পড়া মনে রাখার দোয়া | পড়া মনে রাখার উপায়? পড়া মনে রাখার ঔষ

আপনি কি পড়া মনে রাখতে পারেন না? পড়া মুখস্থ করতে দেরি হয়? সহজ পড়াগুলো ভূলে যান?

আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আপনারা কিভাবে সহজেই পড়া মনে রাখতে পারেন।  কিভাবে সহজেই পড়া মুখস্থ করবেন। 

আপনাদের অনেকের মনের প্রশ্ন থাকতে পারে আপনার মনে রাখার জন্য কি ইসলামিক দোয়া রয়েছে।  পড়া মনে রাখার জন্য ইসলামিক দোয়া রয়েছে যা রাসূল  (সাল্লালাহু পাঠ করেছেন)।

দোয়াটি হলোঃ

আমরা অনকেই আছি যারা লেখাপড়ার অনেক দূর্বল।  সহজ পড়াগুলো মুখস্থ করতে পারি না।  মুখস্থ হতে অনেক সময় লেগে যায়।

আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে যাচ্ছি, কোন নিয়মে পড়াশেনা করলে বা কোন টেকনিকটি অবলম্বন করলে লেখাপড়ায় অনেক মনোযোগী হওয়া যায়, পরিক্ষায় অনেক ভালো ফলাফল করা যায়?

লেখাপড়া কে বা করতে না চায়!  সকলেই চায় শিক্ষিত হতে।  কিন্তু সবার ভাগ্যে তা হয়না। সবার ভাগ্যে লেখাপড়া হয়না। অনেকেই আছেন যারা মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত।

তাদের দ্বারা কখনোই সম্ভব হয় না পড়ালেখা করা। আপনারা অনেকই হয়তো দেখে থাকবেন ফুটপাতে থাকা অবহেলিত শিশুদের। 

তাদের মা - বাবা না থাকার কারণে তারা আজ অসহায়।, খেয়ে না খেয়ে জীবন -যাপন  করে। 

তাদের দ্বারা কী লেখাপড়া সম্ভব।  তারা তো দুবেলা খেয়ে না খেয়েও দিন কাটায়। তারা আজ অনেক অসহায়, অবহেলিত। 

বর্তমানে শীতে ফুটপাতে শুয়ে থাকা অসহায় লোকজনদের দেখতে পাবেন। 

তারা এই শীতের মধ্যেও অনেক কষ্টে দিনযাপন করছে। তাদের দ্বারা কখনোই লেখাপড়া সহজ নয়। 

কথায় আছে, ইচ্ছা থাকলে উপায় হয়। সমাজের ধনী ব্যক্তিদের উচিত তাদের প্রতি সদয় আচরণ করা,  তাদের টাকা পয়সা দিয়ে সাহায্য করা।  তারাও তো আমাদের সমাজেরই একজন।

আমাদের যাদের বাবা- মাদের পড়াশোনার খরচ চালানোর সামর্থ্য রয়েছে,  তারা অবশ্যই ভালোভাবে পড়াশোনা করবেন।

আপনার পরিবারের অনেকেই আপনাকে নিয়ে সপ্ন দেখেন,  আপনারা ভবিষ্যতে বড় কিছু হবেন,

তারা আপনাকে নিয়ে কত কিছু ভাবে। তারা আপনাকে নিয়ে ভালো কিছু আশা করে।  আর আপনি যদি তাদের কথা না শোনেন তাহলে এতে আমাদেরই ক্ষতি। 

তাই যারা পড়াশোনা করেন তারা ভালোভাবে পড়াশোনা করেন,  আপনার লক্ষ্য পূর্ণ করার জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করুন।  অনেকের অনেক সপ্ন থাকে।  কেউ ডাক্তার,  কেউ ইন্জিনিয়ার,  কেউ জর্জ, কেউ Pilot, কেউ ড্রাইভার,  এছাড়াও অনেকের অনেক ধরনের সপ্ন থাকে। 

তারা অনেকেই চেষ্টা করেন তাদের লক্ষ পূরণে। কেউ জীবন যুদ্ধে জয়ী হন,  আবার কেউ জীবন যুদ্ধে হেরে যান।  হেরে গেলে কখনোই হতাশ হবেন না। 

কখনোই ভেঙে পরবেন না।  জীবনে জয়ী হতে গেলে মাঝে মাঝে হার স্বীকার করতে হয়। কথায় আছে,  রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।

তো চলুন দেরি না করে জানা যাক,  কীভাবে পড়াশোনা করলে পরিক্ষায় ভালো আশা ফলাফল করা যায়?

লেখাপড়ায়/পরিক্ষায় ভালো ফলাফল করতে হলে আপনাকে বেশি বেশি পড়তে হবে তা নয়।  পরিক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার জন্য আপনার দৈনন্দিন যতটুকু পড়া থাকবে তাতেই যথেষ্ট। 

বেশি বেশি পড়লে আপনি কখনোই তা মনে রাখতে পারবেন। একটা কথা মনে রাখবেন সহজ পড়াগুলো কখনোই এড়িয়ে যাবেন না। 

সহজ পড়াগুলোকেই বেশি বেশি করে পড়বেন।  অনেকেই আছেন যারা সহজেই কঠিন পড়াশুলো মনে রাখতে পারেন না।

অনেক সৃয় উলট, পালট হয়ে যায়।  এটা স্বাভাবিক বিষয়।  এতে আপনার চিন্তার কোনো কারণ নেই। আপনার দ্বারা যতটুকু বুঝে পড়া সম্ভব ততটুকুই পড়বেন। 

Extra ভাবে বেশি পড়ার দরকার নেই।  আপনি যে বিষয়ের পড়া পড়বেন, সেই পড়াটা যেন ভালোভাবে মনে থাকে, তাহলেই আপনি কঠিন পড়াগুলোকেও সহজেই মুখস্থ করতে পারবেন। 

মনে করেন,

আপনার Class এ X নামে একটি ছেলে রয়েছে।  সে প্রতিদিন অনেক ভালোভাবে সারকে পড়া দেয়। 

যেকোনো পড়া ধরলেই সে সহজেই তার উত্তর দিতে পারে। সে কী একদিনে সেটা করতে পেরেছে।  না?  কখনোই না। 

সে একদিনে  কিছুতেই এত বড় হতে পারেনি। আপনি তার সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে দেখবেন সে বাড়িতে পড়া ছাড়া কিছুই বোঝে না। 

সে বাড়িতে অনেক পড়ে, সে কারণেই সে প্রতিদিন ক্লাসে সুন্দরভাবে পড়া দিতে পারে।

আপনি কী তার মতো হতে চান?  অবশ্যই আপনিও হতে পারেন তার মতো একজন Brilliant, Talented,  Wonderfully.  আপনি নিজের অন্তরের অন্তস্তল থেকে একবার চিন্তা করে দেখবেন?  সে পারবে আমি কেন পারবো না! আমাকে পারতেই হবে। 

নিজের ভিতরে লুকানো থাকা ট্যালেন্টগুলোকে জাগিয়ে তুলুন। আমাকে পারতেই হবে... পারতেই হবে। আমি কেনই বা তার মতো হতে পারব না।

সেও মানুষ, আমিও একজন মানুষ।  কেন আমি পারবো না তার মতো হতে।  আপনারা   কি রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনান করেন? 

রুটিন অনুযায়ী পড়াশোনা না করলে কখনোই আপনার অভ্যাস তৈরি হবে না।  আপনি একজন অলস মানুষে পরিণত হবেন। 

আমরা অবশ্যই চাইনা অলস জীবন যাপন করতে চাইনা।  আমি দশম শ্রেণির একজন নিয়মিত ছাত্র। 

আমি এই এই রুটিন অনুযায়ী  পড়াশোনা করি।  আপনারা যদি এই রুটিন অনুসরণ করেন তাহলে আপনিও একজন ভালো ছাত্র/ছাত্রী হতে পারবেন। 

আপনি যদি নবম বা দশম শ্রেণির ছাত্র / ছাত্রী হন তাহলে এই রুটিনটি অবশ্যই আপনার অনেক কাজে লাগবে।

রুটিনটি নিম্নরূপঃ

সকাল  ৭টা থেকে ৮ টা পর্যন্ত দৈনন্দিন জীবনে যা করবেন!

(১) সকাল ৭টায় /৮টায় ঘুম থেকে উঠবেন। তারপর ব্রাশ করবেন। সকালের নাস্তা করে নিবেন।

 

(২) ৮ঃ০০ টায় ইংরেজি পড়তে বসবেন।  ৩০মিনিট ইংরেজি পড়বেন। ০৮ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত।

(৩) ০৯ঃ০০ টার দিকে গোসল করবেন। 

 

(৪) গোসল করার পর খাওয়া দাওয়া শেষ করবেন।  তারপর ৯ঃ৩০ মিনিটে স্কুলে যাবেন। 

আপনি দেখবেন আপনার বন্ধু বান্ধব যারা রয়েছেন তারা শুধু স্কুলে আড্ডা দেয়, ঠিকমতো পড়াশোনা করেন না,শুধুই সবসময় দুষ্টামি করে থাকে। 

আপনি কখনোই তাদের মতো হতে যাবেন না। তাদের সাথে কখনো তাল মিলাতে যায়েন না।  আপনারই বিপদ হবে। 

মনে করেন প্রথম ক্লাস শেষ হলো, পরের ক্লাসে কোন পড়াটি আছে সে বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 

 

(৫) দুপুরে অবশ্যই টিফিন পিরিয়ড রয়েছে।  

টিফিন পিরিয়ডে আপনি খানা খেয়ে নেবেন৷ টিফিনের পরে যে বিষয়টি হবে সে বিষয়টি মনোযোগ দিয়ে পড়ুন। 


(৬) তারপর তিনটা ক্লাস হবে। সরকারি স্কুল ৪ঃ০০ টায় ছুটি হয়।  আপনি যদি Coacing করেন, তাহলে স্কুল ছুটির পর কোচিং এ যাবেন। 

কোচিং ছুটির পর বাড়িতে এসে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিবেন।  তারপর ৬টা ৩০ থেকে ৭ঃ৩০ মিনিট পর্যন্ত ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বই পড়তে বসবেন। 

ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বইয়ে নবী - রাসুলদের অনেক ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে, 

আপনি যদি সেগুলো ভালোভাবে মনোযোগ দিয়ে পড়েন তাহলে অন্য বিষয়ের পড়াগুলো আপনার কাছে অনেকটা সহজ লাগবে।

(৭) আবার ৭ঃ৩০ থেকে ৯ঃ০০ টা পর্যন্ত Coacing এর পড়া শেষ করবেন।  তারপর রাতের খাবার খাবেন।  রাতের খাবার খাওয়ার পর ব্রাশ করবেন।  ব্রাশ করে রাত ৯ঃ৩০ মিনিটের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বেন। 

আপনি যদি উপরোক্ত এই ৭টি অভ্যাস অনুযায়ী চলতে পারেন তাহলেই দেখবেন আপনি পড়ালেখায় অনেক ভালো হতে পারবেন।

আপনি অনেক সুন্দর জীবনযাপন করতে পারবেন।  অনেক স্মার্ট হতে পারবেন।  আপনি একজন ছাত্র/ ছাত্রী। আপনি কখনো অশ্লীল কাজের সাথে লিপ্ত থাকবেন না। 

সর্বদা মানুষের সাহায্য করার চেষ্টা করবেন। কখনো কারো ক্ষতি করার চেষ্টা করবেন না।

একটা কথা মনে রাখবেন, 

যাদের আপনি বেশি মূল্য দেবেন, বড় আঘাতটা তার কাছ থেকেই পাবেন।  তাই কখনোই School Friend দের কাছে Personal কিছু শেয়ার করতে যাবেন না।



https://www.facebook.com/profile.php?id=100087366003509&mibextid=ZbWKwL

আশা করি সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি আপনারা ভালোভাবে পড়েছেন। আমি সর্বদা সঠিক তথ্য দেয়ার চেষ্টা করেছি ৷

আমারলেখা আর্টিকেলে যদি কোনোপ্রকার ভূল পেয়ে থাকলে অবশ্যই আমাকে কমেন্ট করবেন। 


আমার আর্টিকেলটা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করতে পারেন!

নামাজ বাদ দিয়ো না বন্ধু ।  নামাজ পড়ো বন্ধু , এপারের থেকে ওপারের জীবন অনেকবেশি সুন্দর♥️।



Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles