ছাত্র জীবনে সাফল্য কিভাবে করব?

জীবনে সফল হওয়া সহজ কাজ নয়। নারী বা পুরুষ যেকোনো মানুষের জন্য কঠিন কাজ।বিশ্বের কিছু সফল ও মনীষীরা সফল হওয়ার জন্য জীবনে কয়েকটি মূলমন্ত্র অনুসরণ করতে বলেছেন এই মূলমন্ত্রগুলো যে কাউকে সফল হিসেবে সফল করতে সাহায্য করবে।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

"H"  জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে কিছু ধাপ আমাদেরকে মনে চলতে হবে। যার মাধ্যমে আমরা জীবনকে সাজাতে পারি।

"H1" সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন?

জীবনে যে ক্ষেত্রেই আপনি সফল হতে চান, আপনাকে নিজের যত্ন নিতে শিখতে হবে।যদি আপনি নিজেকে সবচাইতে বেশি গুরুত্ব দিতে না পারন, নিজের কাজকে গুরুত্ব দিতে না পারেন তাহলে তাহলে আপনি আপনার ভারসাম্য খুঁজে পাবেন না। 

এক্ষেত্রে নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যর দিকে নজর দিতে হবে।

এরপরই আসবে আপনার সবচেয়ে কাছের৷ মানুষেরা, মানে পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মানুষেরা তাদের জীবনের খবরাখবর রাখুন। যদিও রোজ এ কাজটি করা কঠিন,  তবুও চেষ্টা করুন। এরপর শুরু করুন নিজের কাজ।

"H2"ইতিবাচক মানুষের চারপাশে থাকুন 

বিপনম গুরু বলে পরিচত মেরি পোরটাস বলেন, কারও চারপাশে যদি ইতিবাচক মানুষ সব সময় থাকে, তাহলে নিজের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা কিংবা ব্যথ্তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত থাকার কথা নয় তার।

আমার এজেন্সিতে আমার এমন মানুষ নিয়োগ দেই, যারা আলো ছড়ান চারপাশে। যারা সাহস দেয়। জীবনে সফল হতে সাহায্য করে অনেক যাওয়ার জন্য উদ্বিপনা দেয়। তাদের পাশে তাকুন।

" H3"মাথা খাটান

অসউইজ কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প থেকে ফিরে আসা মনোবিজ্ঞানী এডিথ এজের বলেন, 'যে কোন পরিস্থিতিতেই নিজের বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করুন। ছাত্র জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে প্ররিশ্রমের শেষ নেই।

নিজে থেকে চেষ্টা করতে হবে এবং ভালো কিছু জানতে চাইবেন।আর এটা মাথায় রাখতে হবে যে হুট করে ভালো কিছু করা যায় না। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হয়।

"H4"অন্যরা কি ভাবছে তা ভাবার দরকার নেই 

বিখ্যাত কমেডিয়ান এবং লেখক জোো ব্রান্ড বলেছেন, অন্যরা আপনার সম্পর্কে কি ভাবছে সে বিষয়ে পাত্তা দেওয়ার অত দরকার নেই।কারন নিজের সম্পর্কে আপনার যে ধারনা তা অন্যের নাই।

তার কথায়, 'আমি ভাবি না অন্যেরা আমার সম্পকে কি ভাবছে। আমি আমার নিজের চেহারা পছন্দ করি, কিন্তু আরও বহু মানুষ পছন্দ করে না বলে মনে হয়।আমি বিশ্বাস করতে শিখেছি, আমাকে কেমন দেখায় সেটা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ নয়।

আমার বন্ধু বা যারা আমাকে ভালোবাসে তাদের কাছেও সেটা ততটা বড়ো ব্যাপার ন।। এটা মনে রাখা জরুরি বলে আমি মনে করি।

" H5"প্রতিদিনের রুটিন মেনে চলুন 

প্রতিদিন আমাদের একটা রুটিন মেনে চলতে হবে। যদি আমরা প্রতিদিন একটি রুটিন মেনে চলি তাহলে আমাদের জীবন সুন্দর হবে। 

আমাদের একটা রুটিন তৈরি করতে হবে। যেমন, সকালে কখন ঘুম থেকে উঠা কখন নাস্তা করা। কিন্তু অবশ্যই খুব সকাল ঘুম থেকে ওঠতে হবে তাহলে সারাদিন ভালো কাটবে। 

কখন স্কুলে যাওয়া  কখন গোসল করা। এগুলোর দিকে নজর রাখতে হবে। দিনের বেলা ঘুমাতে হব। রাতে পড়তে হবে, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে।অবশ্যই প্রতিদিন এক রুটিনে চলাতে হবে। 

"H6" নিজেকে মাঝে মধ্যে ছুটি দিতে হবে

মার্কিন লেখক মেশেল লোরি বলেন, একজন মানুষ সব সময় একই রকমভাবে সফল হবে না, সেটা সম্ভব নয়। আর সফল বা হতে পারলে মুষড়ে পড়ার কিছু নেই।

আমাদের সব সময় শেখানো হয় আমাদেরকে সবকিছু পারতে হবে।কিন্তু আমাদের বিশ্রাম আর নতুন করে ভাবার সময় চাই।

'তিনি বলেন, 'নিজের ভেতরকার শুন্যতা পুরনের জন্য সময় দরকার একজন মানুষের, সেই সাতে নিজের কাজকর্ম মূল্যায়নের জন্যও ত অবসর লাগে।

সেটা দিন শেষে পাঁচ মিনিট সময় হতে পারে,আলাদা করে ভাবুন সারাদিনে কি কি কাজ করলেন,কেমন ভাবে করলেন, আরও ভালোভাবে কিভাবে করা যেত।এই সময় ফন ঘাটা বাদ দিয়ে,টিভি না দিখে কেভল নিজেকে ছুটি দিন।

"H7" ব্যাথ্তা জিবনের শেষ কথা নয়

কোন কাজে ব্যাথ্ হলে ভাববেন না যে আপনার জীবন শেষ। বরং ভাবুন এটা আপনার জীবনের একটা 'কমা' মানে স্বল্প বিরতি, 'ফুলস্টপ' বা শেষ নয়।

চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব লিলি কলিন্স বলেন, 'আমি সব সময় নিজেকে বলি, কোনকিছু নেতিবাচক হওয়া মানে সেটা 'না'  নয় বরং সেটা হচ্ছে এখন নয়।এখন বা এ মুহুর্তে হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, এমন কিছু কাল হবে না তার কোন মানে নেই।

শেষ কথা, 

নিজের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