কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের সফটওয়্যার এর গুরুত্ব।

কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণে সফটওয়্যার এর গুরুত্ব প্রথমে কিছু উদাহরণ দেখে নেওয়া যাক ঘটনা 1 রায়না কলেজে ভর্তি হওয়ার পর বাবার কাছে বায়না ধরেছিল একটি ল্যাপটপ কিনে দেবার জন্য।

বাবা প্রথম সাময়িক এর ফল ভালো হওয়ায় রায়না কে একটি ল্যাপটপ কিনে দিলো। আর ল্যাপটপ এবং এর গতি দেখে রায়না মুগ্ধ।

সে কিছুদিনের মধ্যে অনেকগুলো সফটওয়্যার ইন্সটল করে ফেলল ।কিন্তু রায়না লক্ষ্য করলো তার ল্যাপটপটি আস্তে আস্তে ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে।

এক বছরের মাথায় এসে রায়না দেখল তার ল্যাপটপটি এতটাই ধীর হয়ে গেছে যে কাজ করতে গিয়ে রায়না মহাবিরক্ত ।কিছুদিন পর সে  বাবাকে আরেকটি ল্যাপটপ কিনে দেওয়ার জন্য আবদার করল।

ঘটনা দুইঃ অংকন তার ইন্টারনেট কানেকশন নিয়েছে এখন সে প্রায় ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে এতে তার লেখাপড়ার অনেক উপকার হচ্ছে।

লেখাপড়া ছাড়াও বন্ধুদের ইমেইল করা গান শুনাও ছবি দেখার কাছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ইদানিং সে দেখেছে কম্পিউটারটি কোনো কারণ ছাড়াই মাঝে মাঝে রিস্টার্ট হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়া মাঝে মাঝে ইচ্ছা ছাড়াই বিভিন্ন ওয়েবসাইটে ঢুকে যাচ্ছে একদিনে ইউএসবি পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে অবাক হয়ে দেখল যে তার সকল সর্টকাট হয়ে গেছে।

দেখা যাচ্ছে না উপরের ঘটনা দুটো থেকে তোমরা কি বুঝলে তোমাদের অনেকের অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যাচ্ছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে এতদিনে তোমাদের অনেক কিছু অনেক কিছুই জানা হয়ে গেছে।

তোমরা নিশ্চয়ই বুঝে গেছ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে প্রসেসরনির্ভর যন্ত্র মন্ত্র নতুন একটি কম্পিউটার ডেস্কটপ ল্যাপটপ বা ট্যাবলেট যাই হোক না কেন দেখবে খুব ভালোভাবে গতিতে কাজ করছে।

কিন্তু কিছুদিন ব্যবহার করার পরে দেখবে এটি ক্রমশ ধীরগতি হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ পুরনো হলে যন্ত্রটি কেমন যেন ধীর হয়ে যায় অনেক সময় একটি কমান্ড দিয়ে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়।

মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে রাগান্বিত হয়ে আরেকটি নতুন কম্পিউটার কিনে ফেলতে ইচ্ছা করে! এখানে রয়েছে কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্ব আমরা যদি আইসিটি যন্ত্রটিতে যদি মাইক্রোসফট কোম্পানি উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করে।

বিশ্বের বেশিরভাগ কম্পিউটারে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার হয় তবে অপারেটিং সিস্টেম সবসময় হালনাগাদ আপডেট করতে হবে ইন্টারনেটে সংযুক্ত থাকে একই ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে।

কম্পিউটার রেজিস্ট্রি ক্লিনার কম্পিউটার ঠিকভাবে কাজ করবে না এবং তোমার জন্য অনেক সময় বিরক্তির কারণ হবে।

এছাড়া বেশ কিছুটা জায়গা দখল করে রাখে এবং কম্পিউটারের কাজ করার গতি ও বেড়ে যাবে অনেক ইদানিং ইন্টারনেট ব্যবহার করার আইসিটির ব্যবহার কল্পনা করা যায় না।

ইন্টারনেট ব্যবহার করতে আমার ইন্টারনেট ব্রাউজারের অ্যাকেস মেমোরি তে অনেক কুকুর এবং টেম্পোরারি ফাইল জমা হয় এতে আইসিটি যন্ত্রটি ক্রমান্বয়ে ধীর হয়ে যায় প্রতিদিন সম্ভব না হলেও কিছুদিন পরপর ক্যাশ মেমোরি পরিস্কার করা একান্ত প্রয়োজন।

আমার কি সাহায্য করবে এছাড়াও এন্টিভাইরাস anti-spyware এন্টি-ম্যালওয়ার এছাড়া বর্তমানে আইসিটি ডিভাইস ব্যবহার করা মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এ ধরনের সফটওয়্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম যার মাধ্যমে আইসিটি যন্ত্র ব্যবহারকারীগণ ব্যবহারকারীগণ তাদের যন্ত্রে ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা পান।

