আপনি একটি ব্লগ খোলার পর পরই টপিক বা কি নিয়ে লিখবেন সেটা ভেবেই চিন্তিত হয়ে পড়তে পারেন। কেননা একটি ভালো ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে যে জিনিসটা আপনার প্রয়োজন পড়বে তা হলো ভালো কন্টেন্ট বা ব্লগ আর্টিকেল।
আর এই কন্টেন্ট এর উপর ভিত্তি করেই আপনার ভিজিটর আসবে তা হতে পারে বেশি কিংবা কম। তো আমাদের আজকের আলোচনায় থাকছে একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কোন ধরনের কন্টেন্ট বা আর্টিকেল আপনার লেখা উচিত তা নিয়ে।
চলুন শুরু করা যাক-
ব্লগে আপনার কেমন আর্টিকেল লেখা উচিৎ-
ব্লগে আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে জিনিসটার প্রতি নজড় দিতে হবে তা হলো আপনার নির্বাচিত নিশ (Catagory/Subject)। নিশ হচ্ছে মূলত একটি নির্দিষ্ট টপিক যাকে কেন্দ্র করে আপনাকে পুরো ওয়েবসাইট এর পোস্টগুলি লিখতে হবে।
আপনি যে আপনার ওয়েবসাইটে এক ধরনের কন্টেন্ট রাখতে পারবেন তা কিন্তু নয়। বরং একাধিক নিশ নিয়ে সাইট তৈরি করতে পারেন। এক্ষেত্রে একটি হলে আপনার সাইটকে সিঙ্গেল নিশ এবং বেশি হলে মাল্টি নিশ সাইট হিসাবে অ্যাখ্যায়িত করা হবে।
আর এই নিশগুলো মূলত হচ্ছে প্রযুক্তি কিংবা সাইন্স এদের নির্দিষ্ট কোনো একটি। তো আমাদের মূল আলোচনায় আসা যাক। আপনার ব্লগ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে অবশ্যই নিশ সমন্ধিত টপিক সিলেক্ট করতে হবে। কেননা আপনি যদি টেকনোলজি ব্লগ বানিয়ে স্বাস্থ্য বিষয়ক জিনিস পোস্ট করেন তবে কিন্তু আপনার টেকনোলজি ব্লগ এর ভিজিটর হারিয়ে ফেলবেন। আরও পড়ুনঃ অনলাইনে আয়ের সহজ উপায় 2021
আর তাই প্রথমেই নিশকে প্রাধান্য দিতে হবে। এর উপর ভিত্তি করেই ভিন্ন ব্লগে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় নিয়ে পোস্ট হয়। তবে এসব এর পরেও কিছু কমন জিনিস প্রায় সব ব্লগ এর ক্ষেত্রেই লাগে। অর্থাৎ আপনি টেকনোলজি কিংবা স্বাস্থ্য যা নিয়েই ব্লগ খুলুন না কেন পোস্ট লেখার ক্ষেত্রে কিছু দিক নির্দেশনা সব খানেই একই। আর সেগুলো হলো-
রিসার্চকৃত ও তথ্যবহুল দীর্ঘ আর্টিকেল -
আপনি এটা জেনে খুবই বিস্মিত হবেন যে ১৫০০+ শব্দের একটি আর্টিকেল ফেসবুকে যতটা লাইক পায়, কিংবা টুইটার যতটা টুইট পায় তার চেয়ে প্রায় ২৮% কম লাইক ও টুইট পায় ১৫০০ শব্দ বা এর নিচের কোনো পোস্ট।
হাবস্পট নামে একটি বিখ্যাত ওয়েবসাইট তাদের ব্লগে ছোট বড় মিলিয়ে মোট ৬১৯২ টি আর্টিকেল পাবলিশ করে। আপনি জেনে অবাক হবেন যে তারা এর মধ্যে ২০০০+ শব্দ এর আর্টিকেলগুলো থেকে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে অর্গানিক ও ইনঅর্গানিক ট্রাফিক পেতে ফাকে।
আর সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতেও এর শেয়ার এর পরিমাণ বাকিগুলো থেকে বেশি।
এরপরও আপনার মনে যদি এই চিন্তা থাকে যে বড় বড় আর্টিকেলগুলো শুধু একটি নির্দিষ্ট নিশের পিছনেই কাজ করে তাহলে বাজসুমোর ১০০ মিলিয়ন আর্টিকেলকে আপনি কি বলে অ্যাখ্যায়িত করবেন?
তার মতেও ৩০০০ শব্দ থেকে শুরু করে ১০০০০ শব্দ এর আর্টিকেলগুলো ইন্টারনেটে সবচেয়ে বেশি শেয়ার পেয়ে থাকে।
অপরদিক গুগল সার্চ রেজাল্ট পেজ অর্থাৎ সার্পেও এই বড় বড় আর্টিকেলগুলোই স্থান পায়। যার মানে দাড়াচ্ছে আপনার র্যাংকিং এর অন্যতম একটি বিষয় হলো এটি। এই সবের বাইরেও আপনার দর্শক বা ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য দীর্ঘ ও রিসার্চকৃত কন্টেন্ট অনেক বেশি প্রয়োজন।
আপনি নিজেই একটি কথা ভাবুন আপনি যখন কোনো ওয়েবসাইট ভিজিট করেন তখন আপনি কেন পোস্টগুলো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েন? নিশ্চয় কিছু জানার জন্য, তাই না?
Read More-- অনলাইনে আয়ের সেরা উপায় গুলো 2021।
আর আপনার ভিজিটরও আপনার সেই বিষয়টিই দেখবে। সুতরাং রিসার্চকৃত ও তথ্যবহুল কন্টেন্ট তৈরি হওয়া উচিত আপনার প্রথম উদ্দেশ্য।
ব্লগ আর্টিকেল এর সংখ্যা নয়, মান ভালো করতে হবে-
একটি ওয়েবসাইট তৈরির পর বেশিরভাগ ব্লগার যে ভুলটা করে থাকেন তা হলো কত তাড়াতাড়ি বেশি কন্টেন্ট বা ব্লগ আর্টিকেল লেখা যায় তার প্রতি। আর এটার মূল কারণ অ্যাডসেন্স পাওয়া। কিন্তু বিষয়টা কিন্তু মোটেও তেমন না। আপনার ব্লগের আর্টিকেল সংখ্যা নয় বরং মান বৃদ্ধিতে নজড় দিতে হবে। বলতে পারেন কন্টেন্ট বেশি না হলে ভিজিটর পাব কিভাবে?
আচ্ছা ধরেই নিলাম আপনার অনেক বেশি কন্টেন্ট সমৃদ্ধ একটি ব্লগ রয়েছে। কিন্তু তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে কন্টেন্ট এর উপর নজর দিতে পারেননি। তো এখন আপনি অ্যাডসেন্স এ অ্যাপ্লাই করেও পেয়ে গেলেন। কিন্তু সত্যি আপনার ইনকাম হবে কি?
