এই গরমে জুস খেতে পছন্দ করে না, এমন মানুষ খুঁজেই পাওয়া যাবে না। বিভিন্ন মৌসুমে বিভিন্ন ধরণের ফল পাওয়া যায়। আর এই ফল দিয়ে তৈরি করা যায় নানান রকমের স্বুস্বাদু জুস।আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রকম ৬টি জুস সমন্ধে এবং কীভাবে এগুলো তৈরি করা হয়।
(১) মালটার জুস
মালটার জুস দেখতে যেমন চমৎকার, খেতেও তেমনি স্বুস্বাদু।
উপকরণ:
মালটা : ২ টি
চিনি : ১ কাপ
লবণ : ১ চা চামুস
লেবুর রস : ২ চা চামুস
পানি : ১ কাপ
তৈরি করার পদ্ধতি:
প্রথমে মালটা ফলের উপরের খোসা ছাড়িয়ে নিতে হবে। একটা সবজি কাটার ছুড়ির দিয়ে অনায়াসে মালটার খোসা ছাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব।প্রথমে মালটার দুপাশের অংশ কেঁটে নিতে হবে। তারপর মালটার চারদিকে দাঁগ কাঁটার মতো করে কেঁটে নিতে হবে। তারপর হাত দিয়ে মালটার খোসা হাত দিয়ে ছাড়িয়ে নেওয়া যাবে। এবার মালটাগুলোকে ছোট ছোট আঁকারে কেঁটে নিতে হবে।
একটা ব্লেন্ডারে মালটার টুকরো গুলো দিতে হবে। সরবত মিষ্টি করার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী চিনি দিতে হবে।
১ টেবিল চা চামুস পরিমাণ লবন দিতে হবে। সাথে দিতে হবে ২ টেবিল চা চামুস পরিমাণ লেবুর টুকরোর রস।
এরপর দিতে হবে পানি। যতটুকু জুস বানানো হবে সেই পরিমান পানি দিতে হবে।
২ থেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করতে হবে। জুস তৈরি হওয়ার পর অবশ্যই এটি ছেঁকে খেতে হবে।
এরজন্য একটি পাত্রের উপর একটি ছাঁকনি দিয়ে তার উপর জুস ঢেলে দিলে একম পিওর মালটার জুস পাওয়া যাবে।
পরিবেশন করার জন্য প্রথমে গ্লাসে জুস ঢালুন এবং সাথে ছোট কয়েকটা বরফের টুকরো দিয়ে দিন।
২।কলার জুস
এটা প্রাণ জুড়ানোর মতো একটা জুস। এটি খেলে মন সতেজ থাকে।
উপকরণ:
পাঁকা কলা : ৫ থেকে ৬ টি
চিনি : অর্ধেক কাপ
গরম দুধ : ১ কাপ
টক দই : ১ টেবিল চা চামুস
কীভাবে তৈরি করতে হয়: প্রথমেই কয়েকটি কলা নিতে হবে। কলার উপরের খোসা ফেঁলে দিতে হবে। এরপর প্রতিটি কলাকে ছোট ছোট অংশে কেঁটে নিতে হবে।
সবগুলো টুকরো একটা ব্লেন্ডারে দিতে হবে। ১ কাপ পরিমান গরুর বিশুদ্ধ দুধ। প্রথমে দুধ আগুনে তাপ দিয়ে গরম করে নিয়ে আবার তা ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। সাথে দিতে হবে ১ কাপ পরিমাণ পানি। মিষ্টি করার জন্য দিতে হবে অর্ধেক কাপ পরিমাণ চিনি। ৩ টেবিল চামুস পরিমাণ টক দই।
এবার সবগুলো একসাথে ব্লেন্ড করতে হবে। ২ থেকে ৩ মিনিট পরিমাণ ব্লেন্ড করলেই হবে। এবার গ্লাসে ঢেলে পরিবেশন করুন।
৩। তরমুজের জুস
এখন গরমের সময়। এই সময়ে বাজারে প্রচুর পরমাণে তরমুজ পাওয়া যায়। এই গরমে তরমুজের জুস খেলে মন ও প্রান দুটোই সতেজ এবং উৎফুল্ল থাকে।
উপকরণ:
তরমুজের টুকরো : প্রয়োজন অনুযায়ী
গোল মরিচের গুঁড়া : ১ চা চামুস পরিমাণ
বিট লবণ : ১ চা চামুস পরিমাণ
পাত্র : ১টি ব্লেন্ডার।
তৈরি করার নিয়ম: প্রথমেই যতটুকু পরিমাণ তরমুজের জুস বানাতে হবে অনুমান করে সেই পরিমান তরমুজ নিতে হবে। তরমুজ ভালোভােবে ধুয়ে ছোট ছোট অংশে কেঁটে নিতে হবে।এরপর তরমুজের টুকরোগুলোকে একটা ব্লেন্ডারে নিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করতে হবে।
এরপর একটা ছাঁকনি দিয়ে তরমুজের রস ছেঁকে নিতে হবে। যাতে জুসে তরমুজের বিঁচি বা কোনো ছোঁবরা না থাকে। তরমুজের এই রসটিকে আরো স্বুস্বাদু করার জন্য রসের মধ্যে ১ চা চামুস পরিমাণ গোল মরিচের গুঁড়া এবং ১ চা চামুস পরিমান বিট লবণ দিতে দিয়ে মিশিয়ে নিতে হবে। তৈরি হয়ে গেল মজাদার তরমুজের জুস। পরিবেশণ করার সময় গ্লাসে বরফ দিলে এর টেষ্ট আরো বেড়ে যায়।
৪। কামরাঙার জুস
যারা টক ফল পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি সব থেকে পছন্দের একটি জুস হবে। টক ফল হিসেবে কামরাঙা অনেক বেশি পরিচিত।
তৈরির উপকরণ:
কামরাঙা: ৩টি
লবণ : ১ চা চামুস
চিনি : অর্ধেক কাপ পরিমাণ
বিট লবণ : ১ চা চামুস
পুদিনা পাতা : ১৫টি
পানি : ১ কাপ
কাঁচা মরিচ : ২টি
ব্লেন্ডার : ১টি
লেবুর রস : ১ চা চামুস
জুস তৈরি করার পদ্ধতি: প্রথমেই কামরাঙার ছোট ছোট টুকরো করে কেঁটে নিতে হবে। এরপর একটা ব্লেন্ডারে উপরের সব উপকরণ পরিমাণ মতো করে দিতে হবে।
২ থেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করার পর সরবোত এর মধ্যে ১ গ্লাস পানি মিশিয়ে দিতে হবে। সবশেষ এই জুশ ছেঁকে নিতে হবে।
পরিবেশনের ক্ষেত্রে ঠান্ডা বরফ দিতে পারেন। সাথে লেবুর টুকরো গোল করে কেঁটে সাঁজিয়ে দিতে পারেন।
৫।পাঁকা আমের জুশ
আমের জুশ আমাদের কাছে সর্বত্রই পছন্দের একটা জুশ।
উপকরণ:
পাঁকা আম : ২টা
চিনি : ৩ চা চামুস
কাজু বাদাম : ১০টি
এলাচ : ১ চা চামুস
টক দই : ১ কাপ
পানি : ৩ গ্লাস
জুশ তৈরি করার পদ্ধতি: আমা ভালোভাবে ধূয়ে পরিস্কার করে নিতে হবে। আমের খোসা ছাড়িয়ে আমা ছোট ছোট করে কেঁটে নিতে হবে। একটা ব্লেন্ডারে সব গুুলো আমের টুকরো ঢেলে দিন এবং উপরে বর্ণিত সব উপকরণ পরিমাণ মতো দিয়ে ২ থেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করতে হবে।
৬। কাঁচা আমের জুশ
পাঁকা আমের মতো কাঁচা আমের জুুশ খুব টেস্টি এবং স্বুস্বাদু হয়ে থাকে।
উপকরণ:
কাঁচা আম : ২টি
চিনি : অর্ধেক কাপ
পুঁদিনা পাতা : ১০ থেকে ১৫ টি
কাঁচা মরিচ : ২ টি
লবণ : ১ চা চামুস
বিট লবণ : ১ চা চামুস
লেবু : ১ টুকরো
পানি : ১ কাপ
তৈরি করার পদ্ধতি: প্রথমে আমের খোঁসা ছাড়িয়ে নিয়ে আম ছোট ছোট টুকরো করে নিতে হবে। একটি পাত্রে পানি দিয়ে আমের টুকরো কিছুক্ষণ ভিঁজিয়ে রেখে, ধুয়ে নিতে হবে।
একটা ব্লেন্ডারে আমের টুকরো দিয়ে উপরের সব উপকরণ একসাথে দিয়ে ২ খেকে ৩ মিনিট ব্লেন্ড করতে হবে। ব্লেন্ড করার পর জুশ এর সাথে ১ গ্লাস ঠান্ডা পানি মিশিয়ে দিতে হবে।
You must be logged in to post a comment.