আইবিবিএল ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড আইবিবিএলের গ্রাহক এবং গ্রাহক নয় এমন ব্যক্তিদের জন্য ভ্রমণ কিংবা কেনাকাটার সময় উপকৃত হতে পারেন এই উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকরা তাদের অর্থের মাধ্যমে বিদেশী এবং স্থানীয় মুদ্রায় লেনদেনের সুবিধা পাবেন।
ইসলামী ব্যাংক ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর সুবিধা সমূহ:
*প্রথমত, খুব সহজেই কার্ড টি পাওয়া যায়।
*শুধু ওয়ান টাইম প্রসেসিং ফি ছাড়া বাৎসরিক কোন চার্জ নেই।
• এসএমএস এলার্ট সুবিধা।
*এসএমএস এলার্ট বা আনুষাঙ্গিক কোন চার্জ ই নেই।
*যেকোন অনলাইন ট্রাঞ্জেকশন সহ
কার্ডটি স্নুথভাবে ইন্টারন্যাশনালি ইউজ করা যায়।
*ক্রেডিট কার্ডের মতো এটাতেও বছরে ১২০০০ ডলার এন্ডোর্স করা যায়।
*মেয়েদের জন্য আরোও সুবিধা।
শুধুমাত্র এক কপি ছবি আর ন্যাশনাল আইডি দিয়েই এই কার্ড নিতে পারবেন।
*প্রিপেইড কার্ডটি নেওয়ার জন্য কোন আয়কর রিটার্ন প্রয়োজন নেই।
*সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য যারা অনলাইন বিজনেস করে, তারা কার্ডটির মাধ্যমে বুস্টিং এর কাজ করতে পারবেন।
*এছাড়া কেনাকাটায় তো ছাড় থাকছেই।
• এটি একটি পিন প্রটেক্টেড কার্ড।
• কেনাকাটা সুবিধা এবং নগদ অর্থ উত্তোলন সুবিধা।
• বিদেশে অবস্থিত ভিসা সমর্থিত এটিএম এবং পিওএস থেকে লেনদেন সুবিধা।
• এই কার্ডে লাইফস্টাইল সমাধান পাওয়া যায়।
• গ্রেট ডিসকাউন্ট, অফার এবং আকর্ষণীয় অন্যান্য সুবিধা পাওয়া যায়।
• কার্ড হারিয়ে গেলে দ্রুত নতুন কার্ড ইস্যু করা যায়।
• ২৪X৭ কন্ট্যাক্ট সেন্টার (১৬২৫৯) সেবা পাওয়া যায়।
• এই কার্ড যে কোন দেশে ব্যবহার করতে পারবেন।
• অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এই কার্ড নিতে পারবেন।
• এই কার্ডে ফরেন রেমিট্যান্স রিসিভ করলে ২.৫% প্রনোদনা সুবিধা রয়েছে।
• প্রাথমিক ডিপোজিট ৫০০০ টাকা, যা পরবর্তীতে তোলা যাবে (ব্যালেন্স জিরো করা যায়)।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর ফি ও চার্জ:
• কার্ড ইস্যু ফি- ৫৭৫।
• বার্ষিক ফি- ফ্রি।
• কার্ড নবায়ন ফি- ফ্রি।
• কার্ড রিপ্লেসমেন্ট ফি- ৫০ টাকা।
• কার্ডে প্রাথমিক টাকা লোড- ১০০০ টাকা, যা পরবর্তীতে তোলা যাবে (ব্যালেন্স জিরো করা যায়)।
• কার্ড অ্যাক্টিভেশন ফি- ফ্রি।
• পুনরায় টাকা লোড ফি- ফ্রি।
• পিন রিপ্লেসমেন্ট/ রিসেট (গ্রীন পিন) ফ্রী
• কার্ড ক্লোজিং এবং ফান্ড ফেরত ফি- ২০০ টাকা।
• এটিএম ক্যাশ উত্তোলন ফি (অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ)- ভিসা/ এনপিএসবি/ মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে (সাধারণত অন্যান্য ব্যাংকের এনপিএসবি এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন ফি ১৫ টাকা এবং ভিসা এটিএম থেকে টাকা উত্তোলন ফি ৩০ টাকা হয়ে থাকে)।
• ব্যালেন্স অনুসন্ধান ফি- ফ্রি (আইবিবিএল এটিএম/ সিআরএম)।
• ব্যালেন্স অনুসন্ধান ফি- (অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ)- ভিসা/ এনপিএসবি/ মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে (সাধারণত ব্যালেন্স অনুসন্ধান ফি ৫ টাকা হয়ে থাকে)।
• এটিএম থেকে ফান্ড ট্রান্সফার ফি- (অন্যান্য নেটওয়ার্ক/ অন্য ব্যাংকের এটিএম বুথ)- ভিসা/ এনপিএসবি/ মাস্টার কার্ড/ অন্যান্য সার্ভিস প্রোভাইডারের সাথে চুক্তি অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে (সাধারণত ফান্ড ট্রান্সফার ফি আইবিবিএল একাউন্ট এ ট্রানজেকশন এমাউন্টের ০.০২৫% ও সর্বনিম্ন ৫ টাকা, এনপিএসবি একাউন্ট এ ট্রানজেকশন এমাউন্টের ০.০২৫% ও সর্বনিম্ন ১০ টাকা এবং ভিসা প্রতি ট্রানজেকশন এর ক্ষেত্রে ৩০ টাকা হয়ে থাকে)।
