ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সুদূর প্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ক্যারিয়ারের সফল হতে চাইলে আপনার অবশ্যই সুদুরপ্রসারী লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকতে হবে।
আপনি হঠাৎ কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না, আপনি জানেন আপনার গন্তব্য কোথায় ?
তাই আপনার লক্ষ্যে নিজে কাজ করবেন এবং তার স্বপ্ন তথা বিশ্বাসকে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেবেন।
অভিজ্ঞতা
হঠাৎ করে কেউ ক্যারিয়ারের সফল হয়ে উঠতে পারে না।(ব্যতিক্রম অবশ্য আছে ) এবং আপনি তখনই সফল হবেন যখন অভিজ্ঞতা সঞ্চয়ের মাধ্যমে দক্ষ ও যোগ্য হয়ে উঠবেন। সময়ের সঙ্গে আপনার চিন্তা চেতনা ও পরিনিত বোধ জেগে উঠবে।
মানুষকে আকর্ষণ করার ক্ষমতা
ক্যারিয়ারের সফল হতে চাইলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটি হচ্ছে মানুষকে আপনার প্রতি আকর্ষিত করা।
আর মানুষ তখনই আপনার প্রতি আকর্ষিত হবে যখন আপনার কথা বলা এবং চলাফেরা মার্জিত হবে । আর মানুষ আরেকটি কারণে মানুষের প্রতি আকর্ষিত হয় সেটি হচ্ছে মানুষ এমন কিছু খুঁজে পেতে চায় যা তার নিজের মধ্যে অনুপস্থিত আরেকটি মানুষকে আর একজন মানুষের প্রতি আকর্ষিত করে রাখে।
দৃৃঢ়চিত্ত
ক্যারিয়ারে সফল হতে গেলে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে দৃঢ়চিত্তের অধিকারী হওয়া। কোন প্রতিকূলতই আপনাকে আপনার নীতি লক্ষ্য ও অবস্থান থেকে টলাতে পারবে না ।
আপনি আপনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সকল বাধা ও প্রতিকূলতা অতিক্রম করে নির্দিষ্ট পথে হাঁটবেন।
অবসাদ
ক্যারিয়ার ধ্বংসের অন্যতম কারণ হচ্ছে অবসাদে ভোগা। আপনি যদি অবসাদে ভোগেন তাহলে আপনার কাজের গতি নষ্ট হয়ে যাবে এবং বিভিন্ন দুশ্চিন্তায় ভুগবেন ।
তাই আপনাকে হাল ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কেননা একবার মনোবল ভেঙে গেলে আবার জোড়া দেওয়া খুবই কঠিন। তাই প্রচুর পরিশ্রম করার মানসিকতা ও সামর্থ্য থাকতে হবে এবং নিজের দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিস্থিতিতে সামলে নিতে হবে ।
আত্মবিশ্বাসী
যখন অবসাদে ভুগবেন বা যখন আপনার খারাপ সময় যাবে তখন সে খারাপ সময় আপনাকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে নিজেকে প্রতি ভরসা রাখা এবং আত্মবিশ্বাসী হওয়া।
কেননা আপনি আত্মবিশ্বাসী না হলে কখনো কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কাজ আপনার দ্বারা সম্ভব হবে না। তাই কোন কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ভাবনা ভেবে নিঃসংকোচে কাজের প্রতি ঝাঁপিয়ে পড়ুন মনে রাখবেন কখনো কখনো অল্পস্বল্প ঝুঁকি নিতে হয় না হলে সাফল্য আসেনা ।
অনুপ্রেরণা
কোন কাজ করতে গেলে অবশ্যই সেই কাজের ক্ষেত্রে প্রয়োজন উৎসাহ এবং অনুপ্রেরণা। কেননা উৎসাহ অনুপ্রেরণা মানুষের কাজের গতি বাড়িয়ে দেয় , মানুষ অনুপ্রাণিত হলে উদ্দীপ্ত হয়, সাহস পায় এবং সেই সাথে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস এবং ভরসা জেগে ওঠে ।
তাই আপনি যে কাজ করেন আপনি যে কর্ম ক্ষেত্রে আছেন সেই কর্মক্ষেত্র সংক্রান্ত বিভিন্ন ভিডিও কিংবা বিভিন্ন গল্প পড়তে পারেন যেখান থেকে আপনি আপনার অনুপ্রেরণা সংগ্রহ করতে পারেন ।।
নেতৃত্ব
এবারে বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে নেতৃত্ব নেতৃত্বদানের যে যত বেশি পারদর্শী ক্যারিয়ারের ততো বেশি সফল তাই ক্যারিয়ারের সফল হতে গেলে আপনার দরকার নেতৃত্ব দানের গুণাবলী ।
নেতৃত্ব দিতে গেলে কয়েকটি লক্ষণীয় দিক -নেতাকে হতে হবে নির্ভরতার প্রতীক যেন কোন কর্মী অনুসারীরা নিঃসংকোচে নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখতে পারেন নেতার নির্দেশে অন্ধবিশ্বাসে কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বেন ।
কোন কারণে একটি সংস্থার সম্পর্ক ভেঙে গেলে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব নয়, নেতাকে কখনো অল্পস্বল্প ঝুঁকি নিতে হয় নইলে সাফল্য আসে না ।নেতার মধ্যে কোনরূপ লুকোছাপা বা আড়াল অনুরূপ কর্মীরা মেনে নিতে পারেনা।
নেতাকে সব কিছু খোলা মনে সহজীকরণ করে দেখাতে হবে, সেই মোতাবেক সঠিক নির্দেশনা দিতে হবে তার কথায় যেন আত্মবিশ্বাস ফুটে উঠে। হেলিকপ্টার বা আকাশযানেে আরোহন করলে উপর থেকে সব কিছু এক নজরে দৃষ্টিগোচর হয় ।
নেতাকে অবশ্যই সেইরূপ দক্ষ ও যোগ্য অভিজ্ঞ হতে হবে , এক নজরে চোখ বুলিয়ে পুরো ব্যাপারটা বুঝে ফেলতে পারেন। নেতাকে অবশ্যই অনুপ্রেরণা দাতা হতে হবে।
তিনি উদ্দীপ্ত করবেন, সাহস দেবেন, ভরসা যোগাবেন তাহলে অনুসারীরা কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে । নেতার কাজে কথায় আচরণে অনন্য সাধারণ হতে হবে।
যে কাজে তিনি হাত লাগাবেন সেটা যেন নিখুঁত হয় কারণ নেতার ভুলত্রুটি অনুসারীদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে। By Salim reja
You must be logged in to post a comment.