আপনিও পারবেন নিজের কম্পিউটার নিজে মেরামত করতে।

হ্যালো, বন্ধুরা আশা করি আপনারা সুস্থ ও ভালো আছেন।

বন্ধুরা আজ আপনাদের আমি আপনার কম্পিউটারের কিছু সার্ভিসিং কৌশল শেখাবো। আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে আপনার ডেক্সটপ কম্পিউটারটির কোনো রূপ সমস্যা হলে কোনো সার্ভিসিং সেন্টারে না নিয়ে গিয়ে নিজে বাড়িতে বসেই ঠিক করে নিতে পারবেন। এতে আপনার টাকাও বাজবে সময়ও বাজবে এক ঢিলে দুই পাখি মারা হলো।

শুরু করার আগে জেআইটি ব্লগটিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি আমাকে আপনাদের ব্লগে আর্টিকেল লেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য। 

তাই আর কথা না বাড়িয়ে শুরু কর যাক।

০১। আপনার কম্পিউটারটির সিস্টেম চালু হচ্ছে না, চিন্তার কোনো কারণ নেই নিচের প্রসেসটি অনুসরণ করুন-

পাওয়ার ক্যাবলের সংযোগটি ভালো করে দেখে নিন ঢিলা আছে কিনা।  পারলে খুলে আবার লাগিয়ে দিন। তার পরও যদি আপনার মেইন বোর্ডটিতে যদি পাওয়র না আসে তাহলে তাহলে পওযার সাপ্লাই ইউনিট পরিবর্তন করুন। তবুও যদি কাজ না হয় তাহলে স্থানীয় কোনো সার্ভিসিং সেন্টারের অভিজ্ঞ কউকে দেখান।

০২) আপনার সিপিইউ বা পিসি যদি গরম হয়ে যায় আবার অস্বাভাবিকভাবে কম্পিউটার বন্ধ হয়ে যায় তাহলে নিচের প্রসেসটি অনুসরণ করুন-

আপনার পিসির কেসিংটি খুলুন।মাদারবোর্ড থেকে প্রসেসর ফ্যানটি সরান ভুলেও প্রসেসর সরানো যাবে না। ভেতরে থাকা ধুলোবালি গুলো ভালো করে পরিষ্কার করুন। ফ্যানটি আগের জায়গায় লাগিয়ে কেসিংটি লাগিয়ে কম্পিউটার জালু করুন। কাজ না হলে অভিজ্ঞ কাউকে দেখান।

০৩) কম্পিউটার গরম হয় না অথচ মাঝেমাঝে বা একটু পরপর সাটডাউন হয়ে যায় তাহলে নিচের টিপ্স গুলো অনুসরণ করুন-

মাদারবোর্ডটির ক্যাপাসিটরটি ভালো করে দেখে নিন এটি খুলে আসছে কিনা বা লিক আছে কিনা। এক্ষেত্রে ক্যাপাসিটরটি ভালো করে লাগিয়ে দিলেই সমস্যার মাধান হয়ে গেল। তবে সাবধান বোর্ড সোর্টটেডন হলে শক খাবেন তাই কম্পিউটার  মেরামত সেন্টার থেকে ঠিক করে আনতে পারেন।

০৪) উইন্ডোজ রান করার সময় কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যায় তাহলে নিচের টিপস অনুসারে কাজ করুন - 

আপনার কম্পিউটারে কোন ভাইরাস আছে কিনা তা আপগ্রেড এন্টিভাইরাস দিয়ে চেক কে নিন। হার্ড ডিক্স থেকে গুরুত্বপূর্ণ ডাটা অন্য জায়গায় কপি করে নিয়ে হার্ড ডিক্সের সি ড্রাইভ ফরম্যাট করে নতুন উইন্ডোজ ইনস্টল  করুন।আশা করু ঠিক হয়ে যাবে।

০৫) কম্পিউটার চালু করলে ডিসপ্লে আসার পর কম্পিউটার হ্যাং হয়ে যায় তাহলে প্রথমে আপনি দেখে নিন আপনারর কি-বোর্ড ও মাউসের সাথে মাদার বোর্ডের কানেকশন ঠিক আছে কিনা। ঢিলা থাকল খুলে আবার লাগিয়ে দিন। যদি ঠিক না হয় তাহলে নিচের ধাপগুলো একটি একটি করে অনুসরণ করুন। 

সামাধান- ধাপ ১ঃ কম্পিউটার সাট ডাউন দিয়ে কম্পিউটারের ক্যাসিং খুলে হার্ড ডিক্স,  ডিভিডি ও সিডি রমের সংযোগ খুলে দিতে হবে। এখন আবার সব গুলো যন্ত্রপাতি যেখান থেকে খুলেছেন সেখানেই লাগান। আপনার কম্পিউটার চালু করুন আর দেখুন আগের সমস্যাটা আছে কিনা যদি থাকে তাহলে ধাপ ২ অনুসরণ করুন।