পাশাপাশি নির্বিঘ্নে তাদের যন্ত্র বা যন্ত্র গুলো ব্যবহার করতে পারেন, সবচেয়ে মজার ব্যাপার এখন অনেক এন্টিভাইরাস এবং অ্যান্টি-ম্যালওয়্যার anti-spyware বিনামূল্যে ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করে ব্যবহার করা যায়।

এমনকি সফটওয়্যারগুলো ইন্টারনেটের মাধ্যমে হালনাগাদ আপডেট করা যায় আইসিটির ব্যবহার করা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করার জন্য প্রায় সব ব্যবহারকারী ডিস্ক ডিস্ক ব্যবহার করে থাকে।

সাধারণত অপারেটিং সিস্টেমের সাথে যুক্ত থাকে হার্ডডিস্কের জায়গা খালি করে এবং ফাইলগুলো এমনভাবে সাজাতে কম্পিউটার গতি বজায় রেখে কাজ করতে পারে।

এরমধ্যে আবার সফটওয়্যার ইনস্টলেশন অন্ড ইনস্টলেশন সম্পর্কযুক্ত আমরা সবাই জানি আইসিটি যন্ত্রগুলোর সফটওয়ারের মাধ্যমে পরিচালিত হয় যে সফটওয়্যারগুলো কম্পিউটার বা অন্যান্য যন্ত্রের ইন্সটল করতে হয়।

আমরা যখন কোন আইসিটি যন্ত্র কি নিয়ে তখন বিক্রেতা সাধারণত আমাদের জিজ্ঞাসা করে আমাদের কোন কোন সফটওয়্যার প্রয়োজন।

অপারেটিং সফটওয়্যার সাইট অন্যান্য প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলো বিশেষজ্ঞ দিয়ে ইন্সটল করা যন্ত্রটির আমাদের কাছে হস্তান্তর করে।

কিভাবে আমরা নিজের প্রয়োজনমতো আইসিটি কম্পিউটার অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রক্রিয়া একটু জটিল।

এবং এর জন্য বিশেষ দক্ষতা প্রয়োজন কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন যে সফটওয়্যার ইনস্টল করা হবে।

তা তোমার যন্ত্রের হার্ডওয়্যার সাপোর্ট করে কিনা 25 কিছু কাজের কথা লেখা আছে কিনা পড়ে নিতে হবে ইনস্টলেশনের সময় অন্য সকল কাজ বন্ধ আছে কিনা থাকলে অনেক সময় নতুন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে ঝামেলা হয়।

যার এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার বন্ধ আছে কিনা এবং অপারেটিং সিস্টেমের অ্যাডমিনিস্ট্রেটরের অনুমতি আছে কিনা বিশেষ কোন যন্ত্র ছাড়া প্রায় সব যন্ত্রের অনুমোদন দেওয়া থাকে।

অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার ছাড়া অন্যান্য সফটওয়্যার ইন্সটল করার প্রক্রিয়া অনেকটাই অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভর করে তবে এ প্রক্রিয়া অনেকটা একই ধরনের কোন সফটওয়্যার ইন্সটল করতে হলে,

প্রথমে, আমাদের সফটওয়্যারটির ডিজিটাল কফি প্রয়োজন হবে একটি ইন্টারনেট থেকে পাওয়া যেতে পারে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সফটওয়্যার গুলোর সাথে অটোরান নামে একটি প্রোগ্রাম সংযুক্ত থাকে।

আমাদের কম্পিউটারে সিডি ডিভিডি বা পেনড্রাইভ প্রবেশ করালে অটোরান প্রোগ্রামটিকে সফল হয়ে যায় এবং সফটওয়্যার সেটআপ করার অনুমতি চায় অনুমতি প্রদান করার পর পরবর্তী ধাপগুলো অনুসরণ করলে সফটওয়্যারটি আমার যন্ত্রের ইন্সটল হয়ে যাবে।

সাধারণত যন্ত্রটি রিস্টার্ট করলে ইন্সটলকৃত প্রোগ্রামটি ব্যবহার করা শুরু হয়ে যায় একটি সফটওয়্যার ইন্সটল করার ধাপগুলো দেখানো হলো প্রথমে সফটওয়্যার সেটআপ ফাইল এ ডাবল ক্লিক কল ইনস্টলেশন শুরু হয়।

সফটওয়্যার আনইনস্টলেশন   ইনস্টল করতে শিখে ফেললেন মনে করা হয় কোন একটি সফটওয়্যার ব্যবহার করার আর প্রয়োজন নেই।

তাহলে আমরা কি করব বেশির ভাগ ব্যবহারকারী সফটওয়্যারটি তার যন্ত্রে রেখে দেয় কিন্তু হার্ডডিক্সের অনেকটা জায়গা নষ্ট হয়।

আবার অনেক সময় আইসিটি যন্ত্রটি পরিচালনা করতে জামেলা করে তাই বুদ্ধিমানের কাজ হলো প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার আনইন্সটল করে ফেলা এটাও বলে দেয়া দরকার।

যে আনইন্সটল কিভাবে করা হয় এ কাজটি করতে অপারেটিং সিস্টেম সফটওয়্যার আমাদের সাহায্য করে থাকে।

প্রায় সব অপারেটিং সিস্টেমের কাজের ধরন একই রকম তবে অ্যান্ড্রয়েড-চালিত যন্ত্র বিশেষ করে হাতের আঙ্গুলের স্পর্শ দ্বারা পরিচালিত।

অর্থাৎ স্ক্রিনযুক্ত স্মার্টফোনগুলো থেকে সফটওয়্যার ইন্সটল করা খুবই সহজ সেটিংস থেকে অ্যাপ্লিকেশন সিলেক্ট করে এডিট করলে পর্দায় একটি মেনু আসবে সেখানে আনইন্সটল লেখা জায়গায় টাচ করার পর সফটওয়্যার আনইন্সটল হয়ে যাবে।

মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম যা কিনা বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ তাদের আইসিটি যন্ত্রে তথা কম্পিউটারের ব্যবহার করে থাকে সেসব যন্ত্র হতে সফটওয়্যার আনইন্সটল করতে হলে নিচের ধাপগুল অনুসরণ করতে হবে।

প্রথমে স্টার্ট বাটন থেকে কন্ট্রোল প্যানেলে চলে যেতে হবে অথবা আনইন্সটল করতে হবে এরপর যে প্রোগ্রাম আনইনস্টল করতে চাও সেটি খুঁজিয়া ক্লিক করে আনইন্সটল ক্লিক করে ফাইলটি আনইন্সটল হতে শুরু করবে।

পায়ের বড় হলে আনইন্সটল করতে একটু বেশি সময় লাগবে আনইন্সটল করার পর সাধারণত কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে হয়।

তবে কোন সফটওয়্যার ইনস্টল করার সময় নিশ্চিত হয়ে তা করতে হবে অন্যথায় ভুলক্রমে এমন সফটওয়্যার ইন্সটল হতে পারে।

যার কারণে আমার যন্ত্রটিতে পুনরায় সফটওয়্যারটি ইন্সটল করা ছাড়া চালানো সম্ভব নাও হতে পারে তাই এ ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে

সফটওয়্যার ডিলিট   আমরা জানি ডিলিট অর্থ মুছে ফেলা আনইন্সটল করার মাধ্যমে আমরা আমাদের আই সি টি যন্ত্র দিয়ে ইন্সটল করা যায়।

কোন সফটওয়্যার মুছে ফেলতে পারি নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে তাহলে ডিলিট দিয়ে কি করব কম্পিউটার বা অন্য যেকোন সফটওয়্যার ইন্সটল করা সম্পূর্ণ মুছে যায়ন নিয়মটি বলা হলো এ কাজটি করতো আবার ডিলিট করে দিলে সব কিছু মুছে ফেলা যায়।

এই কাজটি করতে প্রথমে পূর্বের নিয়মে সফটওয়্যারটি আনইন্সটল করতে হবে পরে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে।

প্রথমে কিবোর্ড এর বাটন একসাথে চেপে রান কমান্ড চালু করতে হবে তারপর regedit লিখে ওকে বাটনে চাপ দিতে হবে 2 ফাইল মেনুতে প্রবেশ করতে হবে। 

স্পোর্ট এ ক্লিক করতে হবে 4 অপারেটিং সফটওয়্যার ড্রাইভের রয়েছে অর্থাৎ সিলেক্ট করতে হবে নাম দিয়ে সেভ করতে হবে এটা খুবই জরুরী কোন ভুল হলে যাতে সিস্টেম ঠিক করা যায় 6 অতঃপর এডিট এ প্রবেশ করতে হবে।

7 ফাইন্ড এ যেতে হবে আর যে সফটওয়্যারটি ডিলিট করতে চাই তার নাম খুঁজতে হবে নয়া ফাইন ডে নেক্সট এ ক্লিক করতে হবে 10 এভাবে সিলেক্ট করতে হবে 11 এবার ডান বাটন ক্লিক করে।

ডিলেট এ ক্লিক করতে হবে 12 সবশেষে কিবোর্ডের অ্যাপ থ্রি চেপে রেজিস্ট্রির সব জায়গা থেকে ওই নামের ফাইলগুলো মুছে দিতে হবে এভাবেই সম্পূর্ণ হবে পুরুষ সফটওয়্যার ডিলিট করার প্রক্রিয়া। 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles