Wi-Fi কী? Wi-Fi তৈরির মূল কাহিনী এবং সম্পর্কে বিস্তারিত।

Wi-Fi কী? Wi-Fi একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় প্রযুক্তি (technology) যার মাধ্যমে যেকোনো ইলেকট্রনিক যন্ত্রের সাথে বিনা তারেই ডেটা আদান-প্রদান করা যায়। এতে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগও বিদ্যমান।

"Wi-Fi Alliance" ওয়াই-ফাই- কে সংজ্ঞায়িত করেছে " Wireless Local Area Network (WLAN) উৎপাদক (products) যা Institute of Electrical and Electronic Engineers (IEEE 802.11 standards -এর ভিত্তিতে তৈরি।

” যেহেতু, অধিকাংশ মডেম (modem) WLAN উপরোক্ত standards- এর ভিত্তিতে তৈরি, "Wi-Fi" শব্দটি ইংরেজি ভাষায় "WLAN এর সমার্থক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

ওয়াই-ফাই ব্যবহার করতে পারে এমন একটি যন্ত্র (device) যেমন- পার্সোনাল কম্পিউটার, ভিডিও গেম কনসোল, স্মার্টফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা, ট্যাবলেট বা ডিজিটাল অডিও প্লেয়ার একটি নেটওয়ার্ক যেমন: wireless network access point এর মাধ্যমে সংযুক্ত হতে পারে।

এরকম একটি access point (বা hotspot)- এর অভ্যন্তরীণ (indoors) পাল্লা প্রায় 20 meter এবং মুক্ত স্থানে (outdoors) এর পাল্লা আরও বড়।

ওয়াই-ফাই এর ইতিহাস;

১৯৯০ সালের পরবর্তী সময়গুলো তারিবিহীন তথা ওয়্যারলেস নেটওয়ার্কি এর পথচলা শুরুইpnহয়। যদিও এর সূত্রপাত কাল হিসেবে ধরা যায় ১৮০০ এর পরবর্তী সময়গুলোকে।

প্রখ্যাত জ্যোর্তিবিজ্ঞানী এবং সঙ্গীতশিল্পী স্যার উইলিয়াম হার্শেল (১৭৩৮-১৮২২) ইনফ্রারেড লাইটের (অবলোহিত আলো) অস্তিত্ব আবিষ্কার করেন। যা মানুষ খালি চোখে দেখতে পারেনা।

ইনফ্রারেড লাইটের আবিষ্কার পরবর্তীতে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ থিয়োরি আবিষ্কার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। জেমস ম্যাক্সওয়েল ছিলেন ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ থিয়োরির আবিষ্কারক, যদিও তার অধিকাংশ গবেষণা ছিলো মাইকেল ফ্যারাডে আর অ্যাম্পিয়ার এর গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে।

পরবর্তী হার্টয ম্যাক্সওয়েলের ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ থিয়োরির উপর গবেষণা করে প্রমাণ করেন যে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েড আলোর বেগে চলাচল করতে পারে এবং সেই সাথে তা তথ্যও সাথে নিয়ে যেতে পারে।

ইনফ্রারেড লাইট, ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ থিয়োরি ইত্যাদি আবিষ্কারগুলোই ওয়াই-ফাই এর আবিষ্কারের পিছে চমৎকার ভূমিকা রেখেছে। এই আবিস্কারগুলো যদি সম্ভব না হতো তাহলে হয়তো আমরা বর্তমানে যে ওয়াইফাই সুবিধা পাচ্ছি বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্যে সেটা হয়তো পাওয়া হতো না।

উপরের আবিষ্কারগুলো ওয়াইফাই এর আবিষ্কারের ভূমিকা রাখলেও ১৯৮৫ সালে এফ সি সি (ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন) এর একটি সিদ্ধান্ত না হলে হয়তো ওয়াইফাই অনাবিষ্কৃতই থেকে যেতো। তারা বিভিন্ন রেডিও বর্ণালী উন্মুক্ত করে দেন। যার ফলশ্রুতিতে ওয়াইফাই এর আবিষ্কার তরান্বিত হয়।

প্রথমে যে বিষয় নিয়ে বলা হলো সেগুলোর সাথে ওয়াইফাই এর যে সম্পর্কে সেটা এখন পরিষ্কার করা যাক। সাধারণ ল্যান এ ডাটা ট্রান্সফার করা হয় তারের মাধ্যমে। এই ব্যাপারটাকেই আবিষ্কারকরা ভাবলেন ঠিক অন্যভাবে।

যেহেতু ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ওয়েভ ডাটা সহ চলাচল করতে পারে তাই যে ডাটা তারের মাধ্যমে প্রেরণ করা হয় সেটাকে বিনা তারে প্রেরণ করা গেলে প্রচলিত ধারণাটাই পলটিয়ে যাবে, আর হয়েছেও ঠিক তাই।

১৯৯১ সালে এ টি এন্ড টি কর্পোরেশনের সাথে এন সি আর কর্পোরেশন 802.11 Standards আবিষ্কার করেন। 802.11 Standards ই পরবর্তীতে ওয়াইফাই নামে পরিচিত হয়। শুনতে অবাক লাগলেও বিষয়টা সত্যি যে ১৯৯১ সালে আবিষ্কৃত হওয়ার পর ওয়াইফাই কে ওয়াইফাই বলা হতো না।

১৯৯৯ সালের আগস্টে ওয়াইফাই এলিয়েন্স ইন্টারব্র্যান্ড কর্পোরেশন নামে একটা ব্র্যান্ড কনসাল্টিং কোম্পানিকে "IEEE 802.11B Direct Sequence" এর বদলে অন্য কোনো সুন্দর আকর্ষণীয় একটা নাম দেয়ার জন্যে ভাড়া করা হয়।

তখন "IEEE 802.11B Direct sequence" কে ওয়াইফাই নামকরণ করে ইন্টারব্র্যান্ড কর্পোরেশন আর সেই থেকেই ওয়াইফাই নামেই পরিচিত হয়।

আজকের আর্টিকেলটি এই পর্যন্ত। পরবর্তী আর্টিকেলে শেয়ার করব Wi-Fi কীভাবে কাজ করে। এবং Wi-Fi কীভাবে কিনবেন, কী কী ডিভাইস প্রয়োজন বিস্তারিত আলোচনা। তাই অবশ্যই আইডিটা ফলো করুন যাতে পরবর্তী আর্টিকেটি আপনার কাছে পৌঁছে যায়।

 যদি আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে অবশ্যই শেয়ার করবেন এবং কোন বিষয়ে জানতে চান তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন। 

পরবর্তী আর্টিকেল টা শিঘ্রই পোস্ট করব।

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেল টা পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

Enjoyed this article? Stay informed by joining our newsletter!

Comments

You must be logged in to post a comment.

Related Articles