক সময় লাগে আর আপডেট এ অনেক সমস্যা হয় কিন্তু উইন্ডোজ ১১ এ এই সমস্যা টা একদম এ হবে না।আর এইটা অনেক বেশি কিউট কালার। এইটার ওয়ালপেপার এইটার লে আউট এইটার আইকন সব মন ছুঁয়ে দেওয়া। আমি ব্যাক্তিগত ভাবে অনেক পছন্দ করেছি এইটা আর সাজেস্ট করব ব্যাবহারের।

কিন্তু সবার নিজ নিজ টেস্ট। তাই কারো নিজের আগের উইন্ডোজ ই ভালো লাগতে পারে সেটা চালালেও তেমন কোনো সমস্যা হবে না, তবে ইন্টারনেটে অনেক কিছু এখন থাকবে যেগুলা উইন্ডোজ ১১ ছাড়া আভেলেবল না।

তাই এই দিক বিবেচনায় উইন্ডোজ ১১ নেওয়া ভালো, কিন্তু বাজারে এর অনেক ফেক ভার্সন আছে সেগুলা পিসি কে অনেক সমস্যায় ফেলতে পারে। ভাইরাস ও থাকতে পারে তাই খুব সাবধানে উইন্ডোজ ১১ আপডেট করতে হবে।

আর ২০২৪ বা ২০২৫ এ আমরা উইন্ডোজ ১২ পেতে পারি, উইন্ডোজ ১২ এ থাকবে আরো আপডেটেড আর আর নতুন নতুন ফিচার। আর অনেক রিপোর্ট মতে , উইন্ডোজ ১২ এর কাজ অলরেডী শুরু হয়ে গেছে। আর এই উইন্ডোজ  হবে আগের সব গুলার থেকে উন্নত আর ইউনিক।

আর আমাদের বিল গেটস কাক্কু আছেই তো টেকনলজী কে অনেক আপডেট করার জন্য। তবে অনেকের কাছে উইন্ডোজ তাদের প্যাসান। অনেকে এখন ও উইন্ডোজ ৭ চালান। তাদের ওইটা ভালো লাগে সেইটা তাদের আবেগ হয়ে যায় দীর্ঘসময় ব্যাবহারের জন্য।

আমি নিজেও উইন্ডোজ ১১ ট্রাই করেছি কিন্তু আবার ১০ এই সুইচ করেছি। ওইটাই আমার কাছে বেশি কমফর্টেবল। সব এ শেয়ার করলাম যা যা জানি উইন্ডোজ ১১ এর। ভালো খারাপ , দোষ গুন সব।

যদিও তেমন কোনো খারাপ দিক নাই। কিছু ছোটো খাটো গ্লিচ থাকতে পারে সেটা পরে ঠিক করে দেওয়া হবে।আশা করছি আর্টিক্যালটা পড়ে ভালো  লেগেছে আর কাজে লেগেছে। যদি না লাগে তাইলে যাও খেয়ে দেয়ে একটু ঘুম দিয়ে এসে আবার পড়ো। ভাল্লাগবে..

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles