একটা সময় ছিল যখন আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না, যে ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করা যাবে। কিন্তু এই আধুনিক প্রযুক্তির উন্নতি এমন অসংখ্য কল্পনাকেই বাস্তবে রূপদান করেছে।
এখন মানুষ ঘরে বসেই টাকা উপার্জন করতে সক্ষম। অনলাইনে ব্লগিং. ফ্রিল্যান্সিং, আউটসোর্সিং ইত্যাদি করে এখন মানুষ অতি সহজেই স্বাবলম্বী হতে সক্ষম হচ্ছে।
শুধু তাই নয়, এখন মানুষ চাইলে অনলাইন অন্যের অধীনে থেকে অথবা নিজের একটি মুক্ত পেশা তৈরি করার মাধ্যমে সহজেই অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হচ্ছে।
এখন মানুষ চাইলে নিজের একটি ব্লগ অথবা নিজস্ব একটি ইউটিউব চ্যানেল ইত্যাদির মাধ্যমে অনায়াসে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে।
তার জন্য প্রয়োজন হবে শুধুমাত্র একটি উন্নত মানের কম্পিউটার। আজকাল অনেকেই এসব কাজ স্মার্টফোন দিয়ে ও করছে।
একটি উন্নত মানের স্মার্টফোন অথবা কম্পিউটার থাকলেই নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে সেখান থেকে মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করা কোন ব্যাপার না।
ব্লগ গুগলের দ্বারা নির্মিত এমন একটি ফ্রি ওয়েবসাইট বা সার্ভিস যা ব্যবহারের মাধ্যমে নিজের একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে ওখান থেকে আজীবন টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে।
ব্লগ কেমনে তৈরি করব?
অনলাইনে নিজের একটি ব্লগ তৈরি করা অত্যন্ত সহজ। ব্লগ তৈরি করার সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি মাধ্যম রয়েছে। প্রথমটি হল, ব্লগার ডট কম এবং অন্যটি হল, ওয়ার্ডপ্রেস।
ব্লগার ডট কম এ ব্লগ তৈরি করা অনেক সহজ এবং এটি করতে কোন অর্থ প্রদান করতে হয় না। কিন্তু ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ব্লগ তৈরী করতে হলে কিছু অর্থ প্রদান করতে হয় তাদেরকে।
একটি ব্লগ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়ে গেলে, তাদের কিছু নিয়ম নীতি অনুসরণ করার মাধ্যমে ওখান থেকে আজীবন উপার্জন করা যাবে।
সকল নিয়ম কানুন মেনে ব্লগে একটি অ্যাকাউন্ট করা হয়ে গেলে, ওখানে কিছু ড্যাশবোর্ড দেখাবে। যেখানে নিম্ন উল্লেখিত বিষয়গুলো উল্লেখ করা থাকবে।
১) নিউ পোস্ট:
এইখানে প্রবেশ করলে একটি নতুন পোস্ট করা যাবে এবং চাইলে ব্লগ পোস্টটি এডিট করে পাবলিশ করা যাবে।
২) পোস্ট:
এখানে ক্লিক করলে, যতগুলো আর্টিকেল লেখা হয়েছে সবগুলো দেখা যাবে।
৩) স্ট্যাটাস:
ব্লগে কয়জন ভিজিটর এসেছে এবং কোথা থেকে এসেছে ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কে জানা যাবে।
৪) কমেন্ট:
এইখান থেকে সমস্ত কমেন্ট দেখা যাবে এবং কোনো স্প্যাম কমেন্ট থাকলে ডিলেট করাও যাবে।
৫) আর্নিং:
এখান থেকে আপনি গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে ভালো পরিমাণ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
৬) পেজ:
এইখানে নিজের সম্পর্কে এবং ওয়েবসাইটের বিভিন্ন বিষয় ইত্যাদি সম্পর্কে নানা ধরনের পেজ তৈরি করা যাবে।
৭) লে আউট:
এখানে ব্লগের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের গ্যাজেট ব্যবহার করতে পারবেন। তার পাশাপাশি আপনার ব্লগ সুন্দর করে তোলা যাবে।
৮) থিম:
এখান থেকে ব্লগের বিভিন্ন ধরনের থিমস ব্যবহার করতে পারবেন এবং তার পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের এডিট ও করা যাবে।
৯) সেটিং:
এইখান থেকে ব্লগের নাম পরিবর্তন ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করা যাবে।
ব্লগে আর্টিকেল কেমনে প্রকাশ করতে হয়?
একটি ব্লগ তৈরি করার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো, ব্লগে কোন কোন ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা হবে এবং ব্লগে কি বিষয় বা টপিক নিয়ে আর্টিকেল লেখালেখি করলে পাবলিক রিভিউ বেশি হবে,
ভিজিটর আসবে। সেটি সম্পূর্ণ নিজ থেকে নির্বাচন করতে হবে। কোন কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করলে খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা হাসিল করা যাবে।
একটি ব্লগে যেকোনো ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করা যাবে। যদি সার্চ ইঞ্জিন থেকে আশা ভিজিটর আপনার লেখা আর্টিকেলটি পছন্দ করে তাহলে অনেক অল্প সময়ের মধ্যে ব্লগে লেখালেখি করে সফলতা অর্জন করা সম্ভব।
যদি আপনার লেখা আর্টিকেল পাঠকরা পছন্দ করে তাহলে ওখান থেকে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা উপার্জন করা কোন ব্যাপার না।
কিন্তু আপনার প্রকাশ করা আর্টিকেলটি পাঠকদের কেবল তখনই পছন্দ হবে যখন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর ব্লগ সাইট তৈরি করেন এবং এর ওপরে লেখালেখি করবেন।
এই আধুনিক সমাজে সবকিছুই সম্ভব। সবকিছু এখন মানুষের হাতের মধ্যে, মানুষ চাইলে অনেক কিছুই করতে পারে কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন ধৈর্য এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য।
যদিও ব্লগিং করে রাতারাতি টাকা উপার্জন করা সম্ভব নয়, কিন্তু তীব্র ধৈর্য শক্তির সাথে কাজ করে গেলে সফলতা অবশ্যই আসবে।
তাহলে চলুন, আমরা আমাদের মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট না করে অনলাইনেই কিছু একটা করার চেষ্টা করি, নিজের একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলি।
You must be logged in to post a comment.