ব্লগ সাইট কি? ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার উপায়?

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। বন্ধুরা, আজকে আমরা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি। আর সেটি হল ব্লগ কি? কিভাবে ব্লগ সাইট তৈরি করা যায়? এবং ব্লগিং করে কিভাবে ইনকাম করা যায়? এই বিষয়বস্তু গুলো নিয়েই আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি।

অনলাইনে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করে টাকা ইনকাম করা গেলেও,ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম করা অন্যতম একটি পদ্ধতি। ব্লগ সাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে তেমন কোনো যোগ্যতা বয়স প্রয়োজন হয় না। যে কেউ চাইলেই অনলাইনে ব্লগিং করে টাকা ইনকাম করতে পারে।

বর্তমান এই যুগে ব্লগিং করে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করা সম্ভব। এমনিতে অনেকেই শুধুমাত্র ব্লগিং করে লক্ষাধিক টাকা আয় করে। আর কথা না বাড়িয়ে চলুন বন্ধুরা এবার আমরা বিস্তারিত জেনে আসি, ব্লগিং কি? এবং ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে কিভাবে ইনকাম করতে হয়? এ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি চলুন!

ব্লগ সাইট কিঃ ব্লগ সাইট হল একটি ওয়েবসাইট এর ভেতরে আর্টিকেল রাইটিং করা। ব্লগ হল আর্টিকেল লেখা, পোস্ট করা, রাইটিং করা ইত্যাদি। এবং সাইট হল একটি ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে আপনাকে ব্লগিং করতে হবে অর্থাৎ আর্টিকেল লেখালেখি করতে হবে। আপনি যদি কোন ওয়েবসাইটে রাইটিং কাজ করেন তাহলে আপনি ব্লগিং করছেন। অর্থাৎ ব্লগ সাইট মানে একটি ওয়েবসাইটে লেখালেখি বা রাইটিং করা।

ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে কি কি করতে হয়?

ব্লগ সাইটে আপনি যদি রাইটিং কাজ অথবা আর্টিকেল লেখালেখি কাজ করতে চান তাহলে, প্রথমেই আপনাকে একটি প্ল্যাটফর্ম কে বেছে নিতে হবে। ধরুন আপনি একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে চাচ্ছেন ব্লগিং করে ইনকাম করার জন্য তাহলে, ওয়ার্ডপ্রেস অথবা ব্লগার যেকোনো একটি প্লাটফর্মে প্রথমে যুক্ত হয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে।

এবং এই ওয়েবসাইট তৈরি করে আপনাকে এখানে ব্লগিং করতে হবে তাহলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। ওয়েবসাইট বিভিন্ন ধরনের তৈরি করে টাকা ইনকাম করা যায় তবে, ব্লগ সাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম যে কেউ করতে পারে। একটি প্রফেশনাল মানের ব্লগ সাইট তৈরি করার জন্য, বেশ কিছু জিনিসের প্রয়োজন হয়। এককথায় আপনি যদি ব্লগিং করে অনলাইনে আয় করার কথা চিন্তা করেন,

তাহলে আপনাকে শুরুতেই কিছু খরচ করতে হবে। একটি ওয়েবসাইট কমপ্লিট ভাবে তৈরি করে লগইন করার জন্য, আপনাকে সামান্য কিছু টাকা ব্যয় করতে হবে। তাহলে আপনি অনলাইনে লগইন করে টাকা আয় করতে পারবেন। এখন আপনি যদি এ ব্যাপারে কিছুই না জানেন তাহলে, চলুন আমরা ডিটেলে step-by-step এ সম্পর্কে একটু জ্ঞান অর্জন করে নিই।

