ধনিয়া পাতার আচার

যে কোনো তরকারি বা ভর্তা ধনিয়াপাতা ছাড়া যেন জমে ওঠে না। প্রতিদিনই কোনো না কোনো পদ রান্নায় ধনিয়াপাতা ব্যবহার করেন কমবেশি সবাই। এছাড়া ধনিয়াপাতার চাটনির জনপ্রিয়তাও কিন্তু অনেক।

আমাদের চ্যানেলটি সাবসক্রাইব করুন

তবে কখনো কি ধনিয়াপাতার আচার খেয়েছেন? যদি না খেয়ে থাকেন তাহলে ঝটপট আজই ঘরে তৈরি করে নিন এই আচার। ভাত হোক বা খিচুড়ি সব কিছুর সঙ্গে দারুণ মানিয়ে যাবে এই আচার। রইলো রেসিপি-

১. ধনিয়াপাতা ২ আটি
২. তেঁতুলের ক্বাথ (ধনিয়াপাতা বাটার অর্ধেক)
৩. রসুন বাটা ১ চা চামচ
৪. আদা বাটা ১ চা চামচ
৫. পেঁয়াজ বাটা ১ চা চামচ
৬. ভাজা পাঁচফোড়ন গুঁড়া ১ চা চামচ
৭. চিলি ফ্লেক্স ১ চা চামচ
৮. লবণ ১চা চামচ
৯. চিনি ২ চা চামচ ও
১০. সরিষার তেল ১ টেবিল চামচ।

পদ্ধতি

ধনিয়াপাতা প্রথমে গোড়া ফেলে চালনিতে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। এরপর কুচি কুচি করে কেটে পাটায় মিহি করে বেটে নিতে হবে।

ধনিয়াপাতা বাটার সঙ্গে অর্ধেক পরিমাণ দিতে হবে তেঁতুলের ক্বাথ। এরপর ৩-১০ নং পর্যন্ত সব উপকরণ একে একে মিশিয়ে নিতে হবে।

এরপর তেল ব্রাশ করা বড় ট্রেতে নিয়ে চামচ দিয়ে পুরো ট্রেতে পাতলা করে ছড়িয়ে দিতে হবে ধনিয়াপাতা বাটা। এবার এই ট্রে রোদে দিন একদিন। অনেকটা শুকিয়ে যাবে।

চামচ দিয়ে নেড়ে আবারও ট্রেতে ছড়িয়ে দিতে হবে। তাহলেই ভালোভাবে শুকিয়ে যাবে। এরপর যখন মিশ্রণটি হাতে নিয়ে বলের মতো আকৃতি দিতে হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে নিন।

তারপর অল্প অল্প ধনেপাতার মিশ্রণ নিয়ে ছোট ছোট বলের আকৃতিতে বানিয়ে নিন। বল বানানোর পর আবারও একদিন অথবা কয়েক ঘণ্টা রোদে রেখে শুকিয়ে নিতে হবে।

এরপর শুকনো কাচের বয়ামে বানিয়ে নেওয়া বলগুলো রেখে দিন। তার মধ্যে গরম করে ঠান্ডা করে নেওয়া সরিষার তেল ঢেলে দিন। বয়াম ভর্তি করে অথবা বলগুলো যাতে তেলে ডুবে থাকে এমন পরিমাণ তেল দিতে হবে।

বয়ামের মুখ বন্ধ করে টানা সাতদিন কড়া রোদে বয়াম রেখে দিন। তাহলেই পরিবেশনের জন্য তৈরি হয়ে যাবে ধনিয়াপাতার আচার।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles
লেখক সম্পর্কেঃ