আমাদের দৈনন্দিন জীবনে আমাদের ছোটখাটো অসুখ কিন্তু হয়েই থাকে আর সেজন্য আমরা ওষুধের উপর ভরসা করে থাকি কিন্তু আমাদের মদ্ধে কয়জনের জানা আছে যে নানান ছটোখাটো অসুখের জন্য কিছু ফল খেলে সে অসুখ গুলো ভালো হয়ে যায়।
কলা এমন একটি ফল যেটি বাজারে সহজেই পাওয়া যায় অনেক ভাই বোন আছেন ওজন বাড়াতে চান তারা দেরি না করে এখন থেকে নিয়মিত কলা খাওয়া শুরু করে দেন।
আপনারা জানেন কি কলা ঠিক কোন কোন সময় খেলে ভালো হয়?কলা সকালে খেলে বেশি ভালো হয় সকালে খালি পেটে প্রতিদিন দুইটা করে কলা খাবেন।
১.কলার গুনাগুনঃ
কলার হাজারো যাদুকরি শাস্থগুন রয়েছে। শু-শাধু এই ফলের গুনাবলি বলে শেষ করা যাবেনা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কলার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি কলা আমাদের শুধুমাত্র রোগ নিয়ন্ত্রণ নয় রুপচর্চা থেকে শুরু করে হাজারো সমস্যার সমাধান করে।
২.পেট পাপার সমস্যার সমাধানঃ
কলা হজমে সহায়তা করে এবং পেট পাপার সমস্যার সমাধান করে এছাড়াও কলা পাক্সথলিতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া রোধ করতে সহায়তা করে।
৩.কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করাঃ
পাকা কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সহায়তা করে,কলা খেলে যতেষ্ট পরিমাণে কোষের ক্ষতি প্রতিরোধ করা ছাড়াও নানান ধরনের রোগ প্রতিরোধ করে।
৪. বিষন্ন্যতা দূর করতে কলার উপকারিতাঃ
বিষন্ন্যতা দূর করতে কলা অত্যান্ন উপকারি। কলা বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় একটি ফল মিষ্টি শাধের এই ফলটি বেশ শুশাধু এবং পুষ্টিকর একটি খাবার কলা শরীরে শক্তি জোগায় এবং বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে।
৫.রক্তস্বল্পতা দূর করাঃ
কলা রক্তস্বল্পতা দূর করতে সহায়তা করে।অনেকেরই রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়,তার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ডাক্তারের কাছে ছুটাছুটি না করে পাকা কলা খেতে পারেন।
৬ঃইনস্ট্যান্ট এনার্জিঃ
কলায় সুক্রোজ,ফ্রুক্টোজ ও গ্লুকোজের উপস্থিতি ইনস্ট্যান্ট এনার্জির জোগান দেয়।ফলে,শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে কলা খেতে পারেন।
৭.ধুমপান ছাড়তে কলার উপকারিতাঃ
ধুমপান ছাড়তে চাইলে রোজ কলা খাওয়ার অভ্যাস করুন বা যারা প্রতিদিন ধুম্পান করেন তারা নিয়মিত কলা খাওয়া শুরু করতে পারেন কারণ কলায় রয়েছে পটাশিয়াম,ভিটামিন ও ম্যাগনেশিয়াম নিকোটিনকে শরীরের বাইরে বের করে দেয়।
৮ঃমানসিক চাপ ও সুনিদ্রাঃ
কলা মানসিক চাপ কোমায় ও সুনিদ্রায় সহায়তা করে। মানসিক চাপ কোমাতে ও সুনিদ্রায় সহায়তা করতে কলা আপনাকে অনেক উপকার করবে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যাদের মানসিক চাপ বেশি তাদের উচিত অন্যান্য উপায় অবলম্বনের পাশাপাশি নিয়মিত পাকা কলা খাওয়া কারণ এটিতে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামিনো এসিড যা সেরোটোনিনে পরিবর্তিত হয়।
৯.মেজাজ ঠিক রাখতে কলার উপকারিতাঃ
কোন কারণে কি আপনার মেজাজ রুক্ষ্য?তাহলে কলা খান। কারণ কলায় উপস্থিত ট্রিপটোফ্যান নামক অ্যামাইনো এসিড সেরোটোনিন তৈরী করে। যা মেজাজকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে।
১০.ত্বক ও দাঁতের যত্নে কলার উপকারিতাঃ
কলা-দুধ ডায়েট ত্বক উজ্জ্বল ও মৃষণ করে। ব্রণের চিহ্ন দূর করে,দাঁত সাদা করতে এটি উপকারি।
১১.কলা পুষ্টিতে ভরপুর ও ফ্যাটমুক্ত দুধের গুনঃ
ভিটামিন এ,বি,সি ও ই রয়েছ এতে খনিজ,পটাশিয়াম,জিংক ও আয়রন রয়েছে যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারি এতে চর্বির মাত্রা কম বা থাকেইনা বললে চলে তাই এটি কোলোস্টেরল কমাতে খুবই উত্তম আহার।ফ্যাটমুক্ত দুধে ফ্যাট বা চর্বি ছাড়া বাকি উপাদানগুলো যথাযথ পরিমাণে থাকে। দুধের প্রোটিন মাংসপেশী মজবুত করে।
১২.সাবধানতাঃ
ওজন কমানোর জন্য আপনি শুধু এই দুধ কলা ডায়েটের ওপর নির্ভর করে থাকতে পারেন না। তবে এতে শরীরে ক্যালরীর যোগান কিছুটা কম হওয়ায় দূর্বল লাগতে পারে, সেক্ষেএে দিনে দুইবার খেতে হবে আর একবার অল্প কিছু স্বাভাবিক খাবার যেমন ভাত ও অন্যান্য তরকারি খেতে হবে।
সুতরাং কলা নিয়ে অনেক ভ্রান্ত ধারণা আছে কেউ বলে কলা খেলে ওজন বাড়ে। কলা মিষ্টি জাতীয় ফলের মধ্যে অন্যেতম কলা খেলে আমাদের মন মানসিকতার উন্নতি ঘটে।কলা আমাদের দৈনিন্দন জীবনে অত্ত্যন্ত উপকারি একটি ফল।গর্ভবতী মহিলাদের জন্য কলা খাওয়া অনেক জরুরি এতে গর্ভের সন্তান সুস্থ থাকে ও দূত বেরে উঠে গর্ভের সন্তানের ওজন বাড়ে। জাষ্ট এক মাস প্রতিদিন দু-খানা করে পাকা কলা খান তফাৎটা নিজেই বুঝতে পারবেন।বাঁচবেন হ্যার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের হাত থেকে।
You must be logged in to post a comment.