কম্পিউটার কি? ভালো এবং মন্দ দিক

কম্পিউটার,আধুনিক বিজ্ঞানের এর চমকপ্রদ আবিষ্কার,ব্রিটিশ গণিতবিদ চার্লস ব্যাবেজ হলেন কম্পিউটার এর জনক। '

কম্পিউট' অর্থ গণনা করা,এই 'কম্পিউট' থেকেই কম্পিউটার শব্দ টি এসেছে।কম্পিউটার কে মূলত গণনার কাজেই ব্যবহার করা হয়।

তবে আজকাল গণনা ছাড়াও আরো অন্যান্য কাজে কম্পিউটার ব্যবহৃত হচ্ছে।কম্পিউটার এর অংশ তিনটি।

যথা:১.সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট সংক্ষেপে সিপিইউ,২.ইনপুট,৩.আউটপুট।

যে তথ্য নিয়ে কম্পিউটার কাজ করে তাকে বলে প্রোগ্রাম,আবার এই তথ্য ও নির্দেশ প্রদানের জন্য যে বিশেষ ভাষা ব্যবহার করা হয় তাদের বলে প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ।

একটি কম্পিউটারে সাধারণত কয়েকটি অংশ নিয়ে গঠিত। যথা:

১.মনিটর: কম্পিউটার বলতে সবার আগে আমাদের মাথার মনিটরের ছবি ভেসে আসে।

এটি কম্পিউটারের একটি আউটপুট ডিভাইস হিসেবে পরিচিত। মনিটর ছাড়া কম্পিউটার একটি অসম্পূর্ণ যন্ত্র কারণ কম্পিউটার দ্বারা যেসব কাজকর্ম করা হয় এসব ই মনিটরের মধ্যে প্রদর্শিত হয়।

২.মাউস: মাউস পয়েন্টিং ডিভাইস নামে পরিচিতি এর তিনটি সুইচ থাকে।দেখতে অনেকটা ইঁদুরের মতো বলে একে মাউস বলা হয়।

কোনো কিছুকে ড্রাগ করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়ার কাজে এটি ব্যবহার করা হয়।প্রত্যেকটা কম্পিউটারে আপনারা দেখা যায়।

৩.কিবোর্ড: কিবোর্ড হলো কম্পিউটার এর ইনপুট অংশ।এর মাধ্যমে কম্পিউটারে তথ্য ইনপুট করা হয়।

৪.ইউপিএস: কম্পিউটার চালানোর সময় কারেন্ট চলে গেলে তখন ইউপিএস এর প্রয়োজন হয়।

কম্পিউটার এর সঙ্গে ইউপিএস এর সংযোগ রাখলে কারেন্ট গেলেও বিদ্যুৎ প্রবাহ চালু থাকবে।

৫.সিপিইউ বা সিস্টেম ইউনিট: কম্পিউটার এর সব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাদি সিপিইউ এর মধ্যেই থাকে।

এটি দেখতে বক্সের মত মতই একটি অংশ যার মধ্যে রেম হার্ডডিক্স মাদারবোর্ড সিপিইউ ট্রানজিস্টার রেজিস্টার রং ব্যাটারি সবকিছু যুক্ত থাকে।

তাই বলা হয়, সিস্টেম ইউনিট ছাড়া কম্পিউটার অসম্পূর্ণ। 

কম্পিউটার ব্যবহারের কিছু সুবিধা ও অসুবিধা:

কম্পিউটার ব্যবহারের আমরা প্রধানত যেই সুবিধাটা পেয়ে থাকি তা হলো ইন্টারনেট এর ব্যবহার।ইন্টারনেট ব্যবহারের ভালো ও মন্দ উভয় দিক ই আছে।

সুবিধাগুলো হলো: আধুনিক যুগে কম্পিউটার মানুষের নির্ভরশীল বন্ধু।দেশ বিদেশের বন্ধুবান্ধব আত্মীয় স্বজনের সাথে কথা বলা,

ভিডিও কল এ তাদের সাথে কথা বলতে পারি,লুডু,ফুটবল,ক্রিকেটসহ নানা ধরনের গেমস খেলা যায়,কোটি কোটি সংখ্যক অঙ্ক কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সম্পন্ন করা যায়,

বিভিন্ন শিক্ষা ও ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠানের যাবতীয় কাজকর্ম করা যায় অনায়াসেই।ইন্টারনেট এ তথ্য সার্চ দেওয়া যায়।

আর আজকাল তো কম্পিউটার আর ইন্টারনেট এর ব্যবহার বেড়েই চলেছে,ছেলেমেয়েরা অনলাইন এ ক্লাস করছে,অফিসে অনুপস্থিত থাকলেও ঘরে বসে অফিসের কাজকর্ম করতে পারছে।

রেলওয়ে,বিমানবন্দর,ব্যাংক,প্রকাশনা,রিসার্স সেন্টার প্রভৃতি স্থানে কম্পিউটার এর বহুল ব্যবহার আছে।পরীক্ষার ফল প্রকাশ,অপরাধীকে খুঁজে বের করা,বিজ্ঞাপন প্রচার,যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ এসব কাজ কম্পিউটার এর মাধ্যমেই করা হয়।

অসুবিধাগুলো হলো: দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহার করলে চোখের উপর নেতিবাচক পড়ভাব পড়ে। চোখের পেশিতে চাপ পড়ে ফলে চোখের ক্ষতি হয়।যেমন:চোখে ব্যাথা,মাথাব্যাথা হয়।

এছাড়া দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটার ব্যবহারের ফলে কোমরে ব্যাথা হতে পারে, ব্রেইন এর উপর ও এর বিরূপ প্রভাব পড়তে হতে পারে।

যারা নিয়মিত কম্পিউটার ব্যবহার করে তাদের অন্তত ১৫-২০ মিনিটের ব্রেক নেওয়া উচিত। অপ্রয়োজনীয় ব্যাবহারে আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয় যেই সময়টা আমরা অন্য কোনো উৎপাদনশীল কাজে ব্যয় করতে পারি।

কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর এর যেই পার্টগুলো ফেলে দেওয়া হয় ওগুলো থেকে বিষক্রিয়া ছড়াতে পারে।ফলে পরিবেশের উপর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

অত্যন্ত দ্রুত গণনা,নির্ভুল তথ্য বিশ্লেষণ,বিপুল সংখ্যক তথ্য ও উপাত্ত কে যন্ত্রের মগজে ধরে রাখার ক্ষমতা,

কম্পিউটার এ দেওয়া নির্দেশাবলী অনুসারে অসাধারণ কাজ করার ক্ষমতার কারণে কম্পিউটার মানুষের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এর যেমন ভালো দিক আছে তেমন খারাপ দিক ও আছে।তবে খারাপ দিকের চেয়ে ভালো দিক ই অনেক যদি আমরা এর ভালো ব্যবহার করতে পারি।

আধুনিক জীবনযাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ন অঙ্গ হিসেবে কম্পিউটার এর অবদান অনস্বীকার্য।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles