আমাদের সবারই সফল ক্যারিয়ার গড়ার ইচ্ছে, আশা বা স্বপ্ন থাকে। প্রত্যাশত চাকরি পাওয়ার মাধ্যমে সেই স্বপ্নের দিগে এগিয়ে যেতে হয়। আর এই স্বপ্নটাকে সত্যিতে রুপান্তরিত করতে হলে যেই বিষয় গুলো মাথায় রাখতে হবে তা হলো
সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলা ও নিজেকে আপডেট করা
সফল ক্যারিয়ার গড়তে এই টপিকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কারণ আমাদের এই পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তন হচ্ছে। তার সাথে আমাদের ব্যবসা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও কার্যপদ্ধতি পরিবর্তন হচ্ছে। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে ও নিজেকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। সময়ের সাথে সাথে নিজের চিন্তা চেতনা ও ধেন ধারণা পরিবর্তন ও উন্নতি সাধন করতে হবে।
সম্পর্ক গড়ে তুলুন
আপনার ক্যারিয়ারের পরবর্তী ধাপ অনেকটা আপনার যোগাযোগ সম্পর্ক ও সামর্থ্যের উপর নির্ভর করে। সফল ক্যারিয়ার গড়তে সম্পর্ক গড়ে তুলার কোন বিকল্প নেই।
মানুষের সাথে আপনার সম্পর্ক যত বেশি থাকবে এবং আপনার নেটওয়ার্ক যত বড় থাকবে আপনি ক্যারিয়ারে তত বেশি উন্নত লাভ করতে পারেন। তাই সফল ক্যারিয়ার গড়তে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে।
সময়ের মূল্য দিতে শিখুন
শুধু সফল ক্যারিয়ার গড়তে না প্রায় সব ক্ষেত্রেই সময়ের মূল্য দিতে হবে। সময়ের যথার্থ ব্যবহার আপনাকে সফলতার আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।
আপনি যদি সফল মনিষিদের দিকে তাকান তাহলে দেখবেন তারা সবাই সময়ের যথাযথ ব্যবহার করেই জীবনে সফলতা অর্জন করেছে তাই সফল ক্যারিয়ার গড়তে আপনাকে অবশ্যই সময়ের মূল্য বুঝতে হবে।
কাজকে গ্রহণ করুন
আপনার বর্তমান কাজ সাদরে গ্রহণ করতে শিখুন। আপনি আপনার কাজকে সাদরে গ্রহণ করছেন নাকি বাধ্য হয়ে মেনে নিচ্ছেন? যদি বাধ্য হয়ে মেনে নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার সময় ও মেধা দুটোকেই অযথা নষ্ট করলেন।
যখন আপনি নতুন কোন চাকরি বা ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে আপনি আপনার কাজের মূল্য, কাজের সুযোগ ও কাজের সম্ভাবনা নিয়ে আপনার সহকর্মী ও ঊধ্বতন কারো সাথে আলাপ করে নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার চিন্তা চেতনা ও মানসিকতার পরিবর্তন হতে পারে।
শুনুন জানুন ও জিগ্গেসা করুন
একজন ভালো শ্রোতার কাছে এমন কিছু শেখা যায় যা বই পড়েও শেখা সম্ভব নয় তাই আপনি আপনার সহকর্মী ও সিনিয়ররা কি বলে তা শুনুন।
তাদের উপদেশ ও অভিজ্ঞতা থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারেন। কাজের বিষয়ে বা যেকোনো বিষয়ে যদি কিছু যানতে চান তাহলে জিগ্গেস করুন, এতে কোন লজ্জা বোধ করবেন না।
যা বললেন ভেবে বলবেন
কখন কোথায় কিভাবে কোনটা বলতে হবে সেটা ভেবে তার পর বলুন। যেটা জানেন না সেটা না বলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ আর যেটা বলবেন সেটা ভেবে দেখুন এখানে এটা বলা ঠিক হবে কিনা যেই বেপারে বলবেন সেই বেপারে ভালো করে জেনে নিয়ে তারপরই বলবেন।
Comment:niec
Omar Faraque
[email protected]
Comment:niec
Omar Faraque
[email protected]
You must be logged in to post a comment.