কমপ্লিট প্রফেশনাল ব্লগ সাইট বানাতে কত টাকা 💰 প্রয়োজন হবে।

আপনি যদি একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে চান তাহলে, অবশ্যই আপনি কে কিছু টাকা ব্যয় করে কাজ করতে হবে। যদি আপনি কিছু টাকা ইনভেস্ট করে ইনকাম করতে চান তাহলে, সহজেই এবং দ্রুত সময়ে ব্লগ সাইট তৈরি টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সাধারণত একটি ব্লগ সাইট তৈরি করতে খুব বেশি খরচ হয় না। 

কিন্তু একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট চালাতে হলে, বেশকিছু জিনিস ক্রয় করা । সত্যিকার অর্থে এই জিনিসগুলো ব্যতীত ওয়েবসাইট বানানো যায় না। আর যদি ওয়েবসাইট বানানো যায় তবে সে ওয়েবসাইট টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। একটি কমপ্লিট ওয়েবসাইট তৈরি করতে যা যা প্রয়োজন হয়। তারমধ্যে গ্রহণযোগ্য এবং উল্লেখযোগ্য ।

যেমনঃ

  • কমপক্ষে একটি ডোমেইন ডোমেইন।
  • একটি হোস্টিং।
  • আরো একটি থিম।
  • প্লাগ-ইন ইত্যাদি।

এখন ওয়েবসাইট ব্লগার প্লাটফর্ম থেকেও তৈরি করা যায়। তবে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি ব্লগার ব্লগে ওয়েবসাইট বানান তাহলে, শুধুমাত্র একটি ডোমাইন হলেই ব্লগিং শুরু করতে পারবেন। অথবা ফ্রিতে চাইলে ব্লগার থেকে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে ইনকাম করতে পারবেন। অনেকেই ব্লগার থেকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে কোন খরচ না করে ইনকাম করে। তাই আপনিও চাইলে ব্লগার থেকে ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন ফ্রিতে।

আর আপনি এখন আপনি যদি ওয়াডপ্রেস দিয়ে ওয়েবসাইট বানান তাহলে, থিমস এবং প্লাগ-ইন এর জন্য টাকা খরচ করতে হয়না। তবে আপনি চাইলে এগুলো ক্রয় করে ও কাজ করতে পারেন। যাই হোক এগুলো এখন করার দরকার পরে না। তার কারন এই জিনিস এগুলো ফ্রিতেই পাওয়া যায়। একারণেই থিমস এবং প্লাগইন আমরা আমরা ক্রয় করব না। কারণ অন্যান্য ডোমেইন এবং হোস্টিং এর জন্য টাকা খরচ করতে হবে।

ডোমেইন কি? কেন ওয়েবসাইটের জন্য ডোমেইন প্রয়োজন হবে?

এখন আপনি যদি বলেন ডোমেইন কি? অথবা ডোমেইন মানে কি? এই প্রশ্নটি যদি আপনার থাকে তাহলে তার উত্তর হবেঃ ডোমাইন হলো একটি ওয়েবসাইটের নাম। ধরুন www.google.com এখানে google.com হলো ডোমেইন নেম। অর্থাৎ google.com হলো একটি ডোমেইন। প্রথমেই একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য প্রথমেই দরকার হতে পারে একটি নামের। অর্থাৎ একটি ডোমেইন।

এখন বর্তমান সময়ে অনলাইনে প্রচুর পরিমাণে জমে রয়েছে। আপনি চাইলেই যে কোন বড় ধরনের ডোমেইন ক্রয় করে ওয়েবসাইট সৌন্দর্য বাড়াতে পারেন নাম দিয়ে। অনলাইনে এখনকার সময়ে যে ডোমেইনগুলো রয়েছে।

যেমনঃ

  • .com
  • .org 
  • .net
  • .info
  • .xyz ইত্যাদি।

আমাদের বাংলাদেশে আপনি এই ডোমেইন গুলো পাবেন ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার ভিতরে পেয়ে যাবেন। এখন আপনি তো এখন ব্লগারে নতুন কিন্তু ব্লগিং করতে চান। তার জন্য আপনার কাছে যদি ৎকোন ধরনের পে করার কাড যদি নাও থাকে তাহলে, বাংলাদেশের অনেক ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে। এই ওয়েবসাইট থেকে আপনারা সরাসরি কিনা বিকাশ, রকেট, নগত এর মাধমে ডোমাইন রেজিস্ট্রেশন করতে দেয়।

ওয়েব হোস্টিং কি? ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজন হবে ওয়েব হোস্টিং?

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য ওয়েব হোস্টিং কি ? কেন হোস্টিং লাগবে ইত্যাদি প্রশ্ন আসতে পারে। এখন আপনি মনে করুন একটি বাড়ি বানাবেন। আর এই বাড়ি বানাতে হলে সর্বপ্রথম আপনাকে ক্রয় করতে হবে একটি জমি। আর ঠিক তেমনি একটি ওয়েবসাইট বানাতে হলে, আপনাকে আপনার ওয়েবসাইট টি রাখার জন্য একটি জমি ক্রয় করতে হবে। এবং এই সেই জমিকেই বলা হয় ওয়েব হোস্টিং।

এখন আপনারা হয়তো অনেকে বলতে পারেন হোস্টিং কেনো প্রয়োজন? এর উত্তরটি হবেঃ আপনার ওয়েবসাইটের ডাটা গুলো স্টোর করার জন্য একটি স্পেস দরকার। কারণে এই অবশ্যই ওয়েব হোস্টিং প্রয়োজন। যেহেতু আপনি একটি ব্লগ বানাবেন সেহেতু আপনার ব্লগে অবশ্যই কিছু টেক্সট অথবা ছবি, ভিডিও, ইমেজ ইত্যাদি থাকতে পারে। ঠিক এ কারণে এগুলো রাখার জন্য হোস্টিং অবশ্যই প্রয়োজন। 

ওয়েব হোস্টিং সাধারণত ৫ প্রকারের হয়ে থাকেঃ এখন আপনি যদি বলেন ওয়েব হোস্টিং কত প্রকার ? কোন ওয়েব হোস্টিং আমারদের জন্য ভাল হতে পারে? তো বন্ধুরা, এখন আপনারা কোন হোস্টিং ব্যবহার করবেন? এগুলো নিম্নে বিস্তারিত আলোচনা করি চলুন। 

শেয়ার হোস্টিং (Share Hosting) কাকে বলে?

এখন ধরুন আপনার টাকা কম রয়েছে। কে আপনি হোস্টিং ক্রয় করতে পারবেন না। না ভাই অবশ্যই আপনিও পারবেন । এখন আপনার কাছে যদি পর্যাপ্ত পরিমান টাকা 💰 না থাকে তাহলে, আপনি চাইলেই শেয়ার হোস্টিং ক্রয় করতে পারেন। এই শেয়ার হোস্টিং টি অন্য একজন এর সাথে শেয়ার করে নিতে হয়। প্রথম অবস্থায় শেয়ার হোস্টিং নিলে কোনো সমস্যা হবে না। 

আপনি যদি শেয়ার হোস্টিং নিতে চান তাহলে কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। শেয়ার হোস্টিং নেয়ার সময় এটা খেয়াল রাখবেন যে কাদের থেকে আপনি হোস্টিং নিচ্ছেন? তারা বিশ্বস্ত কিনা? এবং এটা খেয়াল রাখবেন যে, তারা আপনাকে সার্ভিস কেমন দিচ্ছেস দিচ্ছে? এবং তাদের হোস্টিংয়ের আপ-টাইম কেমন? তাছাড়া মানি-ব্যাক গ্যারান্টি আছে নাকি? আপনাকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে।

এখন আপনি যদি এই শেয়ার হোস্টিং নিয়ে কাজ করতে চান তাহলে, অবশ্যই তাদের যদি আপ-টাইম ৯৯.৯৫ এর নিচে হয়, তাহলে তাদের থেকে হোস্টিং কখনোই ক্রয় করবেন না। আমাদের বাংলাদেশ ১০০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে শেয়ার হোস্টিং ক্রয় করা যায়। তাই উপরোক্ত বিষয়গুলো মাথায় রেখে আপনাকে এই হোস্টিং ক্রয় করতে হবে। এবং তারপর আপনাকে কার্যক্রম করে যেতে হবে।

ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং (WordPress Hosting) কাকে বলে?

উপরোক্ত শেয়ার হোস্টিং থেকে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং একটু বেশি ভালো। কিন্তু এটাও জেনে রাখুন এই ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিংও একপ্রকার শেয়ার হোস্টিং। আর শেয়ার হোস্টিং থেকে ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং বেশি ফাস্ট এবং সিকিউরিটি সম্পন্ন। তাছাড়া এই ওয়াডপ্রেস হস্টিং এটি অপ্টিমাইজড। এবং এই কারনে আপনার ব্লগ টি হবে ফাস্ট ও সার্ভার ডাউন হওয়ার মতো পরিস্থিতে পরতে হবে না। 

কিন্তু এটা মাথায় রাখবেন আপনি এই ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং এ শুধু ওয়ার্ডপ্রেসের ই স্ক্রিপ্ট ব্যাবহার করতে পারবেন। অন্যান্য কোন স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করতে পারবেন না। অন্যান্য হোস্টিং এর চেয়ে এই হোস্টিং এর চেয়ে এর দাম একটু বেশিই। আমাদের বাংলাদেশ এর দাম ১৫০০ থেকে ৪০০০ টাকার ভিতরে।

ক্লাউড হোস্টিং (Cloud Hosting) কাকে বলে?

হয়তো কোন না কোন সময় আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বেশি হয়ে যেতে পারে তাই না। এবং তার জন্য অর্থাৎ যখন দেখবেন যে আপনার সাইটের ট্রাফিক অনেক বেশি হয়ে গেছে,,,, এখন আপনার সাইট আর লোদ নিতে পারছে না ঠিক তখনই আপনার ক্লাউড হোস্টিং এর প্রয়োজন হতে পারে। 

এই ক্লাউড হোস্টিং টি অন্যান্য হোস্টিং এর চেয়ে অনেক বেশি ফাস্ট কাজ করে। তার কারণ হলো আপনার ওয়েবসাইটের ফাইলগুলো থাকবে ক্লাউডে অর্থাৎ ইন্টারনেটেই। যেমন আমরা গুগল ড্রাইভে ফাইল রাখি ঠিক তেমনিভাবে এটিও কাজ করে এভাবে । আর এই ক্লাউড হোস্টিং এর দাম নির্দিষ্ট করে বলা নেই। আপনি যেমন চালাবেন তেমনি বিল আসবে এবং যথাসময়ে পরিশোধ করতে হবে।

ভিপিএস হোস্টিং (VPS Hosting) কাকে বলে?

আপনার ব্লগ সাইট টি যখন জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ঠিক সে সময় আপনি এই হোস্টিং টি নিতে পারেন। এই ভিপিএস হোস্টিং টি ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিং থেকেও বেশি লোড নিতে পারে। ঠিক এই কারনে আপনার ওয়েবসাইটটিও হয়ে উঠবে দ্রুততর। আর এই ভিপিএস হোস্টিং এর বিল প্রতি মাসে মাসে দিতে হয়। এবং ভিপিএস হোস্টিং এর দাম হচ্ছে ৪০০০ থেকে ৬০০০ টাকার ভিতরেই।

ডেডিকেটেড হোস্টিং (Dedicated Hosting) কাকে বলে?

