আসসালামু আলাইকুম, আপনারা সবাই কেমন আছেন । আমি অনেক ভালো আছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কীভাবে ঝাল পিঠা বানাতে হয়।
ঝাল পিঠা কম-বেশি সবাই পছন্দ করে। এই পিঠাকে অনেকেই ঝাল পিঠা বা ডিম ঝাল পিঠা বলে থাকে।অল্প সময়ের মধ্যে ঝাল পিঠা বানানো যায়।
অনেকেই মিষ্টি পিঠা বা তেলের পিঠা খেতে পছন্দ করে না।আবার অনেকের মিষ্টি খাওয়া নিষেধ আছে। তারা এই ঝাল পিঠা অনাহাসে খেতে পারে। বিকালের নাস্তা চা 'এর সাথে এই ঝাল পিঠা খেতে পারেন।
হঠাৎ বাসায় মেহমান আসলে ঝটপট ঝাল পিঠা বানিয়ে মেহমানদের খাওয়াতে পারেন।
ঝাল পিঠা খেতে অনেক মুচমুচে হয়।মাত্র কয়েকটি উপকরণ দিয়ে ঝাল পিটা বানানো যায়। এই উপকরণগুলো সবসময় বাসায় থাকে। তাই একবার হলেও বাসায় বানিয়ে দেখবেন । তাহলে আর কথা না বলে রেসিপি শুরু করা যাক।
ঝাল পিঠা বানাতে যা যা লাগবে। উপকরণ-
১.চালের আটা,ময়দা,
২.স্বাদমতো লবণ।
৩. সামান্য হলুদ,
৪.একটা ডিম,
৫.দুই চা চামচ পেয়াজ বাটা,
৬.এক চা চামচ রসুন বাটা +আদা বাটা,
৭. হালকা কুসুম গরম পানি।
কার্যপ্রণালী :
প্রথমে একটা বড় বাটি নিতে হবে। এরপরে বাটিতে এক কাফ শুকনো চালের আটা ও হাফ কাফ ময়দা নিতে হবে। বাসায় বানানো চালের আটা দিয়ে পিঠা ফুলকো ও দেখতে ভালো হয়।
বাসায় চালের আটা না থাকলে বাজারের আটা দিয়েও এই পিঠা বানাতে পারেন সমস্যা নেই। এবার এর মধ্যে স্বাদমতো লবণ ও সামান্য হলুদ দিয়ে শুকনো উপকরণগুলো ভালো করে মেশাতে হবে।
মেশানো হয়ে গেলে এর মধ্য অল্প অল্প করে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোলা বানাতে হবে।
একবারে বেশি পানি দিতে যাবেন না। এতে গোলা ভালো হবে না। গোলা হয়ে গেলে এর মধ্যে দিতে হবে একটা ডিম, ডিম দিয়ে আবার মেশাতে হবে।
মেশানো হলে এর মধ্যে দিতে হবে পেয়াজ, রসুন ও আদা বাটা দিয়ে আবার মেশাতে হবে। গোলা বেশি ভারি করা যাবে না আবার বেশি পাতলাও করা যাবে না।
চিতই পিঠার গোলা যেমন হয় ঠিক ওই রকম হবে। পোলা হয়ে গেলে ১০ মিনিটের জন্য রেস্টে রাখতে হবে। ১০ মিনিট পরে গোলাটা হালকা মেশাতে হবে।
এরপরে চুলায় কড়াই বসিয়ে হাই হিটে তেল গরম করতে হবে। তেল গরম হলে চুলা মিডিয়াম হিটে দিয়ে পিঠাগুলো ডুবো তেলে ভাজতে হবে।
পিঠা ভাজার সময় পিঠাগুলো হালকা লাল কর ভাজতে হবে। তাহলে পিঠাগুলো অনেকটা সময় মুচমুচে থাকবে।
You must be logged in to post a comment.