• ভিসা থেকে বৈদেশিক মুদ্রার লেনদেন ফি ও চার্জ-
– ক্যাশ উত্তোলন ফি: US ১ ডলার + লেনদেনকৃত পরিমাণের ২%;
– POS পার্সেজ ফি: ইস্যুকারী হিসাবে ১%;
– ই-কমার্স ট্রান্সজেকশন ফি: ইস্যুকারী হিসাবে ১%;
– ব্যালেন্স ইনকোয়ারি ফি: US ০.৫০ ডলার;
– কার্ড এনডোর্সমেন্ট ফি: ফ্রি।
* এছাড়াও সরকারী নিয়ম অনুসারে ফি ও চার্জের সাথে ১৫% ভ্যাট ও ট্যাক্স যুক্ত হবে।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ডের লেনদেন সীমা:
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর জন্য সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারিত হবে প্রতি বছর (এক ক্যালেন্ডার বছরে) বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে এই উদ্দেশ্যে ইস্যু করা নির্দেশিকা/ বরাদ্দ/ এনটাইটেলমেন্ট অনুযায়ী।
• প্রতি লেনদেনে সর্বোচ্চ ৩০০ ডলার ও এক ক্যালেন্ডার বছরে ১২ হাজার ডলার প্রযোজ্য হবে (ফরেন কারেন্সি লেনদেন)।
• সর্বোচ্চ ব্যালেন্স: ৫ লক্ষ টাকা।
• সর্বোচ্চ টপআপ: ৩ লক্ষ টাকা।
• এটিএম বুথ থেকে দৈনিক নগদ টাকা উত্তোলন সীমা- ১,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- ২০ বার)।
• শাখা POS থেকে দৈনিক নগদ টাকা উত্তোলন সীমা- ১০,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- আনলিমিটেড)।
• দৈনিক ক্রয় সীমা (পিওএস ও ই-কমার্স)- ১,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- আনলিমিটেড)।
• ফান্ড ট্রান্সফার (আইবিবিএল এবং অন্যান্য ব্যাংক)- ১,০০,০০০ টাকা (লেনদেন সংখ্যা- ৫ বার)।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর মেয়াদ:
• কার্ডের এক্সপাইরি টাইম/ অপারেশন/ লেনদেন/ বৈধতার মেয়াদ: ০৫ (তিন) বছর।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
• অ্যাকাউন্ট থাকলে শুধুমাত্র জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) ও ১ কপি পাসপোর্ট সাইজের সাম্প্রতিক তোলা রঙিন ছবি এবং নমিনির তথ্য চাইলে দিতে পারেন।
• আর অ্যাকাউন্ট না থাকলেও এই কার্ড নিতে পারবেন, সেক্ষেত্রে আরো কিছু তথ্য লাগবে যা ব্যাংকে গেলে সংশ্লিষ্ট অফিসার আপনাকে বলে দিবে।
• বৈধ পাসপোর্ট (মূল কপি সাথে নিয়ে আসতে হবে, এন্ডোর্সমেন্ট করার জন্য)।
• আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এর আবেদন ফর্ম পূরণ (যা শাখায় পাওয়া যাবে)।
• TM ফরম (যা শাখায় পাওয়া যাবে)।
• এছাড়াও ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র।
আইবিবিএল ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এ লোড পদ্ধতি:
• আইবিবিএল গ্রাহক এবং নন আইবিবিএল গ্রাহকগণ নগদ অর্থ, পে অর্ডার বা চেক (অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত ব্যালান্স সাপেক্ষে) ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড এ টাকা লোড করতে পারবেন।
• ফরেন কারেন্সি (FC) হিসাব হোল্ডাররা তাদের এনটাইটেলমেন্ট অনুযায়ী আইবিবিএল বা অন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে তহবিল স্থানান্তর করতে পারবেন।
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (IBBL) এর ভিসা ডুয়াল কারেন্সি প্রিপেইড কার্ড ব্যবহারে সতকর্তা :
• SSL অর্থাৎ এনক্রিপ্টেড সাইট ব্যতীত অন্যান্য সাইটগুলোতে কার্ডটি ব্যবহার না করা (https ছাড়া কোন ওয়েবসাইটে ব্যবহার না করা)।
• পিন নম্বর সব সময় গোপন রাখা।
• কার্ডের নম্বর, পিন নম্বর, মেয়াদ (Expire Date), CVV নম্বর কারও কাছে না দেওয়া এবং শেয়ার না করা।
• ই-কমার্স সাইটে কার্ড ব্যবহারে সতর্ক থাকা।
• ফেসবুক, গুগল, অ্যামাজন সহ শুধুমাত্র বিশ্বাসযোগ্য সাইটে কার্ড ব্যবহার করা।
You must be logged in to post a comment.