দিনদিন (Day by Day) আধুনিক (Digital) হচ্ছে পৃথিবী । যুগের সাথে তাল মিলিয়ে বর্তমান প্রজন্ম (Generation) চায় কিছুটা হলেও ছাত্র -ছাত্রী (Student) থাকা অবস্থায়ই পড়াশোনা (Study) র পাশাপাশি আয় (Income) করে আত্মনির্ভরশীল (Self Dependent) হতে। তাদের জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় (Way) হলো অনলাইন আয় (Online Income)।আজকাল প্রায় (Maximum) মানুষের কাছেই কম্পিউটার (Computer) /ল্যাপটপ (Laptop) /স্মার্টফোন (Smartphone) বা এন্ড্রয়েড (Android) মোবাইল আছে। তাই চাইলেই কেউ তার এন্ড্রয়েড (Android) মোবাইলটিকে কাজে লাগিয়েই অনলাইনে আয় (Online Income) করতে পারে। অনেকে আছে ঘরে বসে বসেই আয় (Income) করতে চায় কিংবা ব্যবসা ( Business) করতে চায়। অনলাইন প্লাটফর্ম তাদের জন্যই।।
ঘরে বসে বিভিন্নভাবে অনলাইনে আয় (Income) করা যায়। আজকে আমরা আলোচনা করবো এফিলিয়েট মার্কেটিং ( Affiliate Marketing) নিয়ে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) কি?
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affliate Marketing) হলো এমন একটি উপায় যার মাধ্যমে ঘরে বসেই বিভিন্ন অনলাইন (Online) কোম্পানির ডিজিটাল প্রোডাক্ট এফিলিয়েট লিংকের (Affliate Link) মাধ্যমে প্রোমোট ( Promote) করে টাকা ইনকাম করা যায়।
এক্ষেত্রে কোম্পানির এফিলিয়েট লিংক ( Affiliate Link) নিজের ওয়েবসাইট ( Website),পেজ (Page),ইউটিউব চ্যানেল (Youtube channel) ইত্যাদির মাধ্যমে প্রোমোট (Promote) করতে হয়।
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করার জন্য কি কি প্রয়োজন?
আপনি যদি ঠিক করে ফেলেন যে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তাহলে আপনার কাজ (Work) শুরু করতে কিছু জিনিসের প্রয়োজন আছে।
Affliate Marketing এর জন্য যা যা প্রয়োজন -
১. একটি কম্পিউটার (Computer) /ল্যাপটপ (Laptop) বা স্মার্টফোন (Smartphone) ।
২.ইন্টারনেট সংযোগ (Internet Connection)।
৩.একটি নিজস্ব ওয়েবসাইট (Website)/ফেসবুক পেজ (Facebook Page) বা ইউটিউব চ্যানেল (Youtube Channel) ।
৪.অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট (Online Shopping Website) এ Affiliate Marketer হিসেবে রেজিষ্ট্রেশন। ( Registration)
৫. ব্যাংক একাউন্ট (Bank Account) ।
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) কেন করবেন?
সময় (Time) যতো যাচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে মানুষের আগ্রহ ( Interest) ততো বাড়ছে। কারন প্রথমে একটু কঠিন (Hard) মনে হলেও যখন কাজটার ভেতর পুরোপুরি ঢুকে যাবেন এবং বুঝতে পারবেন তখন আর কঠিন মনে হবেনা। তখন খুবই সহজ (Easy) লাগবে।
Affiliate Marketing এজন্য করবেন যে, এখানে আপনার আয় (Income) করার নির্দিষ্ট কোনো সীমা ( Limit) নেই। আপনি যতো বেশি লিংক (Link) এর মাধ্যমে কেনায়ে দিতে পারবেন ততো বেশি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে করবো?
হ্যাঁ, এই প্রশ্নের উত্তরটি এখন পাবেন। Affiliate Marketing করার জন্য আপনাকে সবার আগে জিনিসটাকে প্রফেশনাল (Professionally) ভাবে নিতে হবে। এজন্য আপনার দক্ষতা কাজে লাগাতে হবে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনার নিজের ব্লগ ও ওয়েবসাইট (Blog & website) টির ভিউ (Views) বাড়াতে হবে। এরপর যেকোনো একটি অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট (Online Shopping Website) এ এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে রেজিস্ট্রার (Register) করতে হবে।
এখানে আপনাকে সবার আগে ঠিক (Choice) করে রাখতে হবে।তারপর আপনি যে অনলাইন কোম্পানির (Company) এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কাজ করতে চান সেই কোম্পানির কাজ,কমিশন (Commission) সম্পর্কে বিস্তারিত (Details) জেনে নিবেন।
এখানে আপনার কাজ হবে যেকোনো একটি অনলাইন বা অফলাইন (Offline) কোম্পানি বা দোকানের (Shop) প্রোডাক্ট ( Product) প্রমোট করা।
অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েবসাইট বা পেজে (Page),ইউটিউব চ্যানেলে ( YouTube Channel) কোনো প্রোডাক্টের বিস্তারিত তথ্য (Information) দিয়ে সাথে সেই প্রোডাক্ট (Product) যে কোম্পানির সেই কোম্পানির এফিলিয়েট লিংক ( Affiliate Link) শেয়ার করলেন।এবার আপনার শেয়ার (Share) করা লিংক থেকে যদি কেউ সেই প্রোডাক্টটা কেনে তাহলে কোম্পানি আপনাকে ১৫-২০% কমিশন ( Commission) দেবে।
সহজ কথায়, আপনার শেয়ারকৃত লিংক (Link) থেকে যতোবার প্রোডাক্ট বিক্রি (Sell) হবে আপনি ততো বেশি কমিশন পেতে থাকবেন।
এক্ষেত্রে অনেকবেশি আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে প্রোডাক্টির Honest review দিতে হবে। কারন কাস্টমার (Customer) আপনার রিভিউ দেখেই প্রোডাকটার উপর Interested হবে। যদি প্রোডাক্ট সম্পর্কে আপনি ভুল তথ্য ( Wrong Information) দেন তাহলে আপনার উপর থেকে কাস্টমার আস্থা হারিয়ে ফেলবে। আর আপনিও হারাবেন একজন কাস্টমার। যা আপনার কাম্য নয়। তাই অবশ্যই প্রোডাক্টের কোয়ালিটি সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরবেন।
আবার অন্যভাবে বলা যায়,ধরুন আপনি কোনো জুতার কোম্পানির রিসেলার ( Reseller) হয়ে কাজ করছেন।এখানে আপনি অনলাইনে জুতার ছবি (Picture), কোয়ালিটি (Quality) , দাম (Price) ইত্যাদির রিভিউ (Review) দিয়ে সেই কোম্পানির লিংক যুক্ত করে দেন আর সেখান থেকে কেউ যদি জুতা (Shoes) কেনে তাহলে আপনি একটা কমিশন পেয়ে যাবেন। মানে কোম্পানি আর কাস্টমারের মাঝখানে আপনি মাধ্যম (Via) হিসেবে কাজ করছেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন ধরনের প্রোডাক্ট নিবার্চন করবেন?
এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করার জন্য অবশ্যই বুঝে শুনে প্রোডাক্ট নির্বাচন (Select) করতে হবে।
মাথায় রাখতে হবে কোন ধরনের পণ্যের উপর মানুষের চাহিদা বেশি থাকে। এক্ষেত্রে বলা যায় আইফোনের (iphone) কথা। আপনি যদি iphone নিয়ে রিভিউ ( review) দেন এবং বেশ জনপ্রিয় ( Popular) হয়ে থাকেন মানুষ আপনার উপর বেশি আগ্রহ দেখাবে।
এবং আপনার দেখানো প্রোডাক্ট বেশি কিনবে।
আবার, এখন দেখা যাচ্ছে অনেকেই অনলাইন ইনকামে ঝুকঁছে। তাদের মধ্যে ডোমেইন (Domain) এবং হোস্টিং ( Hosting) এর জনপ্রিয়তা (Popularity) তুঙ্গে।তাই আপনি চাইলে যেকোনো ভালো ডোমেইন, হোসিং কোম্পানির এফিলিয়েট মার্কেটার (Affiliate Marketer) হিসেবে কাজ করে মোটা অংকের (Amount) টাকা উপার্জন করতে পারেন।
এছাড়াও মোবাইল ( Mobile) / স্মার্টফোন ( Smartphone) , বই (Books),ওয়ার্ডপ্রেস থিম (Wordpress theme), জামা-কাপড় (Dress), প্রসাধনী ( Cosmetics) ইত্যাদির এফিলিয়েট মার্কেটিং করে বেশি লাভ (Profit) পাওয়া যায়।
খুব সহজেই আপনি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে আপনার টাকা তুলে নিতে পারবেন।
আসুন এবার জেনে নেই জনপ্রিয় কিছু এফিলিয়েট প্লাটফর্মের নাম-
১. Amazon Associates.
২. Awin.
৩. Click bank.
৪. Avangate.
৫.ShareAsale.
৬. e-bay Partners.
ইত্যাদি।
পরিশেষে, এফিলিয়েট মার্কেটিং (Affiliate Marketing) করতে জানলে এখান থেকে আপনি প্রচুর পরিমাণে আয় (Income) করতে পারবেন। তবে মনে রাখতে হবে আপনাকে সব সময় ( Alltime) সততার সাথে কাজ করতে হবে। কারন Honesty is the best policy.
ধন্যবাদ।
Nice Post.
You must be logged in to post a comment.