ডেডিকেটেড হোস্টিং সকল হোস্টিং এর চেয়ে অন্যতম একটি হোস্টিং। এবং এই ডেডিকেটেড হোস্টিং আপনার কোথাও কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। উদাহরনস্বরুপঃ অন্যান্য হোস্টিং এ আপনাকে একটি বিল্ডিং এর একটা রুম ধার নিয়ে কাজ করতে হতো। কিন্তু আর এখানে আপনার ডেডিকেটেড হোস্টিং আপনি পুরো একটি বিল্ডিং পেয়ে যাচ্ছেন। আপনার ব্লগ সাইটে যতই ট্রাফিক আসুক না কোনো সমস্যা হবে না কখনোই।

আমরা হয়তো সবাই জানি ভালো জিনিসের দাম বেশি বেশি হয়। আর এই ডেডিকেটেড হোস্টিং এর দামটা একটু বেশি। আমাদের বাংলাদেশেও এই ডেডিকেটেড হোস্টিং পাওয়া যায়। এই ডেডিকেটেড হোস্টিং এর জন্য প্রতি মাসে ১৫০০০ থেকে ২৫০০০ টাকা পর্যন্ত দিতে হয়। এতক্ষন সবকিছু মিলিয়ে আমাদের মোট হিসাব করি এখন তাহলে, মোট খরচ দারায়,

  • একটি ডোমেইন; ৮০০-১০০০ টাকা।
  • একটি হোস্টিং; ১৫০০-২৫০০ টাকা।
  • থীমস; ফ্রি।
  • প্লাগ-ইন; ফ্রি।

ব্লগ সাইট বানাতে কত টাকা 💸 প্রয়োজন হয়?

ভালো মানের একটি ব্লগ সাইট বানাতে খুব বেশি খরচ হয় না। কিন্তু তবুও একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য বেশকিছু জিনিস ক্রয় করা লাগে । যেগুলো আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সত্যিকার অর্থে এই জিনিসগুলো ব্যতীত ওয়েবসাইট বানানো যায় না।

  1. যেমনঃ 
  2. ডোমেইন।
  3. হোস্টিং।
  4. থিমস।
  5. প্লাগ-ইন ইত্যাদি।

এগুলোর বিবরণ সহ বিস্তারিত দাম উপরের দিকে আমরা জানিয়ে দিয়েছি। ওগুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন কেমন খরচ হতে পারে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার ক্ষেত্রে। যাইহোক বন্ধুরা এখন আমরা জানতে চলেছি,,, আপনি এতক্ষণ যে ওয়েবসাইট তৈরি করার বিষয় নিয়ে জানলেন। এই ওয়েবসাইট থেকে টাকা ইনকাম কিভাবে শুরু হবে এর একটি নিয়ম চলুন জেনে আসি এখনিই।

গুগল অ্যাডসেন্স থেকে ব্লগ সাইট এর মাধ্যমে ইনকাম শুরু যেভাবে?

টাকা ইনকাম শুরু যেভাবেঃ বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা একটি ব্লগ সাইট তৈরি করার ডিটেলস সহকারে বিস্তারিত চিনেছি। হয়তো এখন আপনাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, এই ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম শুরু কিভাবে হবে তাই না! বন্ধুরা থেকে বিভিন্ন পদ্ধতিতে টাকা ইনকাম করা যায়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি নেটওয়ার্ক হল গুগল এডসেন্স।

যার মাধ্যমে আপনারা চাইলে আপনার ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তার জন্য প্রথমে আপনার একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট থাকতে হবে। আর যদি না থাকে তাহলে এনআইডি কার্ড অনুযায়ী একটি গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করবেন। এনআইডি কার্ড এর তথ্য অনুযায়ী আপনাকে গুগল এডসেন্স একাউন্ট তৈরি করতে হবে। এই তথ্যগুলো ব্যতীত আপনি ইনকাম করতে পারবেন না।

তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য গুগল এডসেন্স এর জন্য এপ্লাই করুন। কয়েকদিনের ভিতরে আপনার একাউন্ট এর ফলাফল সম্পর্কে তারা বিস্তারিত জানিয়ে দিবে। যদি আপনার গুগল অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ হয় তাহলে, তখন আপনারা চাইলে ওই এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন গুলো আপনার ওয়েবসাইটে বসাতে পারবেন। এবং ওই বিজ্ঞাপনগুলো যদি কোন লোক দেখে বা ক্লিক করে তাহলে, তার বিনিময় আপনার একাউন্টে ডলার জমা হতে থাকবে।

ঠিক এভাবে করে ব্লগ সাইটে আপনারা গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন বসে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। আপনার ওয়েবসাইটে কতজন ভিজিট করে কোন এডে ক্লিক করে কত অ্যাড দেখা হয়েছে এই ইত্যাদি। সকল বিষয়বস্তুগুলো আপনি আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে দেখতে পারবেন। 

এমনকি আপনার গুগল এডসেন্স একাউন্টে কত টাকা জমা হয়েছে কত টাকা উত্তোলন করেছেন এটাও বিস্তারিত দেখাবো। তবে নিয়ম-নীতি মেনে আপনাকে সবক্ষেত্রে কাজ করতে হবে। তাহলে আশা করা যায় আপনারা সহজেই ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম শুরু করতে পারবেন।

ব্লগ সাইট থেকে আয় করতে কতদিন সময় লাগতে পারে?

আপনার ব্লগ সাইট থেকে আয় কবে থেকে শুরু হবে ? এবং কত আয় হবে? সেটা নির্ভর করে একান্তই আপনার নিজের উপর। আপনি যদি আপনার ব্লগ সাইটে নিয়মিত সঠিক পথ মেনে ব্লগিং করেন ও ঠিকমতো শ্রম দেন তাহলে, ৪-৫ মাসের ভেতর একটু হলেও টাকার গন্ধ পেতে পারেন আপনি।

তবে হ্যাঁ আমি আপনাদের বলতে চেয়েছি, এখনো টাকা হাতে নাও পেতে পারেন। এটা মনে রাখবেন টাকার গন্ধ মানে টাকা নয়, আর এই গন্ধকে ভালবেসে যদি কাজে আরও বেশি মনযোগী হন তাহলে, আশা করা যায় ৮-৯ মাসের ভেতরেই টাকা দেখতে পাবেন। অর্থাৎ টাকা আপনার হাতে আসতে পারে সম্ভবত। বন্ধুরা, ব্লগিং হলো আসলে ভালবাসার বিষয়। একটু গাফিলতি করলেই আর টাকার দেখা পাবেন নাও পেতে পারেন।

আর যদি গাফিলতি করেন তাহলে তার মানে টাকাটা মাটি হয়ে যাবে। এবং আপনার ক্রয় করার ডোমেইন হোস্টিং সব জলে যাবে। তাই অবশ্যই ব্লগিং করলে মন থেকে করবেন । কখনোই শুরুতে টাকার পিছনে দৌরাবেন না। যদি এই শ্রম এবং নিয়ম মেনে কাজ করেন তাহলেই একদিন সফল হবেন আশা করা যায়। তো বন্ধুরা এই ছিল আমাদের আজকের আর্টিকেল।

আর্টিকেল এর শেষ কথা

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আজকে আমরা ব্লগ সাইট থেকে টাকা ইনকাম করার পুরো গাইড নিয়ে আলোচনা করেছি। যারা মন দিয়ে পড়েছেন তাদের মনে কোনো প্রশ্ন থাকার কথা না। তবুও যদি কোন প্রশ্ন কারো থাকে তাহলে সেটা কমেন্ট এর মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধু বান্ধবীদের কাছে আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন।

পরিশেষে, আমাদের আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন। আশা করি দেখা হবে আবার অন্য কোন আর্টিকেলে। এই আশা ব্যক্ত ও কামনা করেই আজকের আর্টিকেলটি এখানেই শেষ করছি,,, আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles