কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত ইনপুট আর আউটপুট ডিভাইসগুলােকে একত্রে বলা হয় কম্পিউটার পেরিফেরালস। নিচে আমরা ইনপুট-আউটপুট ইন্টারফেস সম্পর্কে আলোচনা করব।
কম্পিউটার থেকে ইনপুট প্রদানের জন্য এবং কম্পিউটার থেকে আউটপুট পাওয়ার জন্য ইনুট এবং আউটপুট যন্ত্রাদি অথবা ডিভাইগুলাে কম্পিউটারের সঙ্গে তারের বা ক্যাবলের মাধমে সংযুক্ত করা হয়।
এই তার বা ক্যাবলগুলাি ইউনিট এর সাথে যুক্ত থাকে। এই সকেটগুলাে পাের্ট হিসেবে পরিচিত। তথ্য আদান-প্রদানের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী বাইরের যন্ত্রপাতির সাথে কম্পিউটারের যােগাযােগ স্থাপনের ও পাের্টসমূহ ও ধরণের উপর পরিচয় নির্ধারণ করে থাকে।
কম্পিউটারের সাথে বাইরের যন্ত্রপাতির সংযােগকে ইন্টারফেস বলে। মানে কম্পিউটারের সাথে পেরিফেরাল ডিভাইসগুলে’ সংযােগ প্রক্রিয়াকে ইন্টারফেস বলে।
ইনপুট আউটপুট, সিপিএইড যন্ত্রাদির মধ্য দিয়ে ডাটা চলাচলের উপর ভিত্তি করে ইন্টারফেসকে দুই ভাগ করা যায়। এগুলো হলো
১।সিরিয়াল ইন্টারফেস (Serial Interface)
২।প্যারালাল ইন্টারফেস
১. সিরিয়াল ইন্টারফেস :
১ বাইট বা ৮ বিটের তথ্য পর্যায়ক্রমে ১ বিট করে আদান-প্রদানকে বলে সিরিয়াল কমিউনিকেশন। সিরিয়াল কমিউনিকেশন পদ্ধতিতে স্থাপিত সংযােগকে বলে সিরিয়াল ইন্টারফেস। এই ব্যবস্থায় দু’টি ক্যাবলের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে বিভিন্ন যন্ত্রাদির মধ্যে তথ্য আদান-প্রদানকারী সংযােগ স্থাপন করা হয়।
মাউস, মডে আরও কিছু যন্ত্র সিরিয়াল কমিউনিকেশন পদ্ধতিতে তথ্য আদানপ্রদান করে। এসব যন্ত্রকে সিরিয়াল কমিউনিকেশন ডিভাইস এবং এই যন্ত্রগুলোর সংযােগ দেয়ার পাের্টকে সিরিয়াল পাের্ট বলে।
২।প্যারালাল ইন্টারফেস :
প্যারালাল যােগাযােগ পদ্ধতিতে স্থাপিত সংযােগকে প্যারালােল ইন্টারফেস বলা হয় । একটি তারের ভেতর দিয়ে ১ বাইট ডাটা ৮টি বিট পাশাপাশি ৮টি পৃথক লাইনের মাধ্যমে আদান-প্রদানের প্যারালাল কমিউনিকেশন বলা হয় । এই ইন্টারফেসের মাধ্যমে এক সাথে ৮ বিট, ১৬ বিট ইত্যাদি বাইনারি সংখ্যা আদানপ্রদান সম্ভব।
স্ক্যানার, প্রিন্টার ইত্যাদি যন্ত্রপাতি প্যারালাল কমিউনিকেশন পদ্ধতি, তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে।ফায়ারওয়্যার ইন্টারফেসঃ বর্তমান যুগের খুব খুব জনপ্রিয় ইন্টারফেস হল ফায়ারওয়্যার। এটি ৮০০ মেগাবাইট পার সেকেন্ড গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করতে পারে। ডিভিডি ও ক্যামেরা বা উচ্চ গতিতে তথ্য পারাপারে, প্রয়ােজন ক্ষেত্রে এই ইন্টারফেসটি জনপ্রিয়।
এ ইন্টারফেসের সুবিধা হচ্ছে যে, এতে উপাত্ত হস্তান্তরের সময় গতি উঠানামা করে না।স্ক্যাজি (scsi) ইন্টারফেসঃ স্ক্যাজি হল স্মল কম্পিউটার সিস্টেম ইন্টারফেস (Small Computer system Interface) এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যেসব যন্ত্র প্যারালাল কমিউনিকেশন পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদান করে সেসর যন্ত্রকে বলা হয় স্ক্যাজি ডিভাইজ।
অর্থাৎ স্ক্যাজি যন্ত্রপাতিগুলাে প্যারােলাল কমিউনিকেশন পদ্ধতিতে ডেটা আদান-প্রদান করে থাকে। আর স্ক্যাজি ডিভাইসগুলাে যেসব পাের্টের মাধ্যমে সংযােগ দেয়া হয়। সেসব পাের্টকে বলে স্ক্যাজি পাের্ট। স্ক্যাজি হলো আনসি বা আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট কর্তৃক সংজ্ঞায়িত শিল্পমান ইন্টারফেস।
স্ক্যাজি পাের্টে হার্ডডিক্স, টেপ ব্যাকআপ সিস্টেম, প্রিন্টার, সিডি রম এবং অন্যান্য স্ক্যাজি ডিভাইসের সংযােগ দিয়ে উচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা হয়। স্ক্যাজি ইন্টারফেস সিস্টেম ডেইজি চেইন এর সাহায্যে সংযােগ তৈরি করে স্ক্যাজি পাের্টের মাধ্যমে ৮টি পর্যন্ত স্ক্যাজি ডিভাইসের নেটওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
You must be logged in to post a comment.