বর্তমানে ফ্রান্স ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কারন এটি পশ্চিম ইউরোপের দেশ হওয়া সত্তেও লেখাপড়ার টিউশন ফি বেশ কম, তাছাড়া বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য দেশটি অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। আসুন জেনে নিই লেখাপড়ার জন্য ফ্রান্স আপনার পছন্দের তালিকায় আসতে পারে কিনা।
ফ্রান্সে লেখাপড়ার জন্য কত টাকা লাগে?
যেকোনো দেশে যাবার আগে আমাদের মাথায় সর্বপ্রথম যে ব্যাপারটি আগে আসে সেটা হলো মোট কত টাকা খরচ হবে বাইরে লেখাপড়া করতে। যদিও ফ্রান্স বেশ উন্নত জীবনযাত্রার একটি দেশ তবুও আপনি চাইলে সেখানে স্কলারশিপের মাধ্যমে যেতে পারবেন।
আপনি যদি ফ্রান্সে যেতে চান তাহলে প্রতি বছর আপনার ১৩০০০ ইউরো থেকে ১৫০০০ ইউরো পর্যন্ত খরচ হতে পারে যেটা নির্ভর করবে আপনি ফ্রান্সের কোন অঞ্চলে থাকছেন, কোথায় লেখাপড়া করছেন তার উপর।
ফ্রান্সে কি ফ্রীতে পড়া সম্ভব?
আমরা অনেকেই জানতে চাই যে, ফ্রান্সে যদি উচ্চশিক্ষার জন্য বাংলাদেশ থেকে যাওয়া হয় তাহলে কি টিউশন ফি ফ্রী পাওয়া যাবে? তাহলে আপনি জানলে খুশি হবেন যে ফ্রান্স আপনাকে টিউশন ফি ফ্রি দিতে পারে।
কি বিশ্বাস হচ্ছে না, ফ্রান্স বিদেশি শিক্ষার্থীদের ১০০% স্কলারশিপ প্রদান করে তবে শর্ত সাপেক্ষে। আর টিউশন ফি ফ্রি পেতে হমে আপনাকে অবশ্যই আবেদন করতে হবে ফরাসি শিক্ষাব্যবস্থার নিয়ম অনুযায়ি, তারপর সেটা অনুমোদন পেলেই তবে আপনি ফ্রি পড়তে পারবেন।
লেখা-পড়ার পাশাপাশি চাকরি করা যাবে কি?
বাংলাদেশি হিসেবে আমরা সবাই চায় বাইরে যাবার পর সেখানে লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি করে বাড়তি টাকা ইনকাম করতে। আর ফ্রান্সে আপনি এই সুযোগটি পাবেন। পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি পার্ট-টাইম চাকরি করতে পারবেন।
ফরাসি শিক্ষাব্যবস্থা আপনাকে সপ্তাহে ২০ থেকে ৩০ ঘন্টা চাকরি করার সুযোগ দিয়ে থাকে, যাতে আপনি চাকরি এবং লেখাপড়া দুটোই ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারেন।
স্টুডেন্ট ভিসা বাতিল হলে কি করণীয়?
আপনি যদি ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করেন এবং কোনো কারনে সেটা গ্রহনযোগ্য না হয় অর্থাৎ বাতিল হয় তাহলে আপনি পরবর্তীতে আবার সকল নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে পারবেন।
এমন কোনো নিয়ম ফ্রান্সে নেই যে আপনি একবারের বেশি আবেদন করতে পারবেন না। তবে চেষ্টা করবেন নিয়ম মেনে সকল কাগজ পত্র ঠিক মত জমা দিতে তাহলে আপনার আবেদন টি বালিত হবে না।
স্টুডেন্ট ভিসা থেকে পরবর্তীতে ওয়ার্ক পারমিট নেয়া যাবে কি?
আপনি যদি ফ্রান্সে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে যান তাহলে সেখানে আপনি লেখাপড়ার পাশাপাশি পার্ট টাইম চাকরি করতে পারবেন কিন্তু ফুল টাইম চাকরি ছাত্রনবিশ কালীন আপনি করতে পারবেন না।
সেক্ষেত্রে আপনার মনে হতে পারে তাহলে পড়াশোনা শেষ হলে কি চাকরির জন্য ওয়ার্ক পারমিটে স্টুডেন্ট ভিসা পরিবর্তন করা যাবে। জী, আপনি স্টুডেন্ট ভিসা থেকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য আবেদন করতে পারবেন,
কিন্তু সেটা অবশ্যই আপনার স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ থাকাকালিনই এপ্লাই করতে হবে। যদি স্টুডেন্ট ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায় তবে আপনি ওয়ার্ক পারমিট পাবেন না।
আজকের আলোচনার মাধ্যমে আমি চেষ্টা করেছি ফ্রান্সে উচ্চশিক্ষা সম্পর্কে কিছু দিক তুলে ধরতে। আশা রাখছি আপনারা উপকৃত হবেন।
তবে শিক্ষাব্যবস্থা যেকোনো পরিবর্ত্ন যেকোনো সময় হতে পারে তাই প্রতিনিয়ম আপডেট পেতে আপনারা চাইলে ফ্রান্সের বিভিন্ন শিক্ষা ওয়েবসাইট গুলো দেখতে পারেন এছাড়া ইউটইউবে অনেকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা গুলো জানতে পারেন।
You must be logged in to post a comment.