ক্যারিয়ার নিয়ে দুশ্চিন্তা আর নয়

ক্যারিয়ার নিয়ে আমাদের চিন্তার শেষ নেই। হতাশা নয় সঠিক দিক নির্দেশনাই পারে একটি সুন্দর গুছানো ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে।

আমাদের কাছে প্রতিটি সময় খুব মূল্যবান। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে নিজেকে আপডেট করে তুলতে হবে।

একটু দৃঢ়তা একটু নিয়মমাফিক পথচলা আমাদের ক্যারিয়ার এর গঠনে অতুলনীয় ভূমিকা রাখবে ।

জীবনে কোনো কিছুই পরিশ্রম ছাড়া করা যায়না। তবে পরিশ্রমের সাথে প্রয়োজন বুদ্ধি খাটিয়ে একটু সামনে এগিয়ে চলা।

ক্যারিয়ার নিয়ে চিন্তা করবেন না। একটু প্ল্যান করে আগাবেন তাহলেই দেখবেন আপনার কাজগুলো সহজ হয়ে গেছে।

প্রত্যেকেরই উচিত একটি লক্ষ্য স্থির করা। তবে জেনে থাকা ভালো আমাদের অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে লক্ষ্য কিন্তু পরিবর্তন হয়। কারণ আপনি যখন ছোট ছিলেন তখন আপনার লক্ষ্য ছিল একরকম।

আপনি যখন কিছুটা বড় হলেন, আপনার যোগ্যতা বাড়ার সাথে চলমান পরিস্থিতি বুঝতে শিখবেন এবং আপনার চেষ্টা ও পারদর্শিতা বলে দিবে আপনার কোন দিকে চলা উচিত।

তখন আপনার ছোটবেলার লক্ষ্য বা ক্যারিয়ার নিয়ে টার্গেট থেকে কিছুটা হলেও আলাদা হবে। সময়ের প্রয়োজনে আমাদের নিজেদেরকে আপডেট করে নিতে হবে। প্রতিদিন রুটিন করে হলেও নিজের পিছনে কিছু সময় দিবেন।

নিজেকে আপডেট রাখার চেষ্টা করবেন। নিজের জন্য এই ছোট ছোট ইনভেস্টমেন্ট আপনাকে আগামীদিনগুলোতে অন্যদের থেকে আলাদা করে তুলবে।

নিজেকে চিনুন

কথায় আছে লক্ষ্য যখন স্থির করবে তখন উচ্চাকাঙ্ক্ষা করিও যেন এর পুরোটা না পেলেও কাছাকাছি পেয়ে যাও।

একটি দৃঢ় ক্যারিয়ার এর গোল আমাদেরকে সামনে আগাতে কয়েক ধাপ সাহায্য করে। প্রতিটি মানুষ যেমন আলাদা হয়ে থাকে তেমনি প্রতিটি মানুষের চাহিদা, ইচ্ছা, টার্গেট আলাদা হয়ে থাকে।

আমার টার্গেট আমাকে সাহায্য করবে আমি নিজেকে ৫ বছর পরে কোন স্টেজে দেখতে চাই। শুধু গোল সিলেক্ট করলে চলবে না প্ল্যান অনুযায়ী আমাদের কাজ করতে হবে এবং নির্ধারিত এরিয়াতে আমাদের স্কিল ডেভপলমেন্ট করতে হবে।

তাই সময় থাকতেই নিজেকে জানুন। নিজেকে সময় দিন নিজেকে সুযোগ দিন। সময় এর প্রতিদান আপনাকে অবশ্যই দিবে।

কখন ক্যারিয়ার নির্বাচন করবেন

আপনি লিখাপড়া চলাকালীন অবস্থা থেকেই একটি ক্যারিয়ার প্ল্যান ঠিক করার চেষ্টা করবেন। যখন আপনি স্কুলে বা কলেজে অথবা ইউনিভার্সিটিতে পড়ছেন তখন একটু খেয়াল করলেই বুঝতে পারবেন আপনার কোন বই বা কোন সাবজেক্ট পড়তে বেশি ভালো লাগে।

এছাড়া আরো খেয়াল করবেন কোন এরিয়াতে আপনার আগ্রহ বেশি এবং কোন এরিয়া নিয়ে আপনার ভবিষতে কাজ করা ইচ্ছে আছে।

এই ক্ষেত্রে যারা ভার্সিটির শেষ বছরে চলে এসেছেন তারা শেষকোর্সে ইন্টার্নশীপ অথবা প্রজেক্ট জমা দিয়ে থাকেন। এই ইন্টার্নশীপ অথবা প্রজেক্ট সবার একটা টার্নিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে।

ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত

ক্যারিয়ার নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় অনেকেই হীনমন্যতায় ভুগেন। অনেক সময় দেখা যায় চলমান মার্কেটে কি নিয়ে ডিমান্ড, সার্কুলার বেশি আমরা সাধারণত সেই বিষয়টায় ফোকাস করে থাকি।

এখন আমাদের সেই বিষয়ে দক্ষতা থাকুক বা না থাকুক আমাদের ইচ্ছে না থাকা শর্তেও ওই বিষয়ে নিয়ে আমাদের ক্যারিয়ার আগাতে হয়।

মূলত এটি আমাদের সাময়িক পথ নির্দেশনা দেখালেও এর কিছুদিন পর থেকেই সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই এমন সাবজেক্ট নিয়ে আমাদের সামনে আগাতে হবে যেটাতে আমাদের ইন্টারেস্ট আছে।

নিজেকে মূল্যায়ন করুন

আমাদের সবার মাঝেই সুপ্ত কিছু প্রতিভা আছে। আপনাকে সেইটা খুঁজে বের করতে হবে। ধরুন আপনার ছবি আঁকতে ভালো লাগে।

তাহলে সেইটা নিয়েই কাজ করুন। আপনি চাইলে এটিকে ইনকাম সোর্স করে ফেলতে পারেন।

পেইন্টিং এর কালেকশন করে ফেলুন। যখন পেইন্টিং আঁকছেন সেই মুহূর্তগুলো ক্যামেরা বন্দি করে ফেলুন। এরপরে ইউটিউব, ফেইসবুকসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে এর প্রমোশন করতে পারেন।

এইভাবেই আর্নিং source তৈরী হবে। এইগুলো আপনার অস্ত্র। আপনার এর ব্যবহার শিখতে হবে,

স্কিল ডেভলপমেন্টে গুরুত্ব দিন

যেই বিষয়টি আপনার ক্যারিয়ার হিসেবে টার্গেট করেছেন তার উপরে দক্ষতা আনুন। এখন আমাদের গুগলে সহ ,

বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মগুলোতে স্কিল ডেভলপমেন্ট এর কোর্স করানো হয়। সেইগুলো কোর্স করুন এবং দক্ষতাবাড়ান ।

কোনো কাজেই মূলত ছোট করে দেখা উচিত নয়। ধরুন আপনার পছন্দের সাবজেক্ট নিয়ে আপনি সরাসরি কোনো জব পাচ্ছেন না তবে ইন্টার্নশীপ করার সুযোগ কিছু কোম্পানি দিচ্ছে তাহলে সেই সুযোগগুলো হাতছাড়া করবেন না।

হোক না স্যালারি একটু কম কিন্তু এই ইন্টার্নশীপ আপনার জব পজিশনের জন্য যদি একটা স্ট্রং ক্যারিয়ার ব্যাকগ্রউন্ড করতে পারে তাহলে এতে কোনো ক্ষতি নেই।

ইন্টার্নশীপ এবং স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর কোর্সগুলো আপনাকে যেই অভিজ্ঞতা দিবে তা আপনি অন্য কোথাও পাবেন না।

অন্যদের কোথায় কান না দেয়া

ক্যারিয়ার গঠনের সময় আমরা অনেকের কাছে থেকে উপদেশ খুঁজে থাকি। অনেকে অনেক কথা বলে থাকেন।

আপনি যখন ব্যতিক্রম কিছু করতে চাইবেন তখনি সমস্যা হয়ে উঠবে কিছু মানুষ। অনেকে নিজের জীবনের ব্যর্থতার গল্প শুনিয়ে আপনাকে ডেমোটিভেটে করতে পারে। তাই তাই শুরুতেই নেগেটিভ ভাইভে যাবেন না।

আপনি অনেকেরেই উপদেশ শুনবেন এবং সমসাময়িক পরিস্থিতি যাচাই করবেন। এরপরে সিদ্ধান্ত নিবেন কোন পথে আপনি আগাতে চাচ্ছেন। আমাদের অনেকেই আছেন যারা সরকারি জবের জন্য আগ্রহী এবং কেউ আবার ফ্রিল্যাংসিং,ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার ।

যে যাই বলুক আপনি নিজেকে প্রশ্ন করবেন আপনার কোন সেক্টর ভালো লাগে। কোন সেক্টরে আপনাকে থেমে থাকতে হবে না।

আপনি নিজ উদ্দ্যোগে কাজ করবেন। দিন শেষে নিজের জন্য নিজেকে প্রাধান্য দিতে হবে।

আত্মবিশ্বাসী হতে হবে : সবার ঘড়ির কাটা একভাবে চলে না। এখন আপনার বন্ধুর উন্নতির শিখরে কিন্তু আপনি কেবল যাত্ৰা শুরু করছেন।

এইসব ভেবে হতাশ হবেন না। আজ হয়তো আপনার বন্ধুর সময় চলছে আগামীদিনে আপনার সময় আসবে।

পরিশ্রম করলে আপনি এর ফল পাবেন। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলুন। আপনার লক্ষ্য ,আপনার টার্গেট পূরণের জন্য একটা প্ল্যান করবেন।

অন্যের সফলতা দিকে তাকিয়ে নিজেকে তুচ্ছ মনে করার প্রশ্নেই আসে না। নিজেকে মজবুত করে গড়ে তুলুন যেন সময়মত নিজেকে যোগ্য প্রমান করতে পারেন।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ

লিখতে পছন্দ করি। পড়াশুনা করার ইচ্ছাটা প্রবল। খুব বেশি বই যে পড়েছি এমন নয়। সময় আর সুযোগের অভাবে নিজেকে এখনো গুছিয়ে উঠতে পারি নি। তবে নতুন কিছু করার চেষ্টায় আছি। নিজের সুপ্ত চাওয়া পাওয়াগুলোকে শব্দের মাধ্যমে উপস্থাপন করার আপ্রাণ চেষ্টায় এই আমি।