মোটেও না। কারণ যে ভিজিটরই আসুক না কেন সে আপনার কন্টেন্ট এ কিছু খুঁজে না পেয়ে দ্বিতীয় বার আপনার ব্লগের পানে চাইবে না। সুতরাং একটি ব্লগ এর আর্টিকেল সংখ্যা নয় বরং নজড় দিতে হবে এর মান ভালো করার পিছনে।
এসইও ফ্রেন্ডলি ব্লগ আর্টিকেল-
যখন একটি ওয়েবসাইট শুরু করবেন তখন আপনার মূল লক্ষ্যই থাকবে কিভাবে গুগল কিংবা যেকোন সার্চ ইঞ্জিনের রেজাল্টের প্রথম দিকে আসা। আর এই কাজটার জন্য আপনার প্রয়োজন এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল। হ্যাঁ, এই জায়গাতেই বইয়ের সেই উপন্যাস ও ওয়েব আর্টিকেল বা ব্লগ আর্টিকেল এর মূল পার্থক্যটা পরিলক্ষিত হয়। একটি কন্টেন্টকে এসইও ফ্রেন্ডলি হিসাবে তৈরি করতে আপনার যেসব বিষয়ের প্রয়োজন তা হলো একটি নির্দিষ্ট গঠন মেনে চলা।
Read More- ইসভেস্ট ছাড়াই অনলাইনে আয় করার উপায়।
এক্ষেত্রে শুরুতেই আপনাকে একটি পোস্ট টাইটেল খুঁজে নিতে হবে। তবে তার পূর্বে আপনার কাজটি হবে একটি কি-ওয়ার্ড খুঁজে নেয়া যা নিয়ে আপনি আর্টিকেল লিখবেন। যদি আপনি নতুন ব্লগ খুলে থাকে তবে অবশ্যই আপনাকে লো কম্পিটিশন কি-ওয়ার্ড এর উপর নজর দিতে হবে।
তো মূল যে বিষয়টি তা হলো একটি টাইটেল। তারপর কন্টেন্টকে বিভিন্ন হেডিং দিয়ে ভাগ করে নেয়। এবং কি-ওয়ার্ড এর সঠিক ব্যবহার প্রয়োজন এই ক্ষেত্রে। আর এসব কিছু মেনে চললেই আপনি একটি ভালো মানের এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন খুব সহজেই।
ব্লগ আর্টিকেল এর শেষে মতামত-
একটি কন্টেন্ট বা আর্টিকেলকে যে বিষয়টি অনন্য করে তোলে তা হলো আপনি এটা কিভাবে দেখছেন বা লিখছেন তার উপর। আর তথ্য যেহেতু সব ওয়েবসাইটেই থাকে তাহলে ভিজিটর তো যেকোন আর্টিকেল পড়লেই পারে, তাই না? তাহলে সে আপনার ব্লগে আসবে কেন?
হ্যাঁ, আপনার মতামত বা আপনি কিভাবে জিনিসটাকে তার সামনে তুলে ধরছেন তার উপরই মূলত এটি নির্ভর করে। পাঠক সব সময় চায় তথ্যের বাইরেও আপনি তাকে কোনো পরামর্শ দিতে পারছেন কিনা। ধরুন আপনি একটি মোবাইল রিভিউ ব্লগে আছেন এখন লেখক লেখার শেষে ফোনটি সম্পর্কে তার কিছু মতামত তুলে ধরলে আপনি নিশ্চয় অনেকটা নিশ্চিন্ত হবেন প্রোডাক্টটা সমন্ধে, তাই না?
আপনার ভিজিটরও আপনার কাছে এই জিনিসটাই আশা করে। আর তাই ব্লগ আর্টিকেল যতটা পারবেন নিজের ভাষায় ও সহজ সাবলীল করে তুলতে ও সেই সাথে আপনার মতামত ব্যক্ত করতে।
পরিশেষে-
আমাদের আজকের আলোচনা ছিল ব্লগ আর্টিকেল কেমন হওয়া উচিত সে বিষয়টি কেন্দ্র করে। আশা করি আপনার ব্লগের আর্টিকেল লিখতে বিষয়গুলো আপনার কাজে আসবে। সেই সাথে আপনি যদি আরো কিছু পন্থায় অনলাইনে ইনকাম করতে চান তবে পড়ে আসুন- ইনভেস্ট ছাড়া আয়ের উপায়। ধন্যবাদ।
আপনার নিজের আর্টিকেলতো ৯৬৪ ওয়ার্ডের। কই ২ হাজার তো গেলো না। এসেছেন জ্ঞান দিতে!
Hi, visit me!
Expertbd.Xyz
You must be logged in to post a comment.