বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্ক হওয়ার প্রয়োজন নেই- ক্যারিয়ার কে লক্ষ করুন

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুদের মধ্যে সবসময়ই একটা আতঙ্ক বিরাজ করে।আমরা প্রায়ই অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীদেরকে ঝরে যেতে দেখেছি । যখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে  হতাশায় ভোগে আর পড়ালেখায় মন বসাতে পারে না। ফলে তারা কোনো রকম পাশ করে বেরিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই বেকার হয়ে ঘুরে বেড়ায়।

আর মেয়েরা বিয়ে করে ফেলে, যা খুবই দুঃখজনক। তাই আজ আপনাদের আজ এই হতাশা দমনের জন্য কিছু মানুষের সফলতার কাহিনী  শেয়ার করবো। আশা করছি আমার সকল ভাই ও বোনদের উপকারে আসবে। 

অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ , জেএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ফাইভ এবং এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষাতেও তারা একইরকম ভাবে সফলতা অর্জন করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় কিন্তু ভর্তি যুদ্ধে টিকতে পারে না ।

তাই হতাশা আর বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়ার লজ্জায়  কারো সাথে কথা বলতে ও লজ্জা বোধ করে ,আর তার থেকে নম্বর কম পাওয়া বান্ধবী টা যখন ভর্তি যুদ্ধে টিকে যায় তখন অনেক শিক্ষার্থী রা লজ্জায় আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয় প্রতিবেশীদের কটুক্তির কারণে।

কিন্তু তারা ভুলে যায় এই বিজয় বেশি দিনের নয় হাজার হাজার ছেলে মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও বেকার।  হাজার হাজার শিক্ষার্থী কলেজ থেকে অনার্স পাশ করেও প্রথম শ্রেণীর চাকরি করছে। অনেক ছেলে মেয়ে বিসিএস পরীক্ষায় কলেজে পড়েও উত্তীর্ণ হয়েছে।

ভর্তি পরীক্ষা ও চাকরির পরীক্ষায় আপনাদের একাডেমিক মার্ক কাজে খুব কম প্রয়োজন হয় না। প্রয়োজন হয় যোগ্যতার।

যেমন: বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পরীক্ষার আগের তিন মাস পড়ালেখা করবে তারাই ভর্তি যুদ্ধে উত্তীর্ণ হবে। এখন আমার এক বোনের কথা আমি শেয়ার করছি তিনি পিরোজপুর সোহরাওয়ার্দী কলেজ থেকে অনার্স পাশ করে । খুব একটা ভালো ছাত্রী ও সে ছিল না  কিন্তু সে তার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে ৩৮ তম বিসিএস এবং প্রথম বিসিএস এই টিকেছেন। আলহামদুলিল্লাহ

আর অন্য দিকে আমার ফুপাতো ভাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স পাশ করা তার সাবজেক্ট ছিল ফিজিক্স দীর্ঘ ৬ বছর বেকার থাকার পরে নন ক্যাডারে একটি পদ পান। তিনিও কিন্তু মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে একজন ছিলেন ।

আমার গল্পটাই বলছি আমি বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের একজন ছাত্রী। আমার নাম আরিয়ানা আফরিন। আমার সেশন ২০১৯-২০২০ ।প্রথম দিকে আমি কোনো পরিক্ষাতেই পাশ করতে পারছিলাম না । আমার একাডেমিক রেজাল্ট ভাল ছিল । ভেবেছিলাম আমার রেজাল্ট ভাল কে আটকাবে আমায় ।

কিন্তু ভুল টা ভাঙলো যখন পাশ করতেই কষ্ট হয়ে যাচ্ছিল আমার ভর্তি পরীক্ষায় । শেষ ভরসা ছিল বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় খুব পরেছি এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার আগে অবশেষে আমার চান্স হয়েছে ।

তাহলে আপনারাই ভাবুন  কি করলে আপনারা সাকসেস ফুল হবেন লাইফে। অবশ্যই মুভ করুন সেদিকে যেদিকে আপনার যেতে মন চায় । প্রানপন চেষ্টা করুন যতক্ষণ না আপনার মনের মত গন্তব্যে আপনি পৌঁছান। যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পেরে হতাশ তাদের কে বলছি অবশ্যই হাল ছাড়বেন না ।

আপনাদের অনেক সুযোগ পড়ার। বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে চাকরির পড়া অসম্ভব। ক্লাস, প্রেজেন্টেশন,ভাইভা বিভিন্ন ঝামেলা আর আপনাদের আছে অফুরন্ত সুযোগ এখন থেকেই একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি বিসিএস এর জন্য পড়ুন। আমি গ্যারেন্টি সহকারে বলতে পারি কলেজের ছেলেমেয়েরা তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে হারিয়ে দিতে পারবে।

চেষ্টা করুন, ধৈর্য ধরুন, আশেপাশে মানুষের কটুক্তিতে মাথা ঘামাবেন না। ইনশাআল্লাহ দেখা হবে বিজয়ে।

 

আরিয়ানা আফরিন, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments
Hossnara - Jul 21, 2021, 3:02 AM - Add Reply

ভাল লাগল

You must be logged in to post a comment.

You must be logged in to post a comment.

Related Articles