সমাধান- ধাপ ২ঃ আবার কম্পিউটার বন্ধ করুন আর  মাদার বোর্ড থেকে প্রসেসর, রেম,  পাওয়ার সাপ্লাই কানেকশন খুলে নুন ও দেখুন কোন রূপ কানেকশন ঢিলা আছে কিনা ও আবার ভালো করে লাগিয়ে নিন। যদি এই টিপসটাতেরকাজ না হয় তাহলে ধাপ ৩ অনুসরণ করতে পারেন।

সমাধান- ধাপ ৩ঃ অন্য কম্পিউটারের প্রসেসর, হার্ডডিক্স 

 পাওযার সাপ্লাই কানেকশন ও মাদারবোর্ডর যন্ত্রপাতি আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ডে ব্যবহার করতে পারেন। যদি দেখেন তাও কাজ হচ্ছে না তাহলে বুঝে নিবেন আপনার মাদার বোর্ডের সমস্যা আপনাকে মাদরবোর্ডটি পাল্টাতে হবে।

৬) আপনার কম্পিউটারের সিস্টেম চালু হচ্ছে কিন্তু মনিটরে কিছু দেখা যাচ্ছে না তাহলে নিম্নে উল্লেখিত নিয়ম গুলো অনুসরণ করুন।

  • কম্পিউটার বন্ধ করে বৈদ্যুতিক লাইনটি খৃলে ফেলুন। 
  • মেমোরি স্লট থেকে সব গুলো রেম খুলে রাখুন
  • একটি ব্রাশ দিয়ে রেমের স্লট ও কানেক্টারগুলো ভঘষে ভালো কর পরিষ্কার করুন।
  • রেম গুলোকে না লাগিয়ে কম্পিউটার চালুন করুন যদি বিপ সাউন্ড হয় তাহলে কম্পিউটার বন্ধ করে রেমগুলো লাগিয়ে আবার অন করুন যদি বিপ সাউন্ড না হয় তাহলে বুঝে নিবেন আপনার রেমগুলোতে সমস্যা আছে।

০৭) কম্পিউটারের ধাতুর অংশে স্পর্শ করলে শক লাগলে যে কাজটা করবেন -

সাধারণত শক করার প্রধান কারণ হচ্ছে আর্থিং না থাকা।  তাই ভালো একজন ইলেক্ট্রিশিয়ান দ্বারা আর্থিং করান।

০৮)  আপনার কম্পিউটার আপনা আপনি রিস্টার্ট হয়ে যায় তাহলে আপনাকে নিচের কাজগুলো করতে হবে-

  • আপগ্রেড এন্টিভাইরাস দ্বারা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের প্রতিটি ডাইভকে ক্লিন করুন
  • আপনার সিপিইউ এর কুলিং পাখাটি ঘুরছে কিনা দেখে নিন প্রয়োজনে নতুন কুলিং ফ্যান লাগান।

০৯) আপনার কম্পিউটারের তারিখ ও সময় আপনা- আপনি নষ্ট হয়ে যায় তাহলে নিচের কাজটি করুন-

মাদারবোর্ডের সিএমওএস ব্যাটারিটি পাল্টান দেখুন ঠিক হয়ে যাবে।

১০) আপনার কম্পিউটারটিতে যদি ' বোট ডিক্স ফ্যাইলার' অথবা 'হার্ড ডিক্স নট ফাউন্ড'  মেসেজ দেখায় তাহলে নিচের পদক্ষেপ গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়ুন ও কাজে প্রয়োগ করুন।

  • আপনার কম্পিউটার সাট ডাউন দিয়ে দিন ও কেসিং খুলে মাদারবোর্ড ও হার্ডডিস্কের সাথে সংযুক্ত ক্যাবল এবং পাওযার সাপ্লাই ইউনিট ও হার্ডডিস্কের সংযোগ করা ক্যাবলটি খুলে আবার ভালো করে লাগান।
  • হার্ডডিস্কের পেছনের জাম্পারের সেটিং ডায়াগ্রাম অনুসারে করুন।

১১) 'আউট অফ মেমোরি' বা 'নট এনাফ মেমোরি' নোটিফিকেশন দেখায় তাহলে আপনার কাজ হবে-

আপনি মাদারবোর্ডে অধিক রেম ব্যবহার করুন। তা না হলে আপনার অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রাম গুলো আনস্টল করে ডিলিট করে দিন।

আশা করি আপনার আমার কথাগুলো বুঝতে পেরেছেন।  আমার বলা টিপসে যদি কাজ না হয় তাহলে আপনারা আপনার নিকটস্থ কোন ভালো সার্ভিসিং সেন্টারে নিয়ে গিয়ে অভিজ্ঞ কাউকে দেখান। আপনার আর্টিকেলটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদের  কম্পিউটারের বেসিক সার্ভিসিং সম্পর্কে জানতে সাহায্য করুন।আপনারা আর্টিকেলটি শেয়ার করলে আমি অনুপ্রেরণা পাব ও কম্পিউটারের আরো নানা সমস্যার সমাধান আপনাদের জানাব।

ধন্যবাদ। 

ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পড়ুন স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলুন।

 

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles