স্যামসাং ( Samsung) কোন দেশের কোম্পানি ? মালিক, সিইও (CEO) এবং দেশ

স্যামসাং ( samsung)কোন দেশের কোম্পানি: সময় টা ১৯৩৮ সাল।দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে দক্ষিন কোরিয়ার দেইগু(Daegu) শহরে লি বিয়ং চল

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

( Lee Byung-chul) নামের একজন সাধারণ ব্যাক্তি ইতিহাস গড়ার পথে নেমেছিলেন। তিনি একটি কম্পানি খোলেন,  যার নাম দিয়েছিলেন "স্যামসাং"। 

এবং তিনি মাত্র ৪০ জন শ্রমিক নিয়ে শুরু করেছিলেন চিনি, নুডুলসের মতো গ্রোসারি সামগ্রী তৈরির ব্যাবসা।

স্যামসাং কোম্পানি ১৯৭০ সালে প্রথম ইলেকট্রনিক পণ্য মার্কেটে আনেন।যেটি ছিলো একটি টিভি। এবং ১৯৮৩ সালে বাজারে আনেন, এসপিসি-১০০০(SPC-1000) নামের প্রাইভেট কম্পিউটার।

এতে চার মেগাওয়াট প্রসেসর এবং ৬৪ কেবি র‍্যাম( 4MHz processor and 64 KB RAM) দেওয়া হয়।

এবং নব্বই দশকে স্যামসাং বিভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের নাম প্রতিষ্ঠিত করে আন্তর্জাতিক শক্তিতে পরিনত হয়।

স্যামসাং কোম্পানির পরিসর। 

এবার আমরা জানতে চলেছি স্যামসাং কোম্পানির পরিসর: ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্বের ইলেকট্রিক কোম্পানির মধ্যে সেরা  মেমোরি চিপ উৎপাদনকারী কোম্পানি হচ্ছে স্যামসাং।

আইফোন সহ আরও অনেক ডিভাইসে স্যামসাং এর মেমোরিচিপ ব্যাবহার করা হয়।ইনফ্যাক্ট  স্যামসাং কোম্পানি আইফোনের বেস্ট সাপ্লায়ার। এবং ২০১১ সালে বিশ্বের বৃহত্তম স্মার্টফোন প্রস্তুত কারক  কোম্পানি হয়ে ওঠে স্যামসাং। আর সেটা এখনো বজায় আছে।

দৈনন্দিন জীবনে আমরা স্যামসাং কোম্পানির বিভিন্ন জিনিস ব্যবহার করে থাকি।তার মধ্যে আছে, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচ,টিভি, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।

স্যামসাং শব্দের অর্থ :কোরিয়ান ভাষায় স্যামসাং শব্দের অর্থ তিন তারকা বা থ্রি স্টার।স্যামসাং প্রতিষ্টাতা লি বিয়ং চল এই শব্দের মাধ্যমে বোঝাতে চেয়েছেন, সংস্থাটি অনেক বড় এবং শক্তিশালী। 

স্যামসাং কোম্পানির কিছু উল্লেখযোগ্য কর্মকান্ড

২০০৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত স্যামসাং বিশ্বের বৃহত্তম টেলিভিশন প্রস্তুতকারক কোম্পানি। এবং বিখ্যাত LCD ব্যানার প্রস্তুতকারক খেতাব ও তাদের নামে। এছাড়াও কয়েক বছরে CES  এ সবচেয়ে বড় স্ক্রিন প্রদর্শন করে আসছে স্যামসাং। 

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে R&D বিনিয়োগ খাতে ২০১৯ সালে সংস্করন বোর্ড অনুসারে স্যামসাং তাদের R&D খাতে প্রায় ১৬.৪ বিলিয়ন খরচ করেছে।যা দিয়ে ২৫০০ টি কোম্পানি এনালাইস করেছে।

 বর্তমানে ৮০ টি দেশে স্যামসাং অপারেট করছে।যাতে প্রায় পাচ লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত। এমনকি স্যামসাং এর পরিসর এতো বড় যে ‘’স্যামসাং ডিজিটাল সিটি ‘’নামের একটি কমার্শিয়াল এরিয়া আছে। অতএব আমরা এতটুক পড়ে বুঝতে পারছি স্যামসাং এর পরিসর কত বড়।

স্যামসাং কোম্পানির সংস্থার নাম।

  • স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স
  • স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং
  • স্যামসাং ভারি শিল্প কারখানা 
  • স্যামসাং লাইফ ইন্সুরেন্স ইত্যাদি। 

এছাড়াও সেবা সমুহ  কাজের মধ্যে আছে ভবন নির্মান, বিনোদন, বিজ্ঞাপন, চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি। 

স্যামসাং কোম্পানির বর্তমান সিইও

স্যামসাং কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান "ই গেওন-হ্বি" যিনি কোম্পানির  প্রতিষ্ঠাতা লি বিয়ং চল এর তৃতীয় সন্তান।

ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে R&D বিনিয়োগ খাতে ২০১৯ সালে সংস্করন বোর্ড অনুসারে স্যামসাং তাদের R&D খাতে প্রায় ১৬.৪ বিলিয়ন খরচ করেছে।যা দিয়ে ২৫০০ টি কোম্পানি এনালাইস করেছে।

বর্তমানে ৮০ টি দেশে স্যামসাং অপারেট করছে।যাতে প্রায় পাচ লক্ষাধিক শ্রমিক নিয়োজিত। এমনকি স্যামসাং এর পরিসর এতো বড় যে ‘’স্যামসাং ডিজিটাল সিটি ‘’নামের একটি কমার্শিয়াল এরিয়া আছে। অতএব আমরা এতটুক পড়ে বুঝতে পারছি স্যামসাং এর পরিসর কত বড়।

স্যামসাং কোম্পানির সংস্থার নাম।

  • স্যামসাং ইলেকট্রনিক্স
  • স্যামসাং ইঞ্জিনিয়ারিং
  • স্যামসাং ভারি শিল্প কারখানা 
  • স্যামসাং লাইফ ইন্সুরেন্স ইত্যাদি। 

এছাড়াও সেবা সমুহ  কাজের মধ্যে আছে ভবন নির্মান, বিনোদন, বিজ্ঞাপন, চিকিৎসা সেবা ইত্যাদি। 

স্যামসাং কোম্পানির বর্তমান সিইও

স্যামসাং কোম্পানির বর্তমান চেয়ারম্যান "ই গেওন-হ্বি" যিনি কোম্পানির  প্রতিষ্ঠাতা লি বিয়ং চল এর তৃতীয় সন্তান।

শেষ অংশ,

উপরক্ত পরিচ্ছেদ পড়ে আমরা  স্যামসাং কোম্পানির খুটিনাটি অনেক কিছুই জানতে পারলাম।এবং বুঝলাম সাধারণ একটা মানুষের ছোট থেকে বড় হওয়ার গল্প। একজন ছোট ব্যাবসায়ী থেকে সফলতার  শির্ষে পৌছানোর গল্প। 

এই আর্টিকেল টি পড়ার সময় আপনার হাতে যদি স্যামসাং ফোন থাকে তাহলে অবশ্যয় আপনার উপলদ্ধি টা অন্যরকম হবে।

আশা করি আর্টিকেল টি পড়ে আপনাদের অনেক ভালো লাগলো। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় কমেন্টে জানাবেন। ধন্যবাদ, সবাই ভালো থাকবেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