আমদের দেশে তরুণ দের মাঝে বিদেশে পড়াশুনার ইচ্ছা প্রচুর। অনেক মেধাবী ছাত্র - ছাত্রী ছোট বেলা থেকেই স্বপ্ন দেখে বিদেশী কোন ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করবে। তাদের সেই সুযোগ ও করে দিয়েছে সরকার। বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাবৃত্তি প্রোগ্রাম চালু করেছে। যেগুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই তারা বিদেশে অনেক ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাদের ক্যারিয়ার তৈরি করতে পারে।
কিন্তু শিক্ষার্থীরা এর প্রক্রিয়া টি কে খুব জটিল মনে করে! কিন্তু আদেও সেটি কোন জটিল প্রক্রিয়া নয়! আমদের দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রাম ছাড়াও বিদেশী অনেক প্রোগ্রাম রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থী রা তাদের স্বপ্ন খুব সহজেই পূরণ করতে পারে!
নিম্নে কিছু বিদেশি শিক্ষা প্রোগাম এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ
১. ইরাসমুস মুন্ডুস স্কলারশীপ ( ইউরোপ)
২. কমনওয়েলথ মাস্টার্স স্কলারশীপ ( UK)
৩. এন্ডেভার পোষ্ট গ্রাজুয়েট এওয়ার্ড ( অস্ট্রেলিয়া)
৪. শেভেনিং স্কলারশীপ ( UK)
৫. ফুল ব্রাইট স্কলারশিপ ( USA)
৬. আইফেল এক্সেলেন্স স্কলারশীপ ( ফ্রান্স)
৭. সুইডিস ইন্সিটিউট স্কলারশীপ ( সুইডেন)
৮. গ্লোবাল স্কলারশীপ।
উপরিউক্ত প্রোগাম গুলোর মাধ্যমে খুব সহজেই একজন মেধাবী শিক্ষার্থী তার স্বপ্ন পূরণ করতে পারে। এগুলো প্রোগ্রাম এর মাধ্যমে খুব অল্প খরচে কেউ বিদেশ থেকে তার পড়াশুনা করতে পারে। অনেকে আছে এই ক্ষেত্রে কাগজ পত্র কে ভয় পান। তারা এই বিষয় টাকে খুব জটিল মনে করেন। কিন্তু সেটি মোটেও কোন জটিল বিষয় নয়।
নিচের সাইটটিতে প্রবেশ করলেই বিগত বছরের বাংলাদেশের অনেক স্কলারশিপ নিয়ে জানা যাবে। এটি বাংলাদেশের Education of Ministry এর একটি অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
http://old.moedu.gov.bd
এই সাইট টিতে ঢুকলেই একজন শিক্ষার্থী বিদেশে শিক্ষা সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারবে। তাদের ভয় একটু হলেও দূর হবে। এবার আসি কোন কোন দেশে অনেক সহজে ভালো বিশ্ববিদ্যালয় এ শিক্ষাবৃত্তি পাওয়া যায়।
এটির ক্ষেত্রে যে দেশটির নামে প্রথমেই আসবে, সেটি হলো কানাডা। কারন কানাডা অনেক বাইরের দেশের শিক্ষার্থী তাদের নিজের দেশের বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে নিয়ে থাকে। এছাড়াও অস্টেলিয়া, আমেরিকা, ইংল্যান্ড সহ বিভিন্ন দেশ স্কলারশিপ দিয়ে থাকে।
এখন আসি কিভাবে একজন শিক্ষার্থী বিদেশে নিজের শিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে পারবে!
যে শিক্ষার্থী বিদেশ এ পড়াশুনা করতে চায় তাকে অবশ্যয় প্রথম থেকে মন কে সেভাবে তৈরি করতে হবে! আমদের দেশের শিক্ষার্থীরা যে ভুল টি করে থাকে সেটি হলো IELTS না করেই বিদেশে স্কলারশিপ এর আবেদন করে।
যার কারনে অনেক ভালো ছাত্র হওয়া শর্তেও সে অনুযায়ী ভালো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বঞ্চিত হয়। তাই যারা বিদেশ থেকে পড়াশুনা করতে চায় তাদের উচিত উচ্চ মাধ্যমিক এর পর এডমিসন এর পড়াশুনা না করে IELTS কোচিং করা! আমদের দেশের শিক্ষার্থী রা উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করেই উদ্ভাস, রেটিনা বিভিন্ন কোচিং এ ভর্তি হয়।
কিন্তু যাদের স্বপ্ন বিদেশে পড়াশুনা তাদের এ কাজ টি করা কখোনই উচিত নয়। আরেকটি বিষয় হলো আমাদের দেশের অনেক শিক্ষার্থী তাদের নাম, বাবার নাম কিংবা অন্য কিছু ভুল করে তাদের ডকুমেন্ট এ দিয়ে থাকে জেটির কারণে জটিলতা হতে পারে। তাই আমদের উচিত খুব ভালো ভাবে তথ্য গুলোর দিকে খেয়াল রাখা, যাতে কোন ভুল না হয়।
আর একজন শিক্ষার্থী বিদেশে পড়াশুনার জন্য যাওয়ার একটি শর্ত হলো অভিভাবক এর ব্যাংক একাউন্ট থাকা। এই বিষয়টি অনেকে খেয়াল করে না যার কারণে পরে সমস্যায় পরতে হয়। যে শিক্ষার্থী বিদেশ থেকে পড়াশুনা করতে চাই, সে যদি উপরের বিষয় গুলো খেয়াল রেখে কাজ করে তাহলে সে খুব সহজেই বিদেশ থেকে তার পড়াশুনা শেষ করতে পারবে!
You must be logged in to post a